কাতারকে কেন অপছন্দ করে প্রতিবেশীরা?

কাতারের সঙ্গে থাকা ৬১ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তে খাল খননের পরিকল্পনা নিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। এর ফলে আক্ষরিক অর্থেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে কাতার। একটি দ্বীপে পরিণত হবে দেশটি। ছবিটি গুগল ম্যাপ থেকে নেওয়া
কাতারের সঙ্গে থাকা ৬১ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তে খাল খননের পরিকল্পনা নিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। এর ফলে আক্ষরিক অর্থেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে কাতার। একটি দ্বীপে পরিণত হবে দেশটি। ছবিটি গুগল ম্যাপ থেকে নেওয়া

আরব বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ কাতার। গত বছর হুট করেই কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও যোগাযোগের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ করে সৌদি আরবসহ চারটি দেশ। এর ফলে আরব অঞ্চলে প্রায় একঘরে হয়ে গেছে কাতার। এখন উপসাগরীয় স্থলভাগের সঙ্গে কাতারের একমাত্র সংযোগও বিচ্ছিন্ন করতে চাইছে সৌদি আরব। মধ্যপ্রাচ্যের মোড়ল দেশগুলোর এই কাতার-বিরোধিতার পেছনে রয়েছে নানামুখী জটিল সমীকরণ।

গত বছরের জুন মাসে আকস্মিকভাবে কাতারের ওপর একতরফা অবরোধ আরোপ করা হয়। সৌদি আরবের নেতৃত্বে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসর এই অবরোধের ঘোষণা দেয়। পরে আরও তিনটি দেশ এই অবরোধে শামিল হয়। শুরুর দিকে বেশ বেকায়দায় পড়েছিল কাতার। দেশটির সঙ্গে আকাশ, স্থল ও সমুদ্রপথে থাকা যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দেয় অবরোধকারী দেশগুলো। এমনকি অন্যান্য আরব দেশে থাকা কাতারের নাগরিকদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। তবে অবরোধের এক বছর পার হওয়ার পর বলাই যায়, অবরোধ সামলে দিব্যি আছে কাতার।

কাতারের ওপর অবরোধ আরোপের ঘটনাকে গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) ইতিহাসের সবচেয়ে টানাপোড়েনের মুহূর্ত হিসেবে অভিহিত করা যায়। ১৯৮১ সালে জিসিসি গঠন করে আরব দেশগুলো। প্রতিষ্ঠার পর থেকে জিসিসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে উপসাগরীয় অঞ্চলের অধিবাসীরা মুক্তভাবে চলাচল করতে পারতেন। কারণ, আরব অঞ্চলের বিভিন্ন উপজাতিগোষ্ঠী উপসাগরীয় অঞ্চলের নানা দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। তাই যোগাযোগের সুবিধার্থেই এ নিয়ম চালু ছিল। কিন্তু কাতারের ওপর অবরোধ আরোপের পর থেকে এই নিয়মে ব্যত্যয় ঘটতে থাকে।ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, সৌদি আরবসহ সাতটি দেশের অভিযোগ, সন্ত্রাসবাদে আর্থিক সহায়তা ও মদদ দিয়ে আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে কাতার। তবে দোহা কর্তৃপক্ষ বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর অবরোধ থেকে রেহাই পাওয়ার বিনিময়ে কাতারকে ১৩টি শর্ত মানতে বলে অবরোধকারী দেশগুলো। এসব শর্তের মধ্যে টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরা বন্ধ ও ইরানের সঙ্গে সম্পর্কে সীমারেখা টানার কথা বলা হয়েছিল। এ ছাড়া তুর্কি সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করা ও অন্যান্য আরব দেশে নিষিদ্ধ সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার শর্ত দেওয়া হয় কাতারকে।

কিন্তু অবরোধ দিয়ে কাতারকে কাত করতে না পেরে সৌদি আরব এখন অন্য কৌশল নিয়েছে। বিজনেস ইনসাইডারের খবর, কাতারের সঙ্গে থাকা ৬১ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তে খাল খননের পরিকল্পনা নিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। এর ফলে আক্ষরিক অর্থেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে কাতার। একটি দ্বীপে পরিণত হবে দেশটি। বিশ্লেষকেরা বলছেন, গত বছর কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পর এবার দেশটিকে ভৌগোলিকভাবে একঘরে করতে চাইছে সৌদি আরব।

মক্কাভিত্তিক একটি পত্রিকায় সম্প্রতি এই পরিকল্পনার বিষয়টি প্রকাশিত হয়। বলা হয়েছে, খননকাজের জন্য এরই মধ্যে পাঁচটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। এ বছরের শেষের দিকেই খাল খননের কাজ শেষ করতে চায় সৌদি আরব। আর এই খালের নিয়ন্ত্রণ থাকবে সৌদির হাতে। প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে আনুমানিক ৭৪৫ মিলিয়ন ডলার। বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, সৌদি আরবের সাম্প্রতিক পদক্ষেপে উপসাগরীয় অঞ্চলে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।

