কায়রোতে আজ মুরসির সমর্থকদের বিক্ষোভ

মিসরে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুরসির সমর্থকদের ওপর সেনাবাহিনীর রক্তক্ষয়ী ব্যাপক অভিযানের প্রতিবাদে আজ শুক্রবার বিক্ষোভ করার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামপন্থী গোষ্ঠী মুসলিম ব্রাদারহুড। জুমার নামাজের পর এ বিক্ষোভে লাখো মানুষের ঢল নামবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিবিসি ও আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

সম্প্রতি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মুরসির সমর্থকদের সংঘর্ষে অন্তত ৬৩৮ জন নিহত হয়েছে। ব্রাদারহুডের দাবি, তাদের অন্তত আড়াই হাজারের বেশি কর্মী-সমর্থক নিহত ও ১০ হাজারের বেশি লোক আহত হয়েছে।

গত বুধবার সকালে রাজধানী কায়রোর দুটি অস্থায়ী শিবির মুরসির সমর্থকদের সরিয়ে দিতে গেলে ভয়াবহ রক্তপাতের ঘটনা ঘটে। পরদিন গতকাল বৃহস্পতিবার আবার সহিংসতার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সারা দেশে এক মাসের জন্য জরুরি অবস্থা এবং রাজধানীসহ ১৩টি প্রদেশে কারফিউ জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

মুসলিম ব্রাদারহুডের মুখপাত্র  জিহাদ আল হাদ্দাদ তাঁর টুইটারে গতকাল লিখেছেন, আগামীকাল (আজ) জুমার নামাজের পর কায়রোর সব মসজিদ থেকে অভ্যুত্থানবিরোধী মিছিল বের হয়ে রামসিস স্কয়ারের উদ্দেশে রওনা হবে। ‘জনগণ এই অভ্যুত্থানকে প্রত্যাখ্যান করতে চায়’ স্লোগান নিয়ে তাদের এই মিছিল এগিয়ে যাবে।

আজ এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘সাম্প্রতিক এই সহিংসতায় প্রাণ হারানো শহীদদের জন্য দুঃখ ও শোক অভ্যুত্থানকারীদের শেষ করে দিতে আমাদের মনোবল বাড়িয়ে তুলেছে।’

এরই পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের সমর্থক একটি গোষ্ঠী নিজ নিজ প্রতিবেশী ও গির্জাগুলোকে রক্ষা করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। ইসলামপন্থী অনেকের ধারণা, মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সেনাবাহিনীকে সমর্থন জুগিয়েছে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়।

এদিকে যেকোনো ধরনের হামলা থেকে নিজেদের এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে রক্ষা করতে পুলিশকে গোলাবারুদ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ায় নতুন করে রক্তপাত ঘটার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মিসরের এই পরিস্থিতিতে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার অনুরোধে গতকাল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এক জরুরি বৈঠক করে। বৈঠকের পর জাতিসংঘের আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মারিয়া ক্রিস্টিনা পারসেভাল বলেন,  জাতিসংঘের পক্ষ থেকে মিসর সরকার ও মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতি ‘সর্বোচ্চ সংযম’ প্রদর্শন ও সহিংসতার অবসান ঘটানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।