ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই ইরানের

ইরানের রেভ্যুলেশনারি গার্ডসের কমান্ডার মোহাম্মদ আলী জাফরি। ছবি: রয়টার্স
ইরানের রেভ্যুলেশনারি গার্ডসের কমান্ডার মোহাম্মদ আলী জাফরি। ছবি: রয়টার্স

বর্তমানে ইরানের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সর্বোচ্চ দুই হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। আপাতত এর বেশি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি কোনো পরিকল্পনা নেই দেশটির। আজ মঙ্গলবার ইরানের রেভ্যুলেশনারি গার্ডসের কমান্ডার মোহাম্মদ আলী জাফরি বলেছেন, ইরানের কাছে বর্তমানে যে পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র আছে, তা দেশ সুরক্ষার জন্য যথেষ্ট।

বার্তা সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জাফরি বলেন, ‘ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা বাড়ানোর বৈজ্ঞানিক সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে আমাদের পরিকল্পনায় সেটা নেই। আমাদের অধিকাংশ শত্রুর মূল স্থাপনা দুই হাজার কিলোমিটারের মধ্যেই রয়েছে। ইসলামিক রিপাবলিককে রক্ষার জন্য এটাই যথেষ্ট।’

গত মাসে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে ইরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক অবরোধের ঘোষণাও এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের পক্ষে থেকে।

হোয়াইট হাউসে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে ইরান চুক্তিকে ‘জঘন্য’ বলে বর্ণনা করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, চুক্তিটি গভীরভাবে ত্রুটিপূর্ণ। ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি বিষয়ে মিথ্যা বলেছে, এই দাবি করে ট্রাম্প বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সন্ত্রাসবাদের সমর্থক এই দেশ বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক মারণাস্ত্র নির্মাণে সক্ষম হবে। ট্রাম্পের অভিযোগ, ইরান ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি থেকে সরে আসেনি এবং সিরিয়া, ইরাক ও ইয়েমেনের সংঘর্ষে মদদ দিয়ে আসছে।

ইরানের দাবি, তাঁদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কেবল প্রতিরক্ষার জন্য তৈরি। জাফরি বলেন, এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যে চুক্তি হয়েছে, তা ব্যতিক্রম ছিল। ইরানের রাজনীতিবিদ ও কর্মীদের মধ্যে যাঁরা ট্রাম্পের সঙ্গে নতুন করে কথা বলা সমর্থন করেন, তাঁরা বিশ্বাসঘাতক ও বিপ্লববিরোধী।

জাফরি জানান, ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লার সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।