ভারতে বিভিন্ন অঞ্চলে রথযাত্রা
পশ্চিমবঙ্গসহ সর্বত্র সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে রথ উৎসব। আজ শনিবার পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার মাহেশ ও কলকাতায় দুটি সুবিশাল রথযাত্রা হয়েছে। তবে ওডিশা রাজ্যের পুরীতে প্রধান রথযাত্রার অনুষ্ঠানে সমবেত হয়েছেন লাখ লাখ সাধারণ মানুষ ও বিদেশি পর্যটক। টানা ৯ দিন চলবে রথ উৎসব।
আজ কলকাতায় ইসকনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে রথযাত্রা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রথের দড়িতে টান দিয়ে যাত্রার সূচনা করেছেন।
আজ পুরীর রাজার হাত দিয়ে রথযাত্রার সূচনা হয়েছে। জগন্নাথ, বলরাম এবং শুভদ্রার বিগ্রহ নিয়ে রথ রওনা দেয় মাসির বাড়ির উদ্দেশে। রথযাত্রার শুরুতে বলরামের রথ, এরপর থাকে সুভদ্রার রথ, সবশেষে জগন্নাথের রথ। যে রথে করে এই বিগ্রহ রওনা দিয়েছে, সেটি তৈরি হয়েছে ২০৬টি কাঠ দিয়ে। মানবদেহে যেহেতু ২০৬টি হাড় থাকে, তাই পুরীর রথও তৈরি হয়েছে ২০৬টি কাঠ দিয়ে। কারণ পুরীর রথকে মানবদেহ হিসেবেই দেখা হয়।
এর অর্থ, মানবদেহেই ঈশ্বরের অধিষ্ঠান। রথ উপলক্ষে শনিবার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। নিরাপত্তারক্ষীদের প্রায় ১৪০টি দল নজরদারি চালাচ্ছে। রথ উপলক্ষে ইতিমধ্যে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি। প্রখ্যাত বালুশিল্পী সুদর্শন পট্টনায়েক তাঁর শিল্পের মাধ্যমে সবাইকে রথযাত্রার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এদিকে এদিন দুপুরে মাসির বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয় মাহেশের রথ। এদিন সকালেই সাধারণ মানুষের দর্শনের জন্য মন্দিরের বাইরে এনে রাখা হয় জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার বিগ্রহ। মাহেশের রথ আদিতে ছিল কাঠের তৈরি। লোহার রথ তৈরি হয় ১৩৭ বছর আগে। ১২৫ টন ওজনের এই রথ ৫০ ফুট উঁচু। পুরীর জগন্নাথের ১২ বছর অন্তর নব কলেবর হয়। কিন্তু মাহেশে ৬২২ বছর ধরে একই বিগ্রহ।