দিবসের দুনিয়া দুনিয়ার দিবস (মার্চ-২০১৪)

 ১ মার্চ

বিশ্ব প্রশংসা দিবস

 সারা দিন কত্ত কাজ তোমার! তার পরও সময় করে কিশোর আলো পড়ছ, পাঠক হিসেবে তুমি তো দারুণ! আর তোমার হাসিটাও তো অদ্ভুত সুন্দর! ভাবছ ‘তেল’ দিচ্ছি? মোটেও না, এটা একদম নির্ভেজাল প্রশংসা। মার্চের প্রথম দিনটাই হলো প্রশংসা দিবস। বলা হয়, দুনিয়ার সবচেয়ে ইতিবাচক দিবসগুলোর অন্যতম এটি। তো বসে আছো কেন, কাছেপিঠে যাকেই পাও, তার ভূয়সী প্রশংসা করো। তবে প্রশংসা করতে গিয়ে বানিয়ে বানিয়ে কিছু বলা মোটেও ঠিক হবে না কিন্তু। আমরা অবশ্য জানি, তুমি খুব ভালো মনের মানুষ, বানিয়ে বানিয়ে কারও প্রশংসা করার অভ্যাস নেই তোমার। (তোমার যে এত প্রশংসা করলাম, এবার না হয় এই লেখার প্রশংসাই করো তুমি!)

 ২ মার্চ

পুরোনো জিনিসপত্র দিবস

 তোমার ঘরে পুরোনো জিনিস কী কী আছে? ভালো করে খঁুজে দেখো। খঁুজলে হয়তো পেতে পারো প্রিয় সিনেমার ডিভিডি, বড় ভাইবোনের ঘরে ঢুঁ মারলে ক্যাসেটও পেয়ে যাওয়া অসম্ভব নয়। মা-বাবার ঘরে নিশ্চয়ই আরও মজার কিছু অপেক্ষা করছে তোমার জন্য। সেখানে মিলতে পারে পুরোনো একটা ক্যাপ কিংবা প্রাচীন আমলের একটা তালা। এই জিনিসগুলো ভালো করে সংরক্ষণ করো। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যে বেগে ছুটছে, বলা তো যায় না কবে এগুলো পুরোপুরি ‘অ্যান্টিক পিস’ হয়ে যাবে। ভবিষ্যৎ বা বর্তমানের এই অ্যান্টিক পিসগুলো আমাদের অনেক কিছুই শেখায়। নিয়ে যায় অতীত দিনে। এসব মনে করিয়ে দিতেই ২ মার্চ পুরোনো জিনিসপত্র দিবস।

 ৩ মার্চ

জাতীয় সংগীত দিবস

 ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’—এর থেকে সুন্দর গান আর কিছু হতে পারে? পারে না। স্কুলে নিশ্চয়ই প্রতিদিন আমাদের এই জাতীয় সংগীত গাও তুমি। তার পরও ৩ মার্চ নিজে নিজে বারবার গাও, বন্ধুদের নিয়ে শোনো। দেখবে, আমাদের দেশটার জন্য কেমন আরও গভীর মায়া জন্ম নেবে মনের ভেতরে!

 ৪ মার্চ

অনন্য নাম দিবস

 তোমার নাম কী? ভেবে দেখো তো এই নামে তোমার চেনা আর কেউ আছে কি না? উত্তর যদি হয় ‘না’, তাহলে ৪ মার্চ দিনটা পুরোপুরি তোমার! মানতেই হবে, একটা ‘ইউনিক’ নামের অধিকারী হওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। ভাবতে নিশ্চয়ই ভালো লাগে, আমার নামে দ্বিতীয় আর কেউ নেই! বিশেষ করে মেইল বা ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে যে নামই দেবে, সেই নামই একসেপ্ট হওয়াও একটা বড় সুবিধা এ ক্ষেত্রে।

 ৫ মার্চ

চিজ ডুডল দিবস

 ১৯৪০ সালে চিজ ডুডল তৈরি করেন মোরি ইয়োহাই। পারিবারিকভাবে এর ব্যবসা চালিয়েছিলেন মোরি ১৯৬০ সাল পর্যন্ত। সে বছরই তাঁর কাছ থেকে চিজ ডুডলের ব্যবসার স্বত্ব কিনে নেয় ওয়াইজ ফুডস। তারপর থেকে প্যাকেটজাত করে এ খাবার বিক্রি হতে শুরু করে। তুমিও নিশ্চয়ই খেয়েছ চিপসজাতীয় এই খাবার। এখন প্রতিবছর ১৫ মিলিয়ন পাউন্ড চিজ ডুডল উৎপন্ন হয় সারা বিশ্বে। ১৫ মিলিয়ন পাউন্ড মানে প্রায় এক হাজার হাতির ওজনের সমান কিন্তু!

