একনজরে টেন্ডুলকার

  • ২৪ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শচীন টেন্ডুলকারের। এই দুই যুগে পৃথিবীর জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় ২০০ কোটি!
  • ১৯৮৯ সালের নভেম্বরে টেন্ডুলকারের আন্তর্জাতিক অভিষেকের পর এখনো পর্যন্ত ৩৮টি নতুন সদস্যরাষ্ট্র পেয়েছে জাতিসংঘ। এর মধ্যে নয়টি দেশের নামের প্রথম অক্ষর পাশাপাশি বসালে হয়ে যাবে টেন্ডুলকার— Tajikistan... Eritrea... Namibia... Democratic-People's-Republic-Of-Korea... Uzbekistan... Lithuania... Kyrgyzstan... Azerbaijan... Republic-of-Korea.
  • টেস্ট ক্রিকেটে ৪১,৩০৪টি ব্যাটিং করেছেন শচীন টেন্ডুলকার, মানে ২৮ দিন ১৬ ঘণ্টা ২৪ মিনিট!
  • এক বছরের সম্ভব ৩৬৬ দিনের মাত্র ৩০টি তারিখে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেননি টেন্ডুলকার! জানুয়ারি ১ ও ৭; এপ্রিল ১০, ২৮ ও ২৯, মে ১, ৬, ৭, ৮, ৯, ১৬, ২৪; জুন ৫, ১১, ১৩, ১৪, ২৫, ২৮; জুলাই ১০, ১২, ১৪, ১৫; আগস্ট ১৫ ও ১৬; সেপ্টেম্বর ৩, ১০, ১৫, ২৪; অক্টোবর ৬ ও ডিসেম্বর ৩১।
  • আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৯৯০ জন ভিন্ন ভিন্ন ক্রিকেটারের সঙ্গে খেলেছেন টেন্ডুলকার। ভারতীয় দলে সতীর্থ হিসেবে পেয়েছেন ১৪২ জনকে, প্রতিপক্ষ দলে ৮৪৮ জনকে!
  • স্কুল ক্রিকেটে বিনোদ কাম্বলির সঙ্গে ৬৬৪ রানের জুটি গড়ে আলোড়ন তুলেছিলেন ছোট্ট শচীন টেন্ডুলকার। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষে দেখা যাচ্ছে, টেন্ডুলকার ম্যাচও খেলেছেন ৬৬৪টি! (২০০ টেস্ট, ৪৬৩ ওয়ানডে ও ১টি টি-টোয়েন্টি)।
  • ১৯৯২ সালে সেই সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির উইকেট পার্থে সেঞ্চুরি করেছিলেন ১৯ বছর বয়সী টেন্ডুলকার। সৌরভ গাঙ্গুলী, ভিভিএস লক্ষ্মণসহ অনেকেই মনে করেন, টেন্ডুলকারের ক্যারিয়ার-সেরা ইনিংস সেটি। সেই সেঞ্চুরিটি টেন্ডুলকার করেছিলেন সৌরভের ব্যাট দিয়ে খেলে!
  • আগের রাতে ঘুম ভালো হয়নি। ১৯৯২ সালে সিডনি টেস্টের চতুর্থ দিনে তাই মাঠে গিয়ে ড্রেসিংরুমের ডাইনিং টেবিলে সটান ঘুম দিলেন টেন্ডুলকার। ওই সফরের রুমমেট সৌরভ গাঙ্গুলীকে বললেন, ব্যাটিংয়ের সময় এলে ঘুম ভাঙাতে। আজহারউদ্দিন আউট হওয়ার পর টেন্ডুলকারকে ডেকে তুললেন সৌরভ। আড়মোড়া ভেঙে মাঠে গিয়ে টেন্ডুলকার করলেন ১৪৮!
  • টেন্ডুলকারের ব্যাটিং কীর্তিগুলোই বেশি আলোচিত হয়। অথচ বোলিংয়ে একটি জায়গায় টেন্ডুলকার ছাড়িয়ে গেছেন শেন ওয়ার্ন, ইমরান খান, কপিল দেব, ডেনিস লিলি, অ্যান্ডি রবার্টস, ক্রেইগ ম্যাকডারমট, ডেমিয়েন ফ্লেমিং ভেঙ্কটেশ প্রসাদ, জহির খানদের মতো বোলারদেরও! ওয়ানডেতে দুবার ৫ উইকেট পেয়েছেন টেন্ডুলকার, বাকিরা স্রেফ একবার করে।

 ‘ফুটবলে পেলে আর ম্যারাডোনা একসঙ্গে হলে যা হবে, ক্রিকেটে সেটাই হলো টেন্ডুলকার’

—অ্যালান ডোনাল্ড 

দক্ষিণ আফ্রিকার ফাস্ট বোলিং গ্রেট

‘আমার বাবার নামও তো টেন্ডুলকার!’

সারা

ক্লাসে শিক্ষক যখন টেন্ডুলকারস রেস্টুরেন্টের কথা বলছিলেন, ১১ বছরের সারা টেন্ডুলকার তখন সবাইকে জানিয়ে দিল তার বাবার নাম! (২০০৮ সালে)

‘আমার ভাগ্য ভালো যে টেন্ডুলকারকে শুধু নেটেই বোলিং করতে হয়েছে।’

অনিল কুম্বলে

ভারতীয় স্পিন কিংবদন্তি

‘শচীনকে বোলিং করতে হলে আমি হেলমেট পরে বোলিং করতাম...এত জোরে মারে!’

ডেনিস লিলি

সর্বকালের সেরা ফাস্ট বোলারদের একজন

‘অপরাধ কিছু করতে চাইলে শচীন ব্যাটিং করার সময়ই করে নাও। তখন খেয়াল করার কেউ নেই, স্বয়ং ঈশ্বরও যে শচীনের ব্যাটিং দেখছে!’

২০০৮ সালে সিডনির গ্যালারির একটি প্ল্যাকার্ড