রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার ১২ এজেন্ট চিহ্নিত

হিলারি ক্লিনটন। ফাইল ছবি
হিলারি ক্লিনটন। ফাইল ছবি

২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার ১২টি এজেন্টের যোগসাজশের প্রমাণ পেয়েছে মার্কিন বিচার বিভাগ। গতকাল শুক্রবার এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

সিএনএনের খবরে বলা হয়, রাশিয়া ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করার চেষ্টা করেছিল। সেই সঙ্গে রাশিয়া বর্তমান প্রেসিডেন্ট এবং সে সময়ের রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে সহায়তা করেছিল। রাশিয়ার এসব এজেন্টের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালজুড়ে বেশ কিছু অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। মানি লন্ডারিং ষড়যন্ত্রেও এসব এজেন্ট জড়িত ছিল।

হিলারি ক্লিনটনের নির্বাচনী প্রচারের সঙ্গে যুক্ত ৩০০-এরও বেশি জনকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল রাশিয়া। তাঁদের মধ্যে হিলারি ক্লিনটনের নির্বাচনী প্রচারবিষয়ক চেয়ারম্যান জন পডেস্টাও ছিলেন। ডেমোক্র্যাটদের গবেষণা, প্রচার অভিযান, ভোটারদের বেশ কিছু তথ্য চুরি করে এজেন্টরা।

রুশ হ্যাকাররা ডেমোক্র্যাটদের কাছ থেকে হাজার হাজার তথ্য চুরির পরিকল্পনা করেছিলেন। আর এ কাজে তাঁরা খুব সাধারণ অথচ কার্যকর মাধ্যম ব্যবহার করেছিলেন। তাঁরা টুইটার ও ফেসবুক ব্যবহার করেছিলেন। রুশ হ্যাকারদের হ্যাকিংয়ে বিটকয়েনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

হ্যাকাররা গুগলে কিছু ভুয়া লিংক ও সার্ভারে ম্যালওয়ার ব্যবহার করেন। পাসওয়ার্ড চুরি করা হয়, ডেমোক্র্যাটদের ব্যাংকিং তথ্যের স্ক্রিনশট নেওয়া হয়। এরপর এই তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

পুরো কাজটাই হ্যাকাররা নিজেদের পরিচয় লুকিয়ে রেখে করেন। তাঁরা নিজেদের আমেরিকান অথবা রোমানীয় বলে পরিচয় দেন। বলেন রাশিয়ার সরকারের সঙ্গে তাঁদের কোনো সম্পর্ক নেই। রাশিয়ার ১২ জন গোয়েন্দা কর্মকর্তা অনলাইনে ভুয়া নাম ব্যবহার করেন।

হ্যাকাররা ৫ লাখ ভোটারের ব্যক্তিগত তথ্য, সামাজিক নিরাপত্তা নম্বর, গাড়িচালকের লাইসেন্স চুরি করেন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আগামী সোমবার ট্রাম্পের বৈঠক করার কথা। কয়েকজন আইনপ্রণেতা এই অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে কথা বলার জন্য ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।