যুক্তরাজ্যে যৌন অপরাধে আটজনের কারাদণ্ড

যৌন অপরাধী চক্রের এই আট সদস্যকে কারাদণ্ড দিয়েছে যুক্তরাজ্যের আদালত। অক্সফোর্ড ক্রাউন কোর্ট গতকাল বুধবার অভিযুক্তদের মোট ৮০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। ছবি থেমস ভ্যালি পুলিশের সৌজন্যে।
যৌন অপরাধী চক্রের এই আট সদস্যকে কারাদণ্ড দিয়েছে যুক্তরাজ্যের আদালত। অক্সফোর্ড ক্রাউন কোর্ট গতকাল বুধবার অভিযুক্তদের মোট ৮০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। ছবি থেমস ভ্যালি পুলিশের সৌজন্যে।

যৌন অপরাধী চক্রের আট সদস্যকে কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের আদালত। অক্সফোর্ড ক্রাইম কোর্ট গতকাল বুধবার তাদের মোট ৮০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা অক্সফোর্ড এলাকায় ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে স্থানীয় বেশ কয়েকজন তরুণীকে ধর্ষণ করেন, তাঁদের কৌশলে যৌনকর্মে উদ্বুদ্ধ করেন এবং মেয়েদের কাছে মাদক সরবরাহ করেন। ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীও এই চক্রের যৌন নির্যাতনের শিকার হয়।

অক্সফোর্ড ক্রাইম কোর্টের শুনানির বরাত দিয়ে ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়, এই যৌন অপরাধী চক্র কম বয়সী ও মদ্যপ মেয়েদের লক্ষ্য বানিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে গাড়িতে উঠিয়ে নিত। এরপর তাঁদের সঙ্গে নানা ধরনের যৌন অপরাধ করা হতো।

আসামিদের মধ্যে ৪১ বছর বয়সী মইনুল ইসলামকে ১৫ বছর ৯ মাস কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ৩৭ বছর বয়সী আবুল হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাঁকে কমপক্ষে ১২ বছর কারাগারে থাকতে হবে। এ দুজনের বিরুদ্ধে একাধিক অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীকে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং তাঁরা কিশোরীদের কাছে মাদক সরবরাহ করতেন।

৪০ বছর বয়সী রহিম আহমদ, ৩৮ বছর বয়সী খালিদ হোসেন এবং ৩৯ বছর বয়সী কামির ইকবালকে ১২ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ৩৬ বছর বয়সী কামরান খানকে ৮ বছর, ৩৮ বছর বয়সী হাজি খানকে ১০ বছর এবং ৪৮ বছর বয়সী আল্লাদিত্ত ইউসাফকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আসামিরা পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিচারক পিটার রোজ সাজা ঘোষণার সময় আসামিদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা মেয়েদের পণ্যের মতো ব্যবহার করেছেন। মেয়েগুলো পারিবারিকভাবে এবং বয়সের কারণে বিপথে যাওয়ার ঝুঁকিতে ছিল।’ প্রায় দুই দশক আগের এ ঘটনার তদন্ত যৌন নিপীড়নের ব্যাপকতাকে উন্মোচন করেছে বলে বিচারক মন্তব্য করেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তা নিকোলা ডগলাস বলেন, এসব অপরাধীরা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেননি এবং কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত নন। ভুক্তভোগী নারীরা এগিয়ে না এলে এসব অপরাধীর বিচার সম্ভব হতো না। তিনি ভুক্তভোগী নারীদের সাহসের প্রশংসা করেন।