 ৬ মার্চ

দন্তচিকিৎসক দিবস

 দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা করা উচিত; সেই সঙ্গে দাঁতের চিকিৎসকদেরও। তা না হলে দাঁত বের করা হাসি আর হাসা হতো কি না সন্দেহ! মজার বিষয় হলো, পৃথিবীতে অনেক ধরনের চিকিৎসক থাকলেও দাঁতের চিকিৎসকের সংখ্যা কিন্তু তুলনামূলক অনেক কম। তাই ৬ মার্চ দাঁতের চিকিৎসকদের সামনে গিয়ে ৩২ পাটি দাঁত বের করে একটু মধুর হাসি উপহার দিয়ে এসো।

 ৭ মার্চ

বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও ডুডল দিবস

১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে এক ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এখনো যখন আমরা সেই ভাষণ শুনি, তখন রক্তে আগুন জ্বলে। এছাড়া এই দিনটি ডুডল দিবস। ক্লাস ভালো লাগছে না, খাতার মধ্যে শুরু করলে কাকের ঠ্যাং বকের ঠ্যাং আঁকতে। এমন অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই আছে তোমার। জানো কি, এই যে তুমি কাকের ঠ্যাং বকের ঠ্যাং আঁকো, এগুলো একেকটা ডুডল! ২০০৪ সাল থেকে ডুডল দিবসকে মৃগী রোগ সম্পর্কে সচেতনার দিন হিসেবেও ধরা হয়। বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষের আঁকা ডুডল এদিন ইবে-তে তোলা হয়। ডুডল বিক্রির টাকা দিয়ে সহায়তা করা হয় মৃগী রোগ নিয়ে গবেষণার কাজে। তো এবার থেকে কাকের ঠ্যাং বকের ঠ্যাং ফেলে দিয়ো না ভুলেও!

 ৮ মার্চ

নারী দিবস

 নারী মানে বোন, স্ত্রী, দাদি, নানি আরও অনেক কিছু। সবচেয়ে বড় কথা হলো, নারী মানে মা। মা ছাড়া কি পৃথিবী কল্পনা করা যায়? কখনোই না! তাই ৮ মার্চ বিশ্বের সব নারীর জন্য ভালোবাসাময় ও নিরাপদ পৃথিবী কামনা করে সবাই। মা ভালো থাকলেই না আমরা সবাই ভালো থাকব। এ ছাড়া এদিন প্রুফ রিডিং দিবস হিসেবেও পালিত হয়। এই যে তুমি এখন এই লেখা পড়ছ, এটি লেখার পর কিন্তু একজন প্রুফ রিডার সব ভুল বানান ঠিক করে দিয়েছেন।

 ৯ মার্চ

আতঙ্কগ্রস্ত দিবস

 কোন জিনিসটা দেখে সবচেয়ে বেশি ভয় পাও? একটা গাবদা-গোবদা মাকড়সা? নাকি তেলাপোকা? কেবল প্রাণীই নয়, অনেকে তো অঙ্ক স্যারকে দেখলেও মুখ ফ্যাকাশে করে ফেলো। আবার রাস্তার কুকুর দেখলেও তো হাঁটু কাঁপতে থাকে ঠক ঠক করে। মোট কথা, আমরা সবাই আতঙ্কিত হই। ৯ মার্চ আতঙ্কগ্রস্ত দিবসে তাই শখ করেই একটু আতঙ্কিত হও না এবার! দিবসটার একটা মর্যাদা তো আছে।

 ১০ মার্চ

স্ট্যাপলারে পিন ভরাও ও দিবানিদ্রা দিবস

 খুব জরুরি মুহূর্ত, ধরো পরীক্ষার সময়। উত্তরপত্রগুলো দ্রুত স্ট্যাপল করতে হবে। ছোট্ট যন্ত্রটায় যেই চাপ দিয়েছ, অমনি খেয়াল করলে, ভেতরে পিন নেই! কেমন লাগবে বলো? এর থেকে বিরক্তিকর বিষয় কমই আছে। তাই ১০ মার্চ পুরো দিনটাই স্ট্যাপলারে পিন ভরাও দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে বেশ কয়েক বছর ধরে।

দুপুরে ঘুমানোর অভ্যাস আছে? না থাকলে এদিন সময় করে দুপুরে একটু ঘুমিয়ে নিতে পারো!

 ১১ মার্চ

বাসার অফিস গোছাও দিবস

 এখনো নিশ্চয়ই অফিসে যেতে শুরু করোনি। তবে বাসায় তো পড়াশোনা করার একটা টেবিল আছে। ধরো সেটাই তোমার বাসার অফিস টেবিল। তোমার সেই টেবিলে আছে দুনিয়ার কতশত জিনিস। দুদিন পর পর নিশ্চয়ই টেবিল পরিষ্কার করার জন্য ধমক খেতে হয় মায়ের কাছ থেকে। যদি ধমক থেকে বাঁচতে চাও, তাহলে তোমার বাসার অফিস টেবিলটা গুছিয়ে রাখো শিগগিরই।

 ১২ মার্চ

বিশ্ব গণিত দিবস

 ২০০৭ সাল থেকে শুরু হয়েছে এ দিবস। তার পর থেকেই চক্রবৃদ্ধি হারে বেড়েছে এর জনপ্রিয়তা। এদিন সারা বিশ্বের গণিতপ্রেমীদের জন্য থাকে নানা আয়োজন। অধিকাংশ প্রতিযোগিতাই হয় অনলাইনে। ২০১০ সালে অনলাইনে গণিত প্রতিযোগিতা করে সবচেয়ে বড় অনলাইন প্রতিযোগিতারও রেকর্ড গড়েছে এ আয়োজন। পাঁচ বছর থেকে শুরু করে যেকোনো বয়সীই এতে অংশ নিতে পারে। গণিত যে মোটেও কষ্টকর কিছু নয়, বরং অনেক আনন্দের, এটা বলতেই বিশ্ব গণিত দিবস।

 ১৩ মার্চ

ঘরের ভেতরে ছাতা খোলো দিবস

 বিশ্বের অনেক দেশে একটা কুসংস্কার প্রচলতি আছে—ঘরের ভেতরে ছাতা খোলা নাকি অমঙ্গলজনক। ২০০৩ সালে থমাস নিব নামের এক লোক এর বিরুদ্ধে দাঁড়ালেন। পুরোনো কুসংস্কারটিতে পাত্তা না দেওয়ার আহ্বান জানালেন বন্ধুদের মধ্যে। আস্তে-ধীরে সেটি এখন পুরোদস্ত্তর একটা দিবস হিসেবেই পালিত হচ্ছে।

 ১৪ মার্চ

আন্তর্জাতিক প্রশ্ন করো দিবস

 অনেক সময় দেখবে, কিছু একটা প্রশ্ন করলে বড়রা খেপে যান! তখন হয়তো নিজেকে বোকা বোকা মনে হয়। কখনো বা ভীষণ কষ্টও হয়। ১৪ মার্চ তোমার মনে যত প্রশ্ন আছে, সেটা যত উদ্ভটই হোক, করে ফেলো। কারণ, এদিন পালিত হয় আন্তর্জাতিক প্রশ্ন করো দিবস। বড়রা বকা দিলে দিবসটির কথা মনে করিয়ে দিয়ো।

 ১৫ মার্চ

সত্য স্বীকার দিবস

 একটা কথা পেটে চেপে রাখা বেশ কঠিনই কিন্তু। পেটে কথা জমতে জমতে নাকি বদহজমও হয়। সুতরাং, ১৫ মার্চ পেটের কথা, বিশেষ করে একদম নির্ভেজাল সত্য কথাগুলো কাছের কাউকে বলে ফেলো। দেখো, কেমন হালকা হালকা লাগবে।

 ১৬ মার্চ

তথ্য-স্বাধীনতা দিবস

 তথ্য হোক সবার জন্য উন্মুক্ত। তবে সব তথ্য নয়। যেসব তথ্য জানার অধিকার আমাদের আছে, সেসব যেন সবাই জানতে পারি—এমনটাই বলা হয় এ দিবসে। যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ প্রেসিডেন্ট জেমস মেডিসনের জন্মদিনেই দিবসটি পালিত হয়। কারণ, মেডিসনই যুক্তরাষ্ট্রে অধিকার আদায়ের বিল পাস করার পেছনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন।

 ১৭ মার্চ

জাতীয় শিশু দিবস ও ডুবোজাহাজ দিবস

জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে এ দিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। মানে এই দিনটি শিশুদের। এদিকে সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজ উদ্ভাবিত হয়েছিল ১৬২০ সালে! আবিষ্কারক ছিলেন করনেলিয়াস ড্রেবেল। এরপর অবশ্য আরও নতুন নতুন প্রযুক্তির দারুণ সব সাবমেরিন উদ্ভাবন করেছেন বিজ্ঞানীরা। সমুদ্রতলের গভীরে ডুব দেওয়ার এই জলযান ব্যবহৃত হয় বিচিত্র সব কাজে। এসব অভিযানে প্রাণ হারিয়েছেন অনেক অভিযাত্রী। এ দিবসে তাঁদেরও স্মরণ করা হয়।

 ১৮ মার্চ

মা-বাবাকে ভুল বুঝো না দিবস

 জীবনে মা-বাবার বকা খায়নি—এমন মানুষ খঁুজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। অনেক সময় অবশ্য বিনা কারণেই বকা খাই আমরা। সে কারণে রাগও হয় আমাদের। কিন্তু তাই বলে কি সেই রাগ পুষে রাখা যায়? একেবারেই না। তাই ১৮ মার্চে মা-বাবার ওপর যত রাগ-ক্ষোভ আছে ঝেড়ে ফেলো!

 ১৯ মার্চ

হাঁস-মুরগি দিবস

 ভোরবেলা মোরগের ডাক শুনে ঘুম ভাঙে অনেকেরই। সে সুযোগ না পেলেও সকালের নাশতার টেবিলে একটা ডিম তো থাকেই। মোটকথা, মুরগি বা হাঁস ছাড়া একটা দিন যেন কল্পনাই করা যায় না আজকাল! কেবল ডিম-মাংসের জন্যই তো নয়, হাঁস-মুরগির ছোট ছানারা যে কী আদুরে—সেটা কি আর বলে দিতে হয়! ১৯ মার্চ এই অতি কাছের পাখি হাঁস-মুরগিদের প্রতি যত্নবান হওয়ার জন্যই এ দিবস।

 ২০ মার্চ

বিশ্ব গল্পবলা দিবস

 সে অনেক অনেক কাল আগে (আসলে ১৯৯১ সালে) সুইডেনে চালু হয়েছিল এক দিবস। দিবসটির নাম ছিল গল্পবলা দিবস! পরে সেটি পালিত হতে থাকে বিশ্বব্যাপী। ভূমিকা পড়ে নিশ্চয়ই বুঝতে বাকি নেই ২০ মার্চ দাদা-দাদি, নানা-নানি বা গল্প-বলিয়ে কোনো বন্ধুকে ধরে গল্প শোনার দিবস।

 ২১ মার্চ

সাধারণ সৌজন্যবোধ দিবস

 লেখাটা পড়ে খুব মজা পেয়ো, প্লিজ! পড়বে তো? অনেক অনেক ধন্যবাদ!

এই হলো সাধারণ সৌজন্যবোধের উদাহরণ! আর জানোই তো, সাধারণ সৌজন্যবোধের কারণেই যেকোনো মানুষ হতে পারে অসাধারণ।

 ২২ মার্চ

বিশ্ব পানি দিবস

 এখনো বিশ্বের প্রায় ৭৮৩ মিলিয়ন মানুষ পরিষ্কার পানি পায় না! ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন মানুষ বঞ্চিত স্বাস্থ্যসম্মত পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা থেকে। এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরির জন্যই জাতিসংঘ চালু করেছে বিশ্ব পানি দিবস। এখন থেকে নিশ্চয়ই অকারণে পানি অপচয় করবে না আর!

 ২৩ মার্চ

কানের পাশ দিয়ে যাওয়া দিবস

 ১৯৮৯ সালের ২৩ মার্চ। পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছিল একটি বড়সড় গ্রহাণু। ভাগ্যিস সে যাত্রায় পৃথিবীর মাত্র পাঁচ লাখ মাইল দূর দিয়ে চলে গিয়েছিল সেটি! কানের পাশ দিয়ে চলে যাওয়া যাকে বলে! সেই থেকে এ দিবসের প্রচলন।

 ২৪ মার্চ

টিউবারকিউলোসিস দিবস

 ১৯৮২ সাল থেকে পালিত হচ্ছে এ দিবস। টিউবারকিউলোসিস মানে টিবি। ভীষণ মারাত্মক রোগ এটি। আক্রান্ত প্রতি সাতজনের একজন এতে মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়ে যায়। তাই টিবি সম্পর্কে জানো, সচেতন হও, সচেতন করো।

 ২৫ মার্চ

আন্তর্জাতিক অজাত শিশু দিবস

 নাম দেখে ভড়কে যেয়ো না। ‘অজাত’ মানে হলো যে এখনো জন্ম নেয়নি, ভবিষ্যতে নেবে। পৃথিবীতে প্রতিদিন অনেক শিশু আসছে, ভবিষ্যতেও আসবে। চোখ মেলে পৃথিবী দেখার আগেই তাদের জন্য সুন্দর পৃথিবী গড়ার স্বপ্নই দেখা হয় এ দিবসে। দিবসটির গোড়াপত্তন করেন পোপ জন পল দ্বিতীয়।

 ২৬ মার্চ

স্বাধীনতা দিবস

 দিবসটি আমাদের। এদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া হয়। শুরু হয় আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। তোমরা জানো, দীর্ঘ নয় মাসে অনেক প্রাণের বিনিময়ে আমাদের মাতৃভূমিকে স্বাধীন করেন মহান মুক্তিযোদ্ধারা। আর আজ তাই আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক।

 ২৭ মার্চ

আন্তর্জাতিক নাট্যশালা দিবস

 ১৯৬১ সালে দিবসটির প্রচলন শুরু করে ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউট। একটি দেশের সংস্কৃতিতে নাট্যশালা বা থিয়েটারের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। নাট্যচর্চা আরও বেগবান ও আনন্দময় করে তোলাই এ দিবসের প্রতিপাদ্য।

 ২৮ মার্চ

ব্ল্যাক ফরেস্ট কেক দিবস

 কালো রঙের বন খেয়েছ তো? নিশ্চয়ই খেয়েছ। ব্ল্যাক ফরেস্টের বাংলা তো কালো বনই, নাকি? মজার বিষয় হলো, লাল-সাদা এ কেকের নাম ব্ল্যাক ফরেস্ট! অত্যন্ত ভুল নামকরণের বড় প্রমাণ। চকলেট, চেরি আর ক্রিম হলো এর প্রধান উপকরণ।

 ২৯ মার্চ

নায়াগ্রা ফলস থমকে যাওয়া দিবস

 ১৮৪৮ সালের ২৯ মার্চের কথা। বরফের চাঁইয়ের কারণে নদীর গতি গিয়েছিল থেমে এবং সেই কারণে নায়াগ্রা ফলসের পানিপ্রবাহও গিয়েছিল থেমে। প্রতি সেকেন্ডে যেখানে তিন হাজার ১৬০ টন পানি পড়ে, সেখানে পানিপ্রবাহ থেমে গেলে কী অবস্থা হয়, বোঝো! এখনো স্থানীয় লোকেরা দিনটি মনে রেখেছে। ২৯ মার্চ বেশ পার্টিও হয়ে যায় নায়াগ্রা ফলসের আশপাশের হোটেলগুলোয়।

 ৩০ মার্চ

পেনসিল দিবস

 জীবনের প্রথম কী দিয়ে লিখেছিলে? উত্তরটা পেনসিলই হবে নিশ্চিত। হাতেখড়ির সেই মুহূর্তের সঙ্গী পেনসিল নিয়ে একটু ভেবে দেখেছ কি? দারুণ একটা জিনিস না বলো? এক টুকরা কাঠের ভেতরে লুকিয়ে থাকা গ্রাফাইটের কী দারুণ লুকিয়ে থাকা! কিংবা এর গায়ের রংগুলোই কি কম আকর্ষণীয়! বন্ধুকে খোঁচা দিতেও তো অব্যর্থ অস্ত্র এই পেনসিল।

 ৩১ মার্চ

বুনসেন বার্নার দিবস

 বিজ্ঞান ক্লাসের প্র্যাকটিক্যালে কোনো কিছু গরম করতে কী ব্যবহার করো? হ্যাঁ, বুনসেন বার্নার। এটি উদ্ভাবন করেছিলেন জার্মান রসায়নবিদ রবার্ট উইলহেম এবারহার্ড ভন বুনসেন। ১৮১১ সালের ৩১ মার্চ জন্মদিন তাঁর। সে উপলক্ষেই এ দিবস।

গ্রন্থনাঃ মাহফুজ রহমান