বিপুল সমর্থন নিয়ে পুনর্নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন টোকিওর গভর্নর

ইয়ুরিকো কোইকে। ছবি: এএফপি
ইয়ুরিকো কোইকে। ছবি: এএফপি

ইয়ুরিকো কোইকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে দ্বিতীয় দফায় জাপানের রাজধানী টোকিওর গভর্নর হতে যাচ্ছেন। আজ শনিবার বুথ–ফেরত জরিপে দেখা যাচ্ছে, তাঁর পক্ষে প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে।

ইয়ুরিকো কোইকের এই বিজয় অনেকটা প্রত্যাশিত হলেও এতটা সমর্থন অনেকেই আশা করেননি। আগামীকাল সোমবার সকাল নাগাদ আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হতে পারে। ঘোষণার বিষয়টি শুধু আনুষ্ঠানিকতা ধরে নিয়ে অনেকেই কোইকেকে অভিনন্দন জানাতে শুরু করেছেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া কোইকের পেছনে জাপানের প্রধান ক্ষমতাসীন উদার গণতন্ত্রী দল এবং কোয়ালিশন সরকারের ছোট অংশীদার কোমেই পার্টির সমর্থন ছিল। এ ছাড়া ছোট অন্য কয়েকটি দলও তাঁর প্রতি সমর্থন জানায়। এই নির্বাচনে প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ২১। তবে তাঁদের কেউই কোইকের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়াতে পারেননি। এর মূল কারণ অবশ্যই হচ্ছে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় গভর্নরের নেওয়া পদক্ষেপের প্রতি রাজধানীবাসীদের আস্থা।

অন্যদিকে ভোটারদের বিপুল সমর্থন কোইকে পেলেও টোকিওর এবারের গভর্নর নির্বাচন রাজধানীর ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করতে পারেনি। ভোটার উপস্থিতির হার ছিল ৪০ শতাংশের কম। করোনাভাইরাসকে এ জন্য অনেকে দায়ী করছেন। চার দিন ধরে জাপানের রাজধানীতে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার দৈনিক হিসাব ১০০–এর ওপরে বিরাজমান আছে। আজও ১১১ জন নতুন রোগী শনাক্ত করা হয়।

নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের সামনে উপস্থিত হয়ে কোইকে বলেছেন, দ্বিতীয় মেয়াদে তাঁর অগ্রাধিকার অবশ্যই হচ্ছে করোনাভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে এনে জাপানের রাজধানীর অর্থনীতিতে দেখা দেওয়া মন্থরতা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করা। এ ছাড়া এক বছর পিছিয়ে যাওয়া ২০২০ অলিম্পিক যেন মসৃণভাবে আয়োজন করা যায়, সেটাও তিনি নিশ্চিত করে নেবেন। তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য দ্বিতীয় একটি তরঙ্গ ঠেকিয়ে রাখা এবং এর জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখার ওপর তিনি অগ্রাধিকার প্রদান করবেন। সেই লক্ষ্যে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা সামর্থ্য উন্নত করে নেওয়া, হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা বাড়ানো এবং রাজধানীর স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা চাঙা করে নেওয়ার ওপর তিনি আলোকপাত করবেন।

একই সঙ্গে কোইকে এটাও উল্লেখ করেছেন, করোনার সংক্রমণ আবার বাড়লেও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার অনুরোধ তিনি বিবেচনা করছেন না। কেন্দ্রীয় সরকারের মতো টোকিওর গভর্নরও দৃশ্যত অর্থনীতির আরও বেশি ক্ষতি না করে কীভাবে রোগের বিস্তার সামাল দেওয়া যায়, সেদিকটায় নজর দিচ্ছেন।