মুলারকে সত্য বলা ট্রাম্পের জন্য এত কঠিন কেন?

২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ এবং সে সময়ের রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নির্বাচনে জয়ী করার ক্ষেত্রে রুশ সরকারের বিরুদ্ধে আঁতাত করার অভিযোগ রয়েছে। সেই অভিযোগের বিষয়ে এখনো তদন্ত চলছে। তদন্ত করছেন দেশটির বিচার বিভাগের স্পেশাল কাউনসেল রবার্ট মুলার।

এ বিষয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণে মুখোমুখি বসে রবার্ট মুলারকে সাক্ষাৎকার দিতে চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু ট্রাম্পের আইনি দল সেই আলোচনার পথ বন্ধ করে দিয়েছে। আইনজীবীরা বলছেন, এ ধরনের সাক্ষাত্কারে আইনি ঝুঁকি রয়েছে। মুলারের সঙ্গে ট্রাম্পের মুখোমুখি বসাটাকে হাস্যকরও মনে করছেন তাঁরা। ট্রাম্পের আইনজীবীরা আরও বলেন, মুলারের সঙ্গে তাঁদের কমান্ডার ইন চিফের (ট্রাম্প) বসা উচিত হবে না। প্রশ্ন থাকলে জবাব দেবেন তাঁর আইনজীবীরা।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হোয়াইট হাউসের সাবেক যোগাযোগ পরিচালক অ্যান্টনি স্ক্যারমুচ্চি বলেন, যদি প্রেসিডেন্টের গোপন করার কিছু না থাকে। তবে কেন তিনি সোজাসুজি সত্যটা বলছেন না এবং পরিস্থিতির মোকাবিলা করছেন না?

সাক্ষাৎকার দিলে ট্রাম্প প্রতারণার শিকার হতে পারেন তাঁর আইনজীবীদের এমন আশঙ্কার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে অ্যান্টনি স্ক্যারমুচ্চি বলেন, ‘তাঁর (ট্রাম্প) ব্যক্তিত্ব এমন যে, তিনি কাহিনি রচনা করতে পছন্দ করেন।’

গত বুধবার ট্রাম্পের আইনজীবী রুডি গিউলিয়ানি ফক্স নিউজকে বলেন, তাঁর বিশ্বাস ২০১৬ সালে ট্রাম্প টাওয়ারে বৈঠকে তাঁর (ট্রাম্পের) ভূমিকা এবং এফবিআইয়ের সাবেক পরিচালক জেমস কোমির পদচ্যুত করা নিয়ে মুলার প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করবেন।

ট্রাম্পের আইনজীবী দলের অপর সদস্য হলেন জে সেকুলো। বলেন, মুলারের কাছে ট্রাম্প সাক্ষ্য দিলে সেটা হবে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান লঙ্ঘন। এটা আদালতের বিচার নয়। এটা একটি রাজনীতিক প্রক্রিয়া, যা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

হোয়াইট হাউসের সাবেক কর্মকর্তা ওমরোসা ম্যানিগঘট-নিউম্যান বলেন, আমি উপলব্ধি করেছিলাম, যদি সাক্ষাৎকারটি হতো, তবে ট্রাম্পের মস্তিষ্ক থেকে কিছু সত্য ও মারাত্মক কিছু বেরিয়ে আসত। কেননা তাঁর মানসিক অবক্ষয় তাঁকে প্রত্যাখ্যাত করত না।