২০১৩ সালে কাতারের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা হন তামিম বিন হামাদ আল-থানি। ছবি: রয়টার্স
২০১৩ সালে কাতারের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা হন তামিম বিন হামাদ আল-থানি। ছবি: রয়টার্স

কাতারের অবস্থা কী?
১৯৯০-এর দশক থেকেই স্রোতের বিরুদ্ধে পথ চলছে কাতার। দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ৩ লাখ। জিসিসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে জনসংখ্যার দিক থেকে এই দেশটিই সবচেয়ে ছোট। তাই বলে এর অর্থের কোনো অভাব নেই। কারণ, দেশটিতে আছে অনেক গ্যাসক্ষেত্র। আর তা দিয়েই অর্থবিত্তে প্রভাবশালী হয়ে ওঠে কাতার।

ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, কাতারের সবচেয়ে বড় সমস্যা এর রাজবংশের রাজনীতি। ১৯৭২ সালে দেশটির প্রতিষ্ঠাতা আমিরকে পদচ্যুত করেন তাঁর এক দূর সম্পর্কীয় ভাই। ক্ষমতা দখল করা ওই আমিরকে আবার ক্ষমতাচ্যুত করেন তাঁর ছেলে হামাদ বিন খলিফা! ১৯৯৫ সালের ওই ঘটনার এক বছরের মাথায় হামাদ বিন খলিফার বিরুদ্ধে একটি অভ্যুত্থানচেষ্টা ব্যর্থ হয়। অভিযোগ আছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব সেই অভ্যুত্থান সংঘটনে সহায়তা করেছিল। ২০১৩ সালে শেখ হামাদ ক্ষমতা ছাড়েন। এরপর কাতারের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা হন তাঁর ছেলে তামিম বিন হামাদ আল-থানি।

বিশ্লেষকেরা বলেন, সেই ব্যর্থ অভ্যুত্থানচেষ্টার জন্য বরাবরই সৌদি ও আরব আমিরাতকে দায়ী করে থাকেন শেখ হামাদ। লিবিয়ার সাবেক শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির সঙ্গে তাঁর একটি কথোপকথন ২০০৮ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। তাতে শেখ হামাদ বলেছিলেন, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ সৌদি কর্তৃপক্ষকে সরিয়ে দেওয়া উচিত এবং এ জন্য সৌদিবিরোধী গোষ্ঠীর ওপর সমর্থন বাড়াতে হবে।

এক বছরের অবরোধ বেশ ভালোভাবেই সামাল দিয়েছে কাতার। অর্থনৈতিক দিক থেকে সাময়িক কিছু সমস্যা হলেও নতুন নতুন ইন্ডাস্ট্রি তৈরির মাধ্যমে তা কাটিয়ে উঠেছে দেশটি। ২০২২ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক দেশও হয়েছে কাতার। অবরোধ সত্ত্বেও শুরু হয়ে গেছে প্রস্তুতি। নিত্যনতুন অবকাঠামো নির্মাণও শুরু হয়ে গেছে পুরোদমে।

সৌদি কর্তৃপক্ষের ভাষায়, কাতারের আমির একজন ‘বেপরোয়া যুবরাজ’। অন্যদিকে কাতারের মতে, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান একজন ‘বালক’ মাত্র। ইকোনমিস্ট বলছে, সৌদি আরবসহ সাত দেশের অবরোধকে কাজে লাগিয়ে নিজ দেশের মানুষকে তীব্র জাতীয়তাবাদী করে তুলছেন কাতারের বর্তমান আমির। দেশটিতে এখন তামিম বিন হামাদের বড় বড় ছবি বিলবোর্ডে শোভা পাচ্ছে, যাতে থাকছে শাসকের প্রশংসাসূচক নানান শব্দ।

অবরোধ আরোপকারী দেশের মূল আপত্তির বিষয়, কাতারের আমিরের মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। এত দিন আরব অঞ্চলের সব সংবাদমাধ্যম শাসকদের স্বার্থ সংরক্ষণ করে আসছিল। বিরুদ্ধবাদী হয়েছে একমাত্র আল-জাজিরা। ছবি: রয়টার্স
অবরোধ আরোপকারী দেশের মূল আপত্তির বিষয়, কাতারের আমিরের মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। এত দিন আরব অঞ্চলের সব সংবাদমাধ্যম শাসকদের স্বার্থ সংরক্ষণ করে আসছিল। বিরুদ্ধবাদী হয়েছে একমাত্র আল-জাজিরা। ছবি: রয়টার্স

কাতারের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ
কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপকারী দেশগুলোর মূল অভিযোগ হলো, কাতার ইসলামি কট্টরপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে, সমর্থন করে মুসলিম ব্রাদারহুডকে। তা ছাড়া ইরানের সঙ্গে কাতারের দহরম-মহরমও পছন্দ করে না সৌদি আরব। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইরানবিরোধী মানসিকতা থেকেই কাতারকে একঘরে করতে চায় সৌদি আরব।

