পাইলটের ভুলে উড়োজাহাজযাত্রীদের দুর্ভোগ

চীনের অন্যতম এয়ারলাইনস এয়ার চায়না। ছবি: রয়টার্স
চীনের অন্যতম এয়ারলাইনস এয়ার চায়না। ছবি: রয়টার্স

এয়ার চায়নার একটি ফ্লাইট গত মঙ্গলবার হংকং থেকে দিলান শহরের দিকে উড়াল দেয়। সব ঠিকঠাক ছিল। আচমকা ঘোষণা এল দ্রুত সিটবেল্ট বেঁধে নিতে। কারণ, উড়োজাহাজকে জরুরি অবতরণ করতে হবে। শুধু তা-ই নয়, সব যাত্রীর মুখের সামনে নেমে এল অক্সিজেন মাস্ক। উড়োজাহাজ নেমে এল ২১ হাজার ফুট নিচে।

পরে অবশ্য অবতরণের প্রয়োজন হয়নি। উড়োজাহাজটি ঠিকমতো পৌঁছেছে। কিন্তু কেন এমনটা হলো, তা তদন্ত করতে গিয়ে চায়না সিভিল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন দেখতে পায়, সহকারী পাইলট উড়োজাহাজে বসে ই-সিগারেট টানছিলেন। বিষয়টি তিনি পাইলটকেও জানাননি। সিগারেটের ধোঁয়া যাত্রীদের কেবিনে যাতে যেতে না পারে, এ জন্য পাখা বন্ধ করতে গিয়ে তিনি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) বন্ধ করে দেন। এতে কেবিনে অক্সিজেন কমে যায়।

দ্য রেগুলেটরস সেফটি অফিসার কিয়াও ইয়িবিন বলেন, ক্রুরা সব ধরনের জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। যতক্ষণ না সমস্যাটি চিহ্নিত করা গেছে, ততক্ষণ পর্যন্ত অক্সিজেন মাস্ক নামিয়ে রেখেছেন।

উড়োজাহাজের ভেতরকার এই ছবি চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েবু থেকে নেওয়া।
উড়োজাহাজের ভেতরকার এই ছবি চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েবু থেকে নেওয়া।

কেবিন প্রেশার কমে এলে ক্রু ও যাত্রীদের নিরাপদে রাখতে পাইলটকে উড়োজাহাজ অনেক নিচে নামিয়ে আনতে হয়। একসময় তাঁরা এসি বন্ধ অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুনরায় চালু করেন। এরপর উড়োজাহাজটি ঠিকঠাকমতো গন্তব্যে পৌঁছায়।

কর্তৃপক্ষ এরপরও ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করে দেখছে। তারা ফ্লাইটের ডেটা রেকর্ডার ও ককপিটের ভয়েস রেকর্ডার পরীক্ষা করে দেখছে।

চীনের ফ্লাইট নীতিমালা অনুযায়ী, ২০০৬ সাল থেকে উড়োজাহাজে ফ্লাইট ক্রু ও যাত্রীদের সব ধরনের ধূমপান নিষিদ্ধ।