৮৩ বছর বয়সে বিশ্বকাপের স্বেচ্ছাসেবক!

বিমানবন্দর থেকে শুরু করে বিশ্বকাপের ভেন্যু শহর, স্টেডিয়ামসহ সব স্থানেই দেখা মিলবে বিশ্বকাপের স্বেচ্ছাসেবকদের। ছবি: জামিল খান
বিমানবন্দর থেকে শুরু করে বিশ্বকাপের ভেন্যু শহর, স্টেডিয়ামসহ সব স্থানেই দেখা মিলবে বিশ্বকাপের স্বেচ্ছাসেবকদের। ছবি: জামিল খান

২০১৮ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের অন্যতম আয়োজক শহর সেন্ট পিটার্সবার্গ। নেভা নদীর তীরে গড়ে ওঠা সেন্ট পিটার্সবার্গকে বলা হয় রাশিয়ার সাংস্কৃতিক রাজধানী।

ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে এখন বিদেশিদের পদচারণে মুখর উত্তরের শহর সেন্ট পিটার্সবার্গ। ফুটবল-ভক্তদের বিশ্বকাপের স্থানসহ শহরের পর্যটন এলাকাগুলোয় ঘুরে বেড়াতে নানা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছেন সেখানের কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক। ১৬ বছর থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৮৩ বছর বয়সী স্বেচ্ছাসেবক বিশ্বকাপের স্থান সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে নিয়োজিত।

চলমান বিশ্বকাপ ফুটবল আসরে সেন্ট পিটার্সবার্গের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবকের পরিচয় গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।

শহুরে স্বেচ্ছাসেবকদের নামের তালিকায় থাকা ওই রুশ নারীর বয়স ৮৩ বছর। তিনি বিশ্বকাপে এই আয়োজক শহরের সবচেয়ে প্রবীণ স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। তিনি সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরের স্থায়ী বাসিন্দা বলে খবরে জানা গেছে।

সেন্ট পিটার্সবার্গের স্বেচ্ছাসেবক প্রশিক্ষণকেন্দ্রের প্রধান গিওর্গি বোরিসভ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

রুশ ভাষা না জানা বিদেশিদের দারুণ সহযোগিতা করছেন রাশিয়া বিশ্বকাপের স্বেচ্ছাসেবকেরা। প্রথম আলোর ক্যামেরার সামনে এভাবেই পোজ দিলেন রাশিয়া বিশ্বকাপে কাজ করা এক দল রুশ স্বেচ্ছাসেবক। ছবি: জামিল খান
রুশ ভাষা না জানা বিদেশিদের দারুণ সহযোগিতা করছেন রাশিয়া বিশ্বকাপের স্বেচ্ছাসেবকেরা। প্রথম আলোর ক্যামেরার সামনে এভাবেই পোজ দিলেন রাশিয়া বিশ্বকাপে কাজ করা এক দল রুশ স্বেচ্ছাসেবক। ছবি: জামিল খান

রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমকে গিওর্গি বোরিসভ বলেন, ‘আমাদের শহুরে স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তির বয়স হচ্ছে ৮৩ বছর। তিনি সুস্থ ও স্বাভাবিক আছেন এবং ফুটবল বিশ্বকাপকে আরও সুন্দরভাবে আয়োজন করতে সহযোগিতা করছেন।’

সাংবাদিকেরা ওই রুশ নারীর পরিচয় জানতে চাইলে গিওর্গি বলেন, চাকরি থেকে অবসরগ্রহণের আগে তিনি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। বিশ্বকাপে নতুন প্রজন্মের সঙ্গে তিনি নিজের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করছেন। তবে গণমাধ্যমের কাছে এই রুশ নারীর নাম প্রকাশ করেননি গিওর্গি।

রাশিয়া বিশ্বকাপে ফিফার নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি আয়োজক শহরের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে শুধু সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে কাজ করছেন ২ হাজার ৩০০ জন স্বেচ্ছাসেবক। বেশির ভাগই রুশ তরুণী ও নারী। তাঁদের অনেকে আবার ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত কনফেডারেশনস কাপে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেন।

সেন্ট পিটার্সবার্গের স্বেচ্ছাসেবক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে পাওয়া খবরে জানা যায়, নগর স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে ইচ্ছুক এমন প্রায় ছয় হাজার প্রার্থীর কাছ থেকে আবেদনপত্র জমা পড়ে। সেখান থেকে যাচাই-বাছাই করে কয়েক ধাপ পেরোনোর পরে ২ হাজার ৩০০ জনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নির্বাচন করা হয়।

রাশিয়ার গণমাধ্যম থেকে পাওয়া খবরে জানা যায়, চলতি বছরকে রুশ সরকার স্বেচ্ছাসেবক বছর হিসেবে ঘোষণা করেছেন। সেন্ট পিটার্সবার্গে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকদের দেশের নামের তালিকায় রাশিয়া ছাড়াও রয়েছে বাংলাদেশ, চীন, কাজাখস্তান, স্পেন ও ফ্রান্স।