ইউরোপজুড়ে গরম, সাঁতার কাটতে হন্যে সবাই

অগ্নিনির্বাপক উড়োজাহাজ থেকে পানি ছিটিয়ে সুইডেনের বনাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া আগুন নেভানো হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত
অগ্নিনির্বাপক উড়োজাহাজ থেকে পানি ছিটিয়ে সুইডেনের বনাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া আগুন নেভানো হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ইউরোপজুড়ে প্রচণ্ড গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ। গরমকালে ইউরোপের দক্ষিণের দেশ, যেমন: ইতালি, গ্রিস, পর্তুগাল, স্পেনে তাপমাত্রা বেড়েছে। এই বছর উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ ইউরোপের দেশগুলোতে প্রচণ্ড গরম পড়েছে।

ভূমধ্যসাগরসংলগ্ন স্পেন থেকে গ্রিস পর্যন্ত ইউরোপের ১০টি উষ্ণতম শহরের বার্ষিক গড় তাপমাত্রা সাধারণত ২০ থেকে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছর গ্রীষ্মে তা বেড়ে ৩৩ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। শুধু দক্ষিণ ইউরোপের দেশগুলোতেই নয়, উত্তর ইউরোপের, ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ, স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলের নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ও মধ্য ইউরোপের জার্মানি, হল্যান্ড, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড—সব জায়গায় প্রচণ্ড গরম। এসব দেশে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়াবিদেরা জানান, আগামী সপ্তাহে এই তাপমাত্রা আরও বাড়বে।

প্রায় চার সপ্তাহজুড়ে সারা ইউরোপে কম বৃষ্টির কারণে চরম খরা। এ বছর বসন্তকাল থেকেই উচ্চ তাপমাত্রা, অনাবৃষ্টি চলছে। আবহাওয়াবিদেরা আশঙ্কা করছেন, তাপমাত্রা আরও বাড়বে।

তীব্র দাবদাহে সুইডেনের ১৫টি বনাঞ্চলে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। ফ্রান্স, ইতালি, নরওয়ে ও জার্মানির অগ্নিনির্বাপক উড়োজাহাজ সুইডেনের বনভূমিতে আগুন নেভাতে সহায়তা দিয়েছে।

জার্মানির প্রকৃতিবিষয়ক সংগঠন স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার এক ঘোষণায় টানা অনাবৃষ্টির কারণে জনগণকে পশু-পাখিদের তৃষ্ণা মেটাতে বারান্দা এবং বাগানে পানির পাত্র রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন। জার্মানির বিভিন্ন হাসপাতালে প্রচণ্ড গরমে শারীরিকভাবে দুর্বল ব্যক্তিরা চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ইউরোপজুড়ে বিভিন্ন হ্রদ, নদীর তীরে ও সাঁতার কাটার জায়গাগুলোতে লোকদের ভিড় জমেছে।