সেই রোবেন দ্বীপ এখন

পৃথিবীর দক্ষিণ প্রান্তে আটলান্টিক মহাসাগর ও ভারত মহাসাগর যেখানে মিলিত হয়েছে, তার ঠিক পশ্চিমে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহর। কেপটাউনের সমুদ্র উপকূল থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে ছয় বর্গ কিলোমিটার আয়তনের রোবেন দ্বীপের অবস্থান। প্রথম দিকে কৃষিকাজে ব্যবহৃত হলেও পরে এই দ্বীপ ক্রীতদাসদের জন্য নির্ধারিত হয়। ঔপনিবেশিক আমল থেকে এই দ্বীপে ব্রিটিশরা নানা অপরাধীদের বন্দী করে রাখত।

১৯৬২ থেকে ১৯৯০ সাল—দীর্ঘ ২৭ বছরের ১৮ বছর এই নির্জন দ্বীপে কারাবন্দী ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা। তিনি ছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী ও মুক্তিসংগ্রামের অনেক নেতাকে বিভিন্ন সময় রোবেন আইল্যান্ডে অন্তরীণ করে রাখা হয়েছিল। ১৯৯৯ সালের পর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার রোবেন আইল্যান্ডের বন্দিশালাকে দেশের অন্যতম জাতীয় জাদুঘর হিসেবে ঘোষণা দেয়। পরে ইউনেসকো দ্বীপটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

পৃথিবীর অসংখ্য মানুষ কেপটাউন শহরের ম্যান্ডেলা গেটওয়ে থেকে নৌযানে করে রোবেন আইল্যান্ডে আসেন। পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে ম্যান্ডেলার বন্দিশালাটি। পর্যটকদের বাসে করে ঘুরিয়ে দেখানো হয় পুরো দ্বীপ। দেখানো হয় কারাগারে থাকা বিভিন্ন বন্দীর দলিল-দস্তাবেজ ও ঐতিহাসিক স্থানসমূহ।

রোবেন দ্বীপে নেলসন ম্যান্ডেলার বন্দিশালার প্রবেশপথ
রোবেন দ্বীপে নেলসন ম্যান্ডেলার বন্দিশালার প্রবেশপথ
বন্দিশালার দেয়ালে নেলসন ম্যান্ডেলাসহ অন্যান্য মুক্তিসংগ্রামীদের দেয়ালচিত্র।
বন্দিশালার দেয়ালে নেলসন ম্যান্ডেলাসহ অন্যান্য মুক্তিসংগ্রামীদের দেয়ালচিত্র।
বন্দিশালার ঘটনা বর্ণনা করছেন জাদুঘরের একজন কর্মী।
বন্দিশালার ঘটনা বর্ণনা করছেন জাদুঘরের একজন কর্মী।
বন্দিশালায় এই বিছানাহীন কক্ষে ম্যান্ডেলা ১৮ বছর অন্তরীণ ছিলেন।
বন্দিশালায় এই বিছানাহীন কক্ষে ম্যান্ডেলা ১৮ বছর অন্তরীণ ছিলেন।
বন্দিশালার এই স্থানে প্রতিদিন অল্প সময়ের জন্য হাঁটতেন ম্যান্ডেলা।
বন্দিশালার এই স্থানে প্রতিদিন অল্প সময়ের জন্য হাঁটতেন ম্যান্ডেলা।
বন্দিশালায় ম্যান্ডেলার সেই ছোট ঘরটি।
বন্দিশালায় ম্যান্ডেলার সেই ছোট ঘরটি।
রোবেন দ্বীপে বন্দিশালার প্রাচীর।
রোবেন দ্বীপে বন্দিশালার প্রাচীর।
রোবেন দ্বীপে মৃত বন্দীদের সমাধিস্থল।
রোবেন দ্বীপে মৃত বন্দীদের সমাধিস্থল।
দ্বীপের বন্দিশালার প্রশাসনিক ভবন।
দ্বীপের বন্দিশালার প্রশাসনিক ভবন।
১৯৯০ সালে শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত রাজনৈতিক বন্দীদের কেপটাউনে ফেরার ছবি শোভা পাচ্ছে বন্দিশালার দেয়ালে।
১৯৯০ সালে শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত রাজনৈতিক বন্দীদের কেপটাউনে ফেরার ছবি শোভা পাচ্ছে বন্দিশালার দেয়ালে।
বন্দিশালার দেয়ালে নেলসন ম্যান্ডেলাসহ অন্য মুক্তিসংগ্রামীদের ছবি।
বন্দিশালার দেয়ালে নেলসন ম্যান্ডেলাসহ অন্য মুক্তিসংগ্রামীদের ছবি।