করোনার ব্যাপক প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কায় হংকংয়ে কঠোর পদক্ষেপ

করোনাভাইরাসের বড় ধরনের প্রাদুর্ভাবের মুখে রয়েছে হংকং। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাসের বড় ধরনের প্রাদুর্ভাবের মুখে রয়েছে হংকং। ছবি: রয়টার্স

হংকংয়ে করোনাভাইরাসের বড় ধরনের প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা করা হচ্ছে। করোনার রোগীতে ভরে যেতে পারে হাসপাতালগুলো। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যে কঠোর সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার থেকে বাড়ির বাইরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রেস্তোরাঁয় গিয়ে বসে খাওয়া বন্ধ। খাবার কিনে বাসায় নিয়ে খেতে হবে। ঘনবসতিপূর্ণ হংকংয়ের জনসংখ্যা ৭৫ লাখ। আলাদা পরিবারের দুজনের বেশি প্রকাশ্যে একসঙ্গে জড়ো হতে পারবেন না। কেউ যদি নতুন জরুরি নিয়ম ভঙ্গ করে, তবে তাঁকে বড় অঙ্কের জরিমানা গুনতে হবে। এই জরিমানার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৬২৫ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৫৩ হাজার টাকা। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

হঠাৎ করেই করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে হংকংয়ে। জুলাইয়ের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নতুন করে এক হাজারেরও বেশি মানুষ এই কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত হয়েছে। জানুয়ারিতে যখন সংক্রমণ শুরু হয়, এর চেয়ে প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগে থেকে সতর্ক অবস্থানে চলে যাচ্ছে হংকং। ছয় দিন ধরে প্রতিদিন ১০০ জনের বেশি করে সংক্রমিত হয়েছেন।

হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় ব্যাপক প্রাদুর্ভাবের দ্বারপ্রান্তে, যা আমাদের হাসপাতাল ব্যবস্থা এবং বিশেষত প্রবীণদের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। আমাদের প্রিয়জন, আমাদের স্বাস্থ্যসেবা কর্মচারী এবং হংকংকে সুরক্ষিত করতে সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে মেনে চলার অনুরোধ জানাই এবং যতটা সম্ভব বাড়িতেই থাকুন।’

চীনে যখন প্রথম করোনার সংক্রমণ শুরু হলো, তখন তা হংকংয়েও পৌঁছে যায়, তবে জরুরি ব্যবস্থা নিয়ে তা বেশ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় হংকং। প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে প্রাথমিকভাবে অসাধারণ সাফল্য দেখায় তারা। মূলত, ২০০৩ সালে সার্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে নেওয়া শিক্ষায় কাজে লাগায় হংকং। জুনে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে করোনা।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সর্বশেষ প্রাদুর্ভাবের উৎস উদ্‌ঘাটন করতে পারেননি। কেউ কেউ ১৪ দিনের সাধারণ কোয়ারেন্টিন থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টিকে দায়ী করেছেন। কিছু কর্মীর জন্য বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন চালু ছিল। পরে তা উঠিয়ে নেওয়া হয়। তবে এখন পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিমানবন্দরের পাশে দুই হাজার শয্যার একটি হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে হংকং।