বিজেপির সমালোচনার জবাব দিল ওয়াশিংটন পোস্ট

রয়টার্স ফাইল ছবি।
রয়টার্স ফাইল ছবি।

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি আমাজনের প্রধান নির্বাহী ভারত সফরে এসে বিজেপির নেতাদের কাছ থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা পাননি। ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর সম্পাদকীয় নীতির প্রতি ক্ষুব্ধ ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। দলের বিদেশবিষয়ক বিভাগের প্রধান বিজয় চৌথিওয়ালে বলেছেন, ওই পত্রিকার ভারতবিষয়ক সংবাদ পরিবেশনা নিয়ে প্রচুর সমস্যা রয়েছে।

আমাজনের মালিকানাধীন ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর জ্যেষ্ঠ সম্পাদক বিজয় চৌথিওয়ালে বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় টুইটে লিখছেন, জেফ বেজোস ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর সাংবাদিকদের কী লিখতে হবে, তা বলে দেন না।

এর আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে চৌথিওয়ালে বলেছেন, ওই সংবাদপত্রের নীতি অত্যন্ত পক্ষপাতদুষ্ট।

১১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক বেজোস সম্প্রতি তিন দিনের সফরে ভারতে এসেছিলেন। সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের জন্য সময় চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বেজোসকে ‘অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেননি মোদি। শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, মন্ত্রিসভার কোনো সদস্যই বেজোসের সঙ্গে দেখা করেননি।

সফরে এসে ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতে ১০০ কোটি ডলার (প্রায় ৭ হাজার ৯২ কোটি রুপি) বিনিয়োগ ও ১০ লাখ চাকরির সুযোগ তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন বেজোস। এ ছাড়া ভারতের প্রশংসা করে বলেন,‘যতবারই ভারতে ফিরে আসি, আরও বেশি করে দেশটির প্রেমে পড়ে যাই। ভারতীয়দের কর্মশক্তি, উদ্ভাবন ও সাহসিকতা আমাকে অনুপ্রাণিত করে।’

বেজোসের মুখে ভারত বিষয়ে প্রশংসা শুনে তাঁর উদ্দেশে চৌথিওয়ালে বলেন, ‘আমি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাজনের সমালোচনা করছি না। এমনকি আমি নিজেও ওদের নিয়মিত গ্রাহক। কিন্তু ভারত সম্পর্কে তিনি যে কথাগুলো বলেছেন, তাঁর উচিত দেশে ফিরে গিয়ে “ওয়াশিংটন পোস্ট”কে সেই একই কথাগুলো বলা।’

‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর জ্যেষ্ঠ সম্পাদক এলি লোপেজ টুইটারে লিখেছেন, ‘পরিষ্কার করার জন্য: জেফ বেজোস “ওয়াশিংটন পোস্ট”-এর সাংবাদিকদের কী লিখতে হবে, তা বলে দেন না। স্বাধীন সাংবাদিকতা মানে সরকারকে তুষ্ট করা নয়। ভারতের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যে আমাদের প্রতিনিধি ও কলাম লেখকদের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই।’

সম্প্রতি ভারত নিয়ে ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’ কয়েকটি নিবন্ধ প্রকাশ করায় বিজেপি সরকার ক্ষুব্ধ। নরেন্দ্র মোদিকেও ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’ পত্রিকার সমালোচনা করতে দেখা গেছে। বিশেষ করে নতুন নাগরিকত্ব বিলের কড়া সমালোচনা করে তাকে ‘বৈষম্যমূলক’ বলে দাবি করায় মার্কিন সংবাদপত্রটির ওপর ক্ষুব্ধ হন মোদি।