মণিপুর, মেঘালয়, নাগাল্যান্ডের পর আসামেও মাছে ফরমালিন

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোয় মাছে ফরমালিন পাওয়া যাচ্ছে। মণিপুর, মেঘালয়, নাগাল্যান্ডের পর এবার আসামেও বিভিন্ন বাজার থেকে মাছের নমুনা সংগ্রহ করে জানা গেল, ফরমালিনের প্রকোপ রয়েছে পুরোদমে।

পশ্চিমবঙ্গে সম্প্রতি বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় মরা মুরগি, খাসি খাওয়ানোর প্রমাণ পাওয়া যায়। এই ‘ভাগাড়-কাণ্ডের’ জেরে আসামেও চলছে খাদ্যসামগ্রীর নমুনা পরীক্ষা। রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পীযূষ হাজারিকা নিজেও বের হয়েছিলেন খাদ্য পরীক্ষায়। সম্প্রতি আসামের গুয়াহাটির বিভিন্ন মাছবাজারেও হানা দেন তিনি। সেই সময়ে সংগ্রহ করা মাছের নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন খাদ্য দপ্তরের হাতে এসেছে। সেই প্রতিবেদনেই ফরমালিন ব্যবহারের তথ্য জানা যায়।

গুয়াহাটির খাদ্য পরিদর্শক তরুণ দাস সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেছেন মাছে ফরমালিন পাওয়ার কথা। তিনি বলেন, ‘ফরমালিন দেওয়া মাছের হদিস মিলেছে। বিভিন্ন মাছবাজার থেকে সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন আমরা পাঠিয়ে দিয়েছি খাদ্য নিরাপত্তা দপ্তরে। তারা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে।’

জানা গিয়েছে, বিভিন্ন রাজ্য থেকে আমদানি করা মাছেই শুধু নয়, রাজ্যে উৎপাদিত মাছকেও টাটকা রাখতে ব্যবহার করা হচ্ছে ফরমালিন। এ কারণে চোখ বা ত্বকের চুলকানি থেকে শুরু করে কিডনি খারাপ বা ক্যানসারের মতো মরণব্যাধির আশঙ্কা থাকছে মাছপ্রেমীদের।

শুধু আসামই নয়, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মণিপুর, মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডেও ফরমালিন মেশানো মাছ ধরা পড়েছে। অতি সম্প্রতি নাগাল্যান্ড সরকার ফরমালিনযুক্ত প্রচুর মাছ বাজেয়াপ্তও করে।

তবে ত্রিপুরায় মাছে ফরমালিন এখনো পাওয়া যায়নি। কিছুদিন আগে আগরতলা পৌরসভা ও রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর পৃথক পৃথকভাবে মাছের নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠায়। ল্যাবরেটরি প্রতিবেদনে বলা হয়, মাছে ফরমালিন নেই।

ত্রিপুরার মাছের চাহিদা সিংহভাগই মেটায় বাংলাদেশ। সম্প্রতি আখাউড়া-আগরতলা স্থলবন্দরে আমদানি করা মাছ পরীক্ষার বিশেষ বন্দোবস্তও করেছে ভারত সরকার।