যুদ্ধবিরতির মধ্যেই আত্মঘাতী হামলায় নিহত ২৬, দায় স্বীকার করেনি কেউ

যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর কাবুলে স্থানীয় বাসিন্দারা তালেবান সদস্যদের সঙ্গে সেলফি তুলছেন। এই যুদ্ধবিরতির মধ্যেও নানগরহার প্রদেশে আত্মঘাতী হামলা হয়েছে। আফগানিস্তান, ১৬ জুন। ছবি: রয়টার্স
যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর কাবুলে স্থানীয় বাসিন্দারা তালেবান সদস্যদের সঙ্গে সেলফি তুলছেন। এই যুদ্ধবিরতির মধ্যেও নানগরহার প্রদেশে আত্মঘাতী হামলা হয়েছে। আফগানিস্তান, ১৬ জুন। ছবি: রয়টার্স

যুদ্ধবিরতির মধ্যেই আফগানিস্তানে আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটেছে। দেশটির নানগারহার প্রদেশে শনিবারের এই হামলায় কমপক্ষে ২৬ জন নিহত হয়েছে। তালেবান, সরকারি নিরাপত্তা বাহিনী ও বেসামরিক নাগরিকেরা মিলে যখন যুদ্ধবিরতি উদযাপন করছিল—ঠিক সেই মুহূর্তে এই আত্মঘাতী হামলা হয়।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, কোনো জঙ্গিগোষ্ঠী এখনো পর্যন্ত হামলার দায় স্বীকার করেনি। তালেবান হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে। আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, এই হামলার পেছনে ইসলামিক স্টেট (আইএস) থাকতে পারে।

শনিবারের আত্মঘাতী হামলায় আহত হয়েছে অন্তত ৫৪ জন। নানগারহার প্রদেশের গভর্নরের মুখপাত্র আতাউল্লাহ খোগানি এএফপিকে বলেন, একজন আত্মঘাতী হামলাকারী এই বিস্ফোরণ ঘটায়। যুদ্ধবিরতি উদযাপন করতে জড়ো হওয়া সাধারণ মানুষ, তালেবান ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়।

অন্যদিকে যুদ্ধবিরতির সীমা বাড়ানোর জন্য তালেবানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, আগামী মঙ্গলবার যুদ্ধবিরতি শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এই প্রথম আফগানিস্তানের সরকার ও তালেবান এক ঐতিহাসিক যুদ্ধবিরতি কার্যকরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে সেই যুদ্ধবিরতিতে অংশ নেয়নি আইএস।

ঈদের প্রথম দুই দিন এই যুদ্ধবিরতি বেশ ভালোভাবেই কাটে। তবে শনিবার ঘটে গেল আত্মঘাতী হামলার ঘটনা। এর আগে দেশটির বিভিন্ন স্থানে সরকারি বাহিনী, তালেবান ও বেসামরিক নাগরিকেরা জড়ো হয়ে যুদ্ধবিরতি উদযাপন করেছেন। অনেকেই এ সময় দল-মত নির্বিশেষে পরস্পরকে আলিঙ্গন করেন এবং সেলফি তোলেন। এ উপলক্ষে কিছু তালেবান জঙ্গিকে কারাগার থেকে মুক্তিও দিয়ে আফগান সরকার।