প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কলকাতা, নিহত ২

বৃষ্টিতে ডুবে গেছে কলকাতার ইস্টার্ন বাইপাস ও রুবি হাসপাতালের সড়ক। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
বৃষ্টিতে ডুবে গেছে কলকাতার ইস্টার্ন বাইপাস ও রুবি হাসপাতালের সড়ক। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

ঝোড়ো হাওয়া আর প্রবল বৃষ্টিতে কলকাতার অধিকাংশ এলাকা ডুবে গেছে। বহু সড়ক এখন পানির নিচে। বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

আজ সোমবার সকাল থেকে শুরু হয় এই বৃষ্টি। কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আরও ৪৮ ঘণ্টা চলবে এই বৃষ্টি।

প্রচণ্ড বৃষ্টিতে কলকাতা শহর কার্যত ডুবে গেছে। কলকাতার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, বেহালা, বালিগঞ্জ, সায়েন্স সিটি, তপশিয়া, ইস্টার্ন বাইপাস, উল্টোডাঙ্গা, বিধাননগর, পাতিপুকুর, থিয়েটার রোড, কলেজ স্ট্রিট, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি সড়কসহ বহু এলাকা ডুবে গেছে। কলকাতা পৌরসভা ৭৩টি পাম্পিং স্টেশনের ৩৬৫টি পাম্প দিয়ে পানিনিষ্কাশনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। রাস্তায় যান চলাচলও ব্যাহত হয়েছে। সকালে হঠাৎ করে আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গেলে গাড়িচালকদের হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হয়েছে।

রেললাইনে পানি ওঠায় শিয়ালদহ ও হাওড়া ডিভিশনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। দেরিতে চলছে ট্রেন। বনগাঁ লাইনের দত্ত পুকুরের কাছে রেলের ওভারহেড তারে একটি গাছ ভেঙে পড়ায় রেলের সিগনাল-ব্যবস্থা বিকল হয়ে পড়ায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। এই বৈরী আবহাওয়া ও বৃষ্টিপাতের কারণে দমদম বিমানবন্দর থেকে পাঁচটি বিমানযাত্রা বাতিল করা হয়েছে। ফলে কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কলকাতার জনজীবন।

এর মধ্যে বজ্রপাতে মারা গেছেন কলকাতা বিমানবন্দরের এক কর্মী। অন্যজন মারা গেছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁয়। সকালে জমিতে কাজ করার সময় মফিজুল মণ্ডল নামের এই কৃষক মারা যান। আহত হন আরেক কৃষক ইলিয়াস বিশ্বাস। ইলিয়াসকে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কলকাতা ছাড়াও এই বজ্রসহ বৃষ্টি ছোবল মেরেছে রাজ্যের অন্য জেলায়ও। হাওড়া, হুগলি, নদীয়া, মালদহ, পুরুলিয়া, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরেও সকাল থেকে চলছে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি। প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। ডুবে গেছে ফসিল জমি।