হারানো বিমান-রহস্য

এই লেখা যখন লিখতে বসেছি, হারিয়ে যাওয়া মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের হারানো বিমানের তখনো কোনো হদিস মেলেনি। সংবাদমাধ্যমগুলো প্রতিনিয়তই নতুন নতুন খবর দিচ্ছে। ফ্রান্স বলছে, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তারা এমএইচ ৩৭০-এর ধ্বংসাবশেষ দেখতে পেয়েছে। অন্যদিকে চীন বলছে, ভারতীয় সাগরে উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষের মতো একটা কিছু দেখা গেছে। কোনো খবরই ঠিক নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। ‘ধ্বংসাবশেষ’ শব্দটা দেখলেই কেন যেন খবরের বাকিটা আর পড়তে ইচ্ছা হয় না। ‘ধ্বংস’টা কেন হতেই হবে? পৃথিবীতে অবিশ্বাস্য-অলৌকিক কত কিছুই তো ঘটে। আরও একটা ঘটলে ক্ষতি কী? এমনও তো হতে পারে, ২৩৯ জন যাত্রীসমেত অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হলো এমএইচ ৩৭০। যাত্রীরা চোখ বড় বড় করে আমাদের বলল, ‘কী কাণ্ড ঘটেছিল, জানো...!’

পৃথিবীতে যত যানবাহন আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ মনে করা হয় উড়োজাহাজকে। প্রচলিত আছে, উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় গড়ে যে পরিমাণ মানুষ মারা যায়, তার চেয়ে বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করে গাধার লাথি খেয়ে। বিরল বলেই বিমান দুর্ঘটনার খবর দ্রুত সংবাদমাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে যায়। কত কী অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতি-কলকব্জা থাকে একেকটা বিমানে। দুর্ঘটনা তো বটেই, উড়োজাহাজে সামান্য যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিলেও তা নিয়ে সভা-সমাবেশ-গবেষণা চলে। উড়ালযানটিকে ‘নিখঁুত-নিরাপদ’ করতে চলে বিজ্ঞানী-গবেষকদের নিরন্তর প্রচেষ্টা। তবু, মানুষের ক্ষমতার সীমাবদ্ধতাকে মনে করিয়ে দিয়ে বেশ কিছু বিমান দুর্ঘটনা ইতিহাসে স্থান পেয়েছে। এমনকি জন্ম দিয়েছে কূলকিনারাহীন সব রহস্যের!

জেনে অবাক হবে, আকাশপথে হঠাৎ রাডারের চোখে ধুলা দিয়ে হারিয়ে যাওয়া বিমানের সংখ্যা নেহাত কম নয়। উইকিপিডিয়ায় তুমি হারিয়ে যাওয়া বিমানের আস্ত একটা তালিকাও পাবে ( http://en.wikipedia.org/wiki/List_of_aerial_disappearances)। ১৯৪৫ সালে ফ্লাইট নাইনটিন ১৪ জন ক্রুসহ বেমালুম গায়েব হয়ে গিয়ে ‘বারমুডা ট্রায়াঙ্গল’ রহস্যের জন্ম দিয়েছিল। ১৯৪৭ সালে হারিয়ে গিয়েছিল আর্জেন্টাইন বিমান ‘স্টার ডাস্ট’। পাইলট রেডিও ট্রান্সমিটারে সর্বশেষ যে শব্দটি উচ্চারণ করেছিলেন, তা হলো  STENDEC।  বহু গবেষণার পরও আজ পর্যন্ত এই মোর্স কোডটির (একধরনের সাংকেতিক ভাষা) অর্থ উদ্ধার করা যায়নি। সেসব গল্প নাহয় আরেক দিন বলা যাবে। আজ বলব এয়ার ফ্রান্স ফ্লাইট ফোর ফোর সেভেনের কথা। ফাঁকে ফাঁকে জেনে নেব কীভাবে একটা উড়োজাহাজ হারিয়ে যায়, কীভাবেই বা চলে অনুসন্ধান—সেসব তথ্যের খুঁটিনাটি।

২০০৯ সালের ৩১ মে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা। ২১৬ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু-সমেত ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আকাশে উড়ল অত্যাধুনিক এ-থ্রিথ্রিজিরো। গন্তব্য প্যারিসের চার্লস দে গলে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। তারপর?

