আঞ্চলিক ও ছোট শহরে থাকতে বলছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল

অস্ট্রেলিয়ার আঞ্চলিক ও ছোট শহরগুলোতে দক্ষ অভিবাসীদের পাঠাতে নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে দেশটির সরকার। নতুন অভিবাসন আইন ও ভিসা প্রণয়নের মাধ্যমে ছোট শহরে দক্ষ অভিবাসীদের বসবাসে জোর দেবে অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন বিভাগ।

গতকাল শনিবার কুইন্সল্যান্ডে উপনির্বাচনের প্রচারের সময় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল এ ঘোষণা দেন।

অস্ট্রেলিয়ায় আধুনিকতায় সজ্জিত উন্নত শহর যেমন রয়েছে, তেমনই আঞ্চলিক ও ছোট শহরে রয়েছে ঐতিহ্যের ধারণ। তবে অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসী হয়ে আসা বেশির ভাগ মানুষই দেশটির প্রধান শহরগুলোতেই বসবাসের ইচ্ছে পোষণ করেন। অঞ্চল কর্তৃক মনোনীত হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় আসা অভিবাসীরা স্থায়ী বসবাসের বন্দোবস্ত করে প্রধান শহরে বসবাস শুরু করেন। এতে দেশটির ছোট শহরে দক্ষতার ঘাটতি থেকে যায়। পাশাপাশি অঞ্চলগুলোর উন্নয়ন ব্যাহত হয়। আর বড় শহরগুলোর জনসংখ্যাও বেড়েই চলেছে।

আঞ্চলিক ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় আসা অভিবাসীরা স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পেয়ে গেলে ছোট শহর ত্যাগ করেন। তবে নতুন পরিবর্তনে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পেলেও মনোনীত হয়ে আসা অঞ্চলেই বাস করতে হবে। টার্নবুল সরকারের নতুন এ পরিকল্পনার কথা জানালেন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব ও বহু সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী অ্যালান টিউজ। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, যদি কেউ আঞ্চলিক এলাকায় কর্মরত থাকার ভিসা নিয়ে আসেন, তাহলে এমনটা প্রত্যাশা করা অযৌক্তিক নয় যে তাঁরা সেই এলাকাতেই একটি নির্দিষ্ট সময় থাকবেন।’

অস্ট্রেলিয়ায় আঞ্চলিক ভিসার মধ্যে রয়েছে সাবক্লাস ১৮৭ ও ৮৮৭। গত বছরে প্রায় ১ লাখ ৮৪ হাজার স্থায়ী অভিবাসীর মধ্যে ১২ হাজারই আঞ্চলিক ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পেয়েছেন। এ ভিসার আবশ্যিক শর্তগুলোর একটি ভিসাধারীকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মনোনীত অঞ্চলে কাজ করতে হবে, অথবা নির্ধারিত অঞ্চলের কোনো প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মনোনয়ন পেতে হবে। তবে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি থাকলে যেকোনো অঞ্চলেই বসবাসের সুযোগ পাবে ভিসাধারী। অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন বিভাগের প্রধান মাইকেল পেজুলো জানান, আঞ্চলিক ভিসায় আসা অভিবাসীদের স্বাধীন বসবাসের ওপর সীমাবদ্ধতা টানাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছে সরকার।

নতুন পরিকল্পনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী টার্নবুল বলেন, ‘আমরা সব সময় যা করতে চাই তা হলো আঞ্চলিক এলাকায় কাজ করার জন্য অভিবাসীদের উৎসাহিত করা। যেখানে বড় শহরগুলোর তুলনায় শ্রমঘাটতি ও দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে।’ তবে এতে হিতে বিপরীতে যেন না হয়ে যায়, সেদিকেও চেষ্টা বজায় রাখছে অভিবাসন বিভাগ।