পশ্চিমবঙ্গে সোমবার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান-দোকানপাট খুলছে

নবান্নে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দোকানপাট খোলার ঘোষণা দেন মমতা ব্যানার্জি। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
নবান্নে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দোকানপাট খোলার ঘোষণা দেন মমতা ব্যানার্জি। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সোমবার থেকে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, গুরুদুয়ারাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান খুলে যাবে। ওই দিন দোকানপাট, চা–বাগান ও পাটকলও খুলছে। ৮ জুন খুলবে সরকারি ও বেসরকারি অফিস।

গতকাল শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সচিবালয় নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ঘোষণা দেন।

মমতা বলেন, জুন মাস ধরে বন্ধ থাকবে রাজ্যের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তিনি বলেন, কলকাতার নিউমার্কেটসহ পৌরসভার ৪৫টি পৌর বাজার খুলে যাবে। ৮ জুন খুলে যাবে সব সরকারি এবং বেসরকারি অফিস। ৭০ শতাংশ কর্মকর্তা ও কর্মী নিয়ে খুলবে সব দপ্তর।

মমতা বলেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ১০ জনের বেশি একসঙ্গে ঢুকতে পারবে না। ঢোকার সময় মুখে মাস্ক পরতে হবে। হাত স্যানিটাইজ করতে হবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ এ ব্যবস্থা করবে।

পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যজুড়ে চালু করেছে দূরপাল্লার সরকারি বাস পরিষেবা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ঘোষণা দিয়েছিলেন, প্রতিটি বাসে ২০ জনের বেশি যাত্রী নেওয়া চলবে না। ভাড়াও বাড়ানো যাবে না। এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পেরে বেসরকারি বাস, মিনিবাস মালিক সমিতি তাদের বাস–মিনিবাস নামায়নি সড়কে। তাদের দাবি, এত অল্পসংখ্যক যাত্রী নিয়ে বাস চালিয়ে তাদের পক্ষ এত টাকা লোকসান দেওয়া সম্ভব নয়। এর পরই গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, বাসের যত আসন রয়েছে সব আসনেই এবার থেকে নিতে পারবে যাত্রী। তবে সব যাত্রীকে মাস্ক পরে উঠতে হবে। আর চালক ও টিকিট কালেক্টরকে পরতে হবে পিপিই।

মমতা জানান, সোমবার থেকে কলকাতা, হাওড়াসহ এই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার ফেরি সার্ভিস চালু হবে।

ভারতের চতুর্থ দফার লকডাউন শেষ হচ্ছে কাল রোববার, ৩১ মে। এরপর লকডাউন বাড়ানো হবে কি না, সে সম্পর্কে এখনো ঘোষণা দেয়নি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যে অতি সংক্রমিত বা কনটেনমেন্ট জোনে লকডাউন বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছে । অন্যান্য জোনে ধাপে ধাপে লকডাউন প্রত্যাহারের পক্ষে রয়েছে রাজ্য সরকার।