এয়ার ফ্রান্স ফ্লাইট ফোর ফোর সেভেনের উদ্ধারকাজ চলছে
এয়ার ফ্রান্স ফ্লাইট ফোর ফোর সেভেনের উদ্ধারকাজ চলছে

 উৎকণ্ঠার শুরু

 ১ জুন। মাঝরাতের খবরে সমগ্র পৃথিবীর মানুষ জানল, হারিয়ে গেছে এ-থ্রিথ্রিজিরো। ফ্রান্স, ব্রাজিল ছাড়াও ৩১টি দেশের নাগরিক ছিলেন সেই বিমানে। মন খারাপ করা গলায় সরকারি লোকজন জানালেন, আশপাশের কোনো রাডারেই ফ্লাইট ৪৪৭-এর টিকিটিও ধরা পড়ছে না। উড়োজাহাজটির দায়িত্বে ছিলেন ক্যাপ্টেন মার্ক ডুবোইস। অভিজ্ঞ এই পাইলট জীবনের ১৭০০ ঘণ্টা কাটিয়েছেন এ-থ্রিথ্রিজিরোর ভেতরে। সঙ্গে ছিলেন দুজন সহকারী পাইলট, ডেভিড রবার্ট এবং পিয়েরে বোনিন। বিমান উড্ডয়নের সময় নিয়ন্ত্রণ থাকে পাইলটের হাতে। আকাশে ডানা ভাসিয়ে একটু ধাতস্থ হওয়ার পর নিশ্চিন্তে নির্ভর করার কথা অটোপাইলটের ওপর। সর্বশেষ পাঁচ হাজার ফুট দূরত্বে পাইলট আবার উড়োজাহাজের দায়িত্ব নিজের হাতে নেন। এর মাঝে আর কোনো গন্ডগোল হওয়ার কথা না। সবদিক বিবেচনা করে এ-থ্রিথ্রিজিরোর মতো অত্যাধুনিক একটা বিমানের হারিয়ে যাওয়া রীতিমতো অসম্ভব। ধ্বংস, ছিনতাই—নানান শঙ্কার কথা সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছিল। যাত্রীদের আত্মীয়স্বজন কোনো কূলকিনারা না পেয়ে দলে দলে ছুটে গিয়েছিলেন বিমানবন্দরে।

তোমার মনে প্রশ্ন আসতে পারে, আস্ত একটা বিমান শক্তিশালী রাডারের চোখ ফাঁকি দিয়ে হারিয়ে যায় কীভাবে। উড়োজাহাজ সাধারণত ভিন্ন ভিন্ন স্থানে বসানো রাডারের সিগন্যাল গ্রহণ করে। ফ্লাইট ৪৪৭ উড়ছিল আটলান্টিক সাগরের ওপর দিয়ে। ব্রাজিলের রাডার পেরিয়ে বিমানটির সেনেগালের রাডারে ধরা পড়ার কথা ছিল। কিন্তু মধ্য আটলান্টিকে দুই রাডারের মাঝে ছিল বিস্তর দূরত্ব। মাঝের এই পথটুকুতেই হাওয়া হয়ে গিয়েছিল এ-থ্রিথ্রিজিরো। ব্রাজিলের রাডার পেরোনোর আড়াই ঘণ্টা পরও যখন সেনেগালের রাডারে ধরা পড়ল না উড়োজাহাজটির চিহ্ন; তখনই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বুঝতে পেরেছিলেন, একটা কিছু ঘটেছে!

 খোঁজ

 এ ক্ষেত্রে সবার আগে যা করা হয়, একটি অনুসন্ধানী-উদ্ধারকারী বিমান রওনা হয় হারিয়ে যাওয়া উড়োজাহাজের খোঁজে। সর্বশেষ যে জায়গায় বিমানটি রাডারে ধরা পড়েছিল, সেখান থেকে শুরু হয় খোঁজ। ফ্লাইট ৪৪৭-এর ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। খবর পাওয়ামাত্রই মাটি ছেড়েছিল উদ্ধারকারী বিমান। তখনো কোথাও কোনো ধ্বংসের খবর পাওয়া যায়নি। পাওয়া যায়নি কোনো ‘মে ডে’ (জরুরি অবস্থায় উচ্চারিত সংকেত। যার অর্থ ‘সাহায্য চাই’) সংকেত। অনেকে ধারণা করছিলেন, এটা কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডও হতে পারে। এই সন্দেহে বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা বিভাগ তৎপর হয়ে উঠেছিল। আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলোতে শুরু হয়েছিল তোলপাড়। যাত্রীদের তালিকা, তাঁরা কে কোথায় থাকেন, কী করেন, দ্রুততম সময়ে সবকিছু খতিয়ে দেখা হলো। তবু, সন্দেহজনক কিছু পাওয়া গেল না। বিমানটা ধ্বংস হয়ে গেছে—এমন ‘সান্ত্বনা’টুকুও পাচ্ছিলেন না বিমানের যাত্রীদের স্বজনেরা। তাঁদের সময় কাটছিল ঘোর অনিশ্চয়তায়।

যেহেতু রাডারের সাহায্য পাওয়া যাচ্ছিল না, বিমানটা কোথায় নিশ্চিহ্ন হতে পারে, সে সম্পর্কেও কোনো ধারণা ছিল না। সমুদ্রের মাঝে ১৭ হাজার বর্গকিলোমিটার জায়গাজুড়ে তন্ন তন্ন করে শুরু হলো খোঁজ।

অবশেষে ৬ জুন, সমুদ্রে উদ্ধার হলো ফ্লাইট ৪৪৭-এর ধ্বংসাবশেষের ক্ষুদ্র অংশ। সঙ্গে ৫০টি মৃতদেহ। এবার সেই স্থানকে ঘিরে উড়োজাহাজটির বাকি অংশের খোঁজে কর্মতৎপরতা শুরু হলো নতুন করে। সারা বিশ্বে মোট ৬০০ এ-থ্রিথ্রিজিরো প্রতিদিন যাত্রী বহন করে। কী ঘটেছিল ধ্বংস হয়ে যাওয়া এ-থ্রিথ্রিজিরোটির ভেতর? ত্রুটি না জানা পর্যন্ত ভবিষ্যতে সাবধানতা অবলম্বন করার প্রক্রিয়া শুরু করা যাচ্ছিল না। এমন দুর্ঘটনা অদূর কিংবা সুদূর ভবিষ্যতে আর ঘটবে না, নিশ্চিত করা যাচ্ছিল না তা-ও।

উদ্ধারকর্মীদের একটাই কথা, সব প্রশ্নের উত্তর আছে উড়োজাহাজটির ব্ল্যাকবক্সে। ব্ল্যাকবক্সের খোঁজে এবার সাগরে নামল ফ্রান্সের একটি অত্যাধুনিক নিউক্লিয়ার সাবমেরিন। যা কিনা ব্ল্যাকবক্স থেকে নির্গত আল্ট্রাসনিক সিগন্যাল গ্রহণ করতে সক্ষম। ৩০ দিন তন্নতন্ন করে খোঁজার পরও যখন উড়োজাহাজটির মূল অংশের কোনো হদিস মিলল না, উদ্ধার বাহিনীতে যোগ হলো মিনি সাব (ছোট আকৃতির সাবমেরিন)। এভাবে খোঁজাখুজি চলল টানা দুই বছর। খরচ হলো প্রায় পঁচিশ হাজার মিলিয়ন পাউন্ড! ব্যবহৃত হলো ইতিহাসের সর্বসেরা প্রযুক্তি। ফলাফল শূন্য!

তবে কি ফ্লাইট ৪৪৭-এর কী হয়েছিল, তা আর কখনোই জানা হবে না?

ব্ল্যাকবক্স কিন্তু কালো নয়

 উড়োজাহাজ হারিয়ে গেলেই একটা শব্দ ঘুরেফিরে বারবার উঠে আসে—ব্ল্যাকবক্স। ভাবতে পারো, জিনিসটা আসলে কী। বলছি শোনো।

নাম ব্ল্যাকবক্স হলেও এটি আদতে ‘ব্ল্যাক’ কিংবা ‘বক্স’—কোনোটিই নয়। এর রং কমলা। একটি উড়োজাহাজ দুর্ঘটনাকবলিত হলে সেই মুহূর্তে ব্ল্যাকবক্স কোনো সহায়তা করতে পারে না। এটি মূলত পরবর্তী তদন্তের কাজে সহায়ক। ব্ল্যাকবক্সে ককপিটে বসে থাকা পাইলটদের পুরো কথোপকথনের রেকর্ড থাকে। পাশাপাশি এটি ‘ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার’ হিসেবেও কাজ করে। যার মাধ্যমে উড়োজাহাজের পুরো যাত্রাপথ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানা যায়। ব্ল্যাকবক্সে সংযুক্ত থাকে ইউএলবি বা আন্ডারওয়াটার লোকেটর বিকন। পানির ১৪ হাজার ফুট নিচ থেকেও এটি একধরনের সিগন্যাল পাঠায়, যার সাহাযে্য এর অবস্থান জানা যায়। ব্ল্যাকবক্স এমনভাবে তৈরি, যাতে এটি সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।

