লেবাননে নারী পুলিশের শর্টস নিয়ে বিতর্ক

বিবিসির সৌজন্যে
বিবিসির সৌজন্যে

লেবাননের ব্রুমানা এলাকার মেয়র পিয়েরে আক্সার অদ্ভুত এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে চলছে বিতর্ক।

বিবিসির খবরে জানা যায়, একদল তরুণীকে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব দিয়েছেন মেয়র। তাঁরা সহায়ক হিসেবে কাজ করছেন। গরমকালে শর্টস পরে দায়িত্ব পালন করছেন সুন্দরী এই নারী পুলিশ সদস্যরা। পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশের পুরুষ সদস্যরা পা ঢাকা ট্রাউজার পরেই দায়িত্ব পালন করছেন।

ব্যাপারটি নিয়ে গণমাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার ঝড় উঠেছে।

মেয়র পিয়েরে আক্সার অবশ্য বলছেন, সব জায়গাতেই বদল আসছে। তাই ট্রাফিক পুলিশের নারী সদস্যদের পোশাকেও বদল আনা হয়েছে। মানুষ সৌন্দর্য পছন্দ করে। পোশাকটি শালীন না অশালীন, তা নির্ভর করে নিজের মানসিকতার ওপর। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতেও ট্রাফিক পুলিশের নারী সদস্যদের জন্য এ ধরনের পোশাক নির্ধারণ করা হয়েছে। স্থানীয়দের ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে আকৃষ্ট করতে চান তিনি।

মেয়র আরও বলেন, একটা সময় জিনস পরা ছিল অশালীন। সেটা বদলেছে। নারীরা স্বাধীনভাবে চলাচল করছেন। শালীন বা অশালীন যা-ই হোক না কেন তাঁরা স্বাধীন।

লাল টুপি ও কালো রঙের শর্টস পরে দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশের নারী সদস্যদরা। বিবিসিতে প্রকাশিত ভিডিওতে একজন নারী পুলিশ সদস্য জানালেন, তিনি ব্যাপারটি উপভোগ করছেন। সবাই তাঁর প্রশংসা করছেন। আরেক ট্রাফিক পুলিশ জানান, তিনি এমনিতেই শর্টস পরতে অভ্যস্ত। চাকরির জন্য তাঁকে পোশাক বদল করতে হয়নি। এটা তাঁর জন্য স্বস্তির।

আরও একজন ট্রাফিক পুলিশ জানান, তাঁরা সবাই শিক্ষার্থী। বয়স ২০-এর কোঠায়।

তবে পথচলতি কয়েকজন বিবিসিকে জানিয়েছেন অসন্তুষ্টির কথা। এক নারী জানান, এটা একধরনের বাণিজ্য। নারীর সৌন্দর্যকে এভাবে ব্যবহার করা ঠিক নয়।

স্থানীয় একজন জানান, ‘আমি মনে করি, এটা ঠিক নয়। নারীদের জন্য, পুলিশের জন্য ও সরকারের জন্য এটা সঠিক সিদ্ধান্ত নয়।’

সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে অনেকে বলছেন, কেবল নারীদেরই কেন শর্টস পরে পর্যটকদের আকর্ষণ করতে হবে?

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন বলেন, নারীরা সুন্দর হওয়ায় ও শর্টস পরায় গাড়ি এখন ধীরগতিতে চলবে। শর্টসে খারাপ কিছু নেই।

তবে মেয়র বলছেন, সবাই এই সিদ্ধান্তে খুশি।