আয়রনম্যানের পোশাক কিনবেন?

আয়রনম্যানের পোশাকে রিচার্ড ব্রাউনিং।
আয়রনম্যানের পোশাকে রিচার্ড ব্রাউনিং।

হলিউডের ‘আয়রনম্যান’ সিরিজ কিংবা ‘অ্যাভেঞ্জার্স’ সিরিজের চলচ্চিত্রগুলো যিনি দেখেছেন, তিনি লৌহমানব বা আয়রনম্যানের সঙ্গে পরিচিত। তবে রুপালি পর্দায় আয়রনম্যানকে দেখে রোমাঞ্চিত হওয়ার দিন ফুরিয়ে এসেছে। যুক্তরাজ্যের রিচার্ড ব্রাউনিং সাধারণ মানুষকেও আয়রনম্যান হওয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠান গ্র্যাভিটি জানিয়েছে, লৌহমানবের পোশাক বিক্রি হচ্ছে। সে জন্য গ্রাহককে গুনতে হবে কমপক্ষে ৪ লাখ ৪২ হাজার ৩৯৬ মার্কিন ডলার।

রিচার্ড ব্রাউনিংয়ের উদ্ভাবিত আয়রনম্যানের পোশাকটি ১২ হাজার ফুট ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩২ মাইল গতিতে উড়তে পারে। থ্রি-ডি প্রযুক্তিতে প্রিন্ট করা যন্ত্রাংশ দিয়ে এর কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। আর ওড়ার জন্য এতে যোগ করা হয়েছে বিশেষ ইলেকট্রনিক যন্ত্র ও পাঁচটি জেট ইঞ্জিন। পোশাকটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় বেশ কয়েকবারই সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন ব্রাউনিং।

গ্র্যাভিটি কর্তৃপক্ষ বলেছে, লন্ডনের সেলফ্রিজেস নামের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে বিক্রির জন্য আয়রনম্যানের পোশাক তোলা হয়েছে। এরই মধ্যে একজন গ্রাহক প্রথম পোশাকটি কিনতে বুকিং দিয়েছেন। তবে তাঁর নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি গ্র্যাভিটি কর্তৃপক্ষ।

৩৯ বছর বয়সী ব্রাউনিং বলেন, লৌহমানবের উড়ো পোশাকের ধারণাটি তাঁর মাথায় আসে একটি উপন্যাস পড়ে। লৌহমানবের পোশাক পরে উড়ে বেড়ানো খুব সহজ বলে জানান তিনি। এ ক্ষেত্রে ভারসাম্যটা রক্ষা করাই মূল চ্যালেঞ্জ। ব্রাউনিং বলেন, ‘আপনি যদি বন্ধুর মাঠ দৌড়ে পাড়ি দিতে পারেন, তাহলে কেন উড়তে পারবেন না?’

লৌহমানবের এই পোশাক তৈরি ও তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিয়ে এরই মধ্যে গিনেস বুকে নাম লিখিয়েছেন ব্রাউনিং। তিনি ও তাঁর প্রতিষ্ঠান এখন এই পোশাককে আরও উন্নত করার কাজ করছেন। তাঁদের এবারের লক্ষ্য, আয়রনম্যানের পোশাকের একটি ইলেকট্রিক সংস্করণ উদ্ভাবন। ব্রাউনিংয়ের মতে, এই পোশাক যোগাযোগ, যাতায়াতসহ মানুষের জীবনযাত্রার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। কাজেই সেদিন আর বেশি দূরে নেই, যখন মানুষ মোটরযান কিংবা উড়োজাহাজে করে নয়, আয়রনম্যানের পোশাক পরে নিজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় উড়ে যাবে।