আবারও ফিরছি ফ্লাইট ৪৪৭ প্রসঙ্গে। দুবছর খোঁজাখুঁজির পরও যখন উড়োজাহাজটি পাওয়া গেল না, ফ্রান্সের অনুসন্ধানী দল যোগাযোগ করেছিল একটি আমেরিকান ডুবুরি দলের সঙ্গে। যারা ১৯৮৫ সালে টাইটানিকের উদ্ধারকাজ চালিয়েছিল। অবশেষে ২০১১ সালের ২ এপ্রিল, পাওয়া গেল এ-থ্রিথ্রিজিরোর বাকি অংশ। ১৩ হাজার ফুট পানির নিচে ১০৪টি মৃতদেহ উদ্ধার হলো, প্লেনের সঙ্গে সিটবেল্ট বাঁধা অবস্থায়। খঁুজে পাওয়া গেল ব্ল্যাকবক্সটিও।

 কী হয়েছিল?

 ব্ল্যাকবক্সে পাওয়া পাইলটদের শেষ মুহূর্তের কথোপকথনে জানা যায়, মূল গন্ডগোলটা হয়েছিল উড়োজাহাজের গতি প্রদর্শকযন্ত্রে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে উড়োজাহাজের এই অংশে বরফ জমে গিয়েছিল। যার কারণে যন্ত্রটি ভুল তথ্য দিচ্ছিল। উড়োজাহাজের প্রধান, ক্যাপ্টেন মার্ক ডুবোইস তখন বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। দায়িত্ব ছিল তরুণ পাইলট পিয়েরে বোনিনের হাতে। বোনিন তুলনামূলকভাবে কিছুটা অনভিজ্ঞ, ঘটনার আকস্মিকতা তিনি সামলে উঠতে পারেননি। শেষ মুহূর্তে অবশ্য ক্যাপ্টেন ডুবোইস ছুটে এসে উড়োজাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়েছিলেন। কিন্তু তখন আর কিছু করার সুযোগ ছিল না। মাঝরাতে ২২৮ জন দুর্ভাগা মানুষকে নিয়ে পানিতে আছড়ে পড়েছিল অত্যাধুনিক এ-থ্রিথ্রিজিরো। হারিয়ে গিয়েছিল জলের অতলে।

 শেষ কথা

 মালয়েশিয়ার বিমান এম এইচ ৩৭০ সম্পর্কে এখনো পাওয়া যাচ্ছে নতুন নতুন তথ্য। কিছু উড়ো খবর, কিছু গুঁড়ো খবর; পুরো খবর কানে আসেনি এখনো। ডেইলিমেইল বলছে, হারিয়ে যাওয়ার আগে হঠাৎ করেই প্রায় ১২ হাজার ফুট নিচে নেমে গিয়েছিল বিমানটা। কিছুদিন আগে শোনা গিয়েছিল, যাত্রীদের মধ্যে দুজন চুরি করা পাসপোর্ট নিয়ে বিমানে উঠেছিলেন। ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, তা-ও জানা যায়নি। কোনো কোনো সূত্র দাবি করছে, দুর্ঘটনার পেছনে পাইলটের হাত আছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও তাদের পাওয়া সব তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করছে না। চীন, ফ্রান্স, মালয়েশিয়া এমনকি বাংলাদেশের নৌবাহিনীও নেমেছে অনুসন্ধানে। সব রহস্যের সমাধান দিতে পারে এম এইচ ৩৭০-এর ব্ল্যাকবক্স। সেটা কি আদৌ কখনো খঁুজে পাওয়া যাবে? কিংবা কে জানে, এই লেখা যখন তুমি পড়ছ, তত দিনে হয়তো সব রহস্যের সমাধান হয়েও গেছে।

মাত্রই জানতে পারলাম, মালয়েশিয়ার সরকার ঘোষনা দিয়েছে, প্লেনটা সাগড়ে হারিয়ে গেছে। যাত্রীদের মধ্যেও কেউ বেঁচে নেই। হতভাগা যাত্রীদের স্বজনদের কান্নায় ভারী হচ্ছে বাতাস। সেই সঙ্গে মনে করিয়ে দিচ্ছে, প্রযুক্তি যত উন্নতই হোক না কেন, প্রকৃতির কাছে মানুষ এখনো অসহায়!