ইকোনমিস্ট বলছে, সৌদি আরবসহ চারটি দেশের মূল আপত্তির বিষয় হলো কাতারের আমিরের মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। এত দিন আরব অঞ্চলের সব সংবাদমাধ্যম শাসকদের স্বার্থ সংরক্ষণ করে আসছিল। বিরুদ্ধবাদী হয়েছে একমাত্র আল-জাজিরা। আর তাতেই শঙ্কিত আরব দেশগুলোর একনায়কেরা। এই সংবাদমাধ্যমকে অনেকেই কয়েক বছর আগের আরব বসন্তের উসকানিদাতা বলে মনে করে থাকেন। উপসাগরীয় অঞ্চলের একনায়ক শাসকেরা আল-জাজিরাকে তাঁদের ক্ষমতার জন্য হুমকি বলে মনে করেন। বিশেষ করে এই সংবাদমাধ্যমের টেলিভিশন চ্যানেলে যেভাবে অন্যান্য আরব দেশের শাসকদের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সংবাদ ও প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, তাতেই ভয় দেশগুলোর। শাসকদের আশঙ্কা, এই সংবাদমাধ্যমের কারণে তাঁদের একনায়কত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দানা বেঁধে উঠতে পারে।

নিন্দুকেরা বলছেন, আল-জাজিরার আরবিভাষী চ্যানেলটি কাতার সরকারের মুখপাত্রে পরিণত হয়েছে। আরব অঞ্চলে মুক্ত মত প্রচারের নামে এটি সন্ত্রাসবাদের পক্ষে দাঁড়িয়েছে এবং এর প্রতিবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতাও কম। আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধে সংবাদমাধ্যমটির অবস্থান পুরোপুরি পশ্চিমাবিরোধী ছিল। অন্যদিকে, সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনে সম্পৃক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত সেখানকার মানবিক পরিস্থিতির বিপর্যয় নিয়ে টুঁ শব্দটি করেনি আল-জাজিরা।

তবে আরব বসন্ত বা সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি পুরোপুরি নাকচ করে দিয়েছে আল-জাজিরা। ইকোনমিস্টকে দেওয়া তাদের বক্তব্য, এ ধরনের অভিযোগ আরব অঞ্চলের জনসাধারণকে অপমানের শামিল। নিজেদের দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিতে অতিষ্ঠ হয়েই মানুষ আরব বসন্তে অংশ নিয়েছিল।

অবরোধের যথার্থতা কতটুকু?
কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপকারী দেশগুলোর একটি ঢালাও অভিযোগ—দেশটি সন্ত্রাসবাদে মদদ দিচ্ছে। কিন্তু যারা অভিযোগ আনছে তারাও কিন্তু ধোয়া তুলসীপাতা নয়। ইকোনমিস্টের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, কুয়েত ও বাহরাইনের পার্লামেন্টে ইসলামপন্থীরা বেশ প্রভাবশালী। ইরানের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আছে কুয়েত ও ওমানের। অন্যদিকে, ইয়েমেন ও সোমালিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা আছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের। সুতরাং যেসব দোষে কাতারকে একঘরে করা হয়েছে, সেসব দোষে দুষ্ট অবরোধ আরোপ করা দেশগুলোও।

সৌদি আরবের যুবরাজ হিসেবে মোহাম্মদ বিন সালমান অভিষিক্ত হওয়ার পরই কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করা হয়। এ ক্ষেত্রে কলকাঠি নেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। কারণ, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে যুবরাজ বিন সালমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে সম্পর্ক বেশ ভালো। বিশ্লেষকদের ধারণা, মার্কিন মুলুকের সবুজ সংকেত ছাড়া অবরোধ আরোপ করা হয়নি। অবশ্য এই অবরোধ মিটিয়ে ফেলার তাগিদও দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলোতে অর্থ লেনদেনের বিষয় তদন্তে এখন মার্কিন প্রশাসনকে সহায়তা করছে কাতার।

আবার আরব অঞ্চলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় উচ্চকণ্ঠ কাতার কিন্তু নিজের দেশে তা চায় না। সেখানে উল্টো আমিরের শাসনকে পোক্ত করা চেষ্টা চলছে। কাতারের সঙ্গে প্রতিবেশীদের ঠোকাঠুকি খুব সহজে শেষ হবে বলে মনে করেন না বিশেষজ্ঞরা। এই অবরোধ আরোপের ঘটনায় উপসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের মধ্যে একটি শঙ্কা তৈরি করেছে। তারা ভাবছেন, যেকোনো সময় তাদের ওপরও খড়্গ নেমে আসতে পারে।

কুয়েত ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শফিক ঘাবরা বলছেন, একনায়ক শাসনব্যবস্থাই উপসাগরীয় অঞ্চলে সব বিপত্তির কারণ। ইকোনমিস্টকে তিনি বলেন, ‘তারা যদি কাতারের ক্ষেত্রে এমন আচরণ করতে পারে, তবে কুয়েত বা ওমানও বাদ যাবে কেন?’ তাঁর মতে, উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর একনায়ক শাসকদের কারণেই সেখানে বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী।