সেনা-পুলিশ সদস্যসহ সাড়ে ১৮ হাজার সরকারি চাকরিজীবী বরখাস্ত

তুরস্কে ২০১৬ সালের জুলাইয়ে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানচেষ্টার পর ব্যাপক ধরপাকড় ও শুদ্ধি অভিযান শুরু করে দেশটির সরকার। ছবি: রয়টার্স
তুরস্কে ২০১৬ সালের জুলাইয়ে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানচেষ্টার পর ব্যাপক ধরপাকড় ও শুদ্ধি অভিযান শুরু করে দেশটির সরকার। ছবি: রয়টার্স

সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যসহ প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার সরকারি চাকরিজীবীকে বরখাস্ত করেছে তুরস্ক। দেশটির সরকারি ডেটাবেজের বরাত দিয়ে রোববার এই খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

তুরস্কের সরকারি এক আদেশ বলা হয়েছে, দুই বছর আগে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে চেষ্টায় জড়িত থাকার অংশ হিসেবে ১৮ হাজার ৬৩২ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন ৮ হাজার ৯৯৮ জন পুলিশ কর্মকর্তা, ৩ হাজার ৭৭ জন সৈন্য, ১ হাজার ৯৪৯ জন বিমানবাহিনীর কর্মী এবং ১ হাজার ১২৬ জন নৌবাহিনীর সদস্য।

এ ছাড়াও ১ হাজার ৫২ জন্য বেসামরিক কর্মী, ১৯৯ জন একাডেমিক কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং অন্তত তিনটি সংবাদপত্র, একটি টেলিভিশন চ্যানেল ও ১২টি সংবাদ সংস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এক আদেশে বলা হয়েছে, এর আগে বরখাস্ত করা করা ১৪৮ কর্মীকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়েছে।

২০১৬ সালের জুলাই মাসে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সরকার উৎখাতের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার ঘটনায় ২৩০ বেশি মানুষ নিহত হন। এর পর থেকে দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে। সেখানে অন্তত সাত বার জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো হয়। চলতি জরুরি অবস্থা আগামী ১৯ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। ওই ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মুসলিম ধর্মপ্রচারক ফেতুল্লাহ গুলেনকে অভিযুক্ত করে তুরস্ক। যাদের বরখাস্ত করা হয়েছে তাদের বেশির ভাগের গুলেনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে।