গানের মধ্যেই ডুবে থাকতে পছন্দ করি

চঞ্চল চৌধুরী
চঞ্চল চৌধুরী

ফ্যাশন

আমি খুব সহজ মানুষ। তাই সহজ করে বলি, জিনস আমার প্রথম পছন্দ। সঙ্গে টি-শার্ট, শর্ট পাঞ্জাবি আর স্যান্ডেল। এই পোশাকগুলোতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। মাঝেমধ্যে অবশ্য পোলো শার্ট ও কেডস পরি। আর বিভিন্ন অনুষ্ঠান-পার্টিতে যেতে হলে ফরমাল পোশাক-আশাক তো পরতেই হয়।
কেনাকাটার প্রসঙ্গ যদি বলি, বলব—দেশীয় ফ্যাশন হাউস দর্জিবাড়ির পাঞ্জাবি আমার সংগ্রহে বেশি আছে। এ ছাড়া রয়েছে ইয়েলোর শাট, পোলো শার্ট ও টি-শার্ট। শুটিংয়ে দেশের বাইরে গেলে রথ দেখা আর কলা বেচা—দুই-ই হয়। অর্থাৎ কেনাকাটাও করা হয়। আমার কেনাকাটা সাধারণত আমিই করি।

খাওয়াদাওয়া

খাওয়া নিয়ে বড় কোনো ঝক্কি-ঝামেলার পক্ষপাতী আমি নই। যেহেতু অভিনয় করি, ফলে খাওয়াদাওয়া একটু নিয়ন্ত্রণ করা লাগে। তবে খাওয়ার অভ্যাস আছে সবই। দুপুরে শুধু ভাত খাই। রাতে রুটি। আর সকালবেলা? কিছু একটা খেয়ে নিই। কেননা, অধিকাংশ দিন সকালে শুটিংয়ের কারণে বাসায় খাওয়ার সুযোগ তেমন একটা হয় না।

এখানে একটা কথা আছে, যতই নিয়ন্ত্রণ-নিয়ন্ত্রণ বলি, মায়ের হাতের খাবার সামনে এলে লাগাম–টাগাম কোথায় টুটে যায়, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না তখন। আমি যদি আমার বাড়ি পাবনাতে যাই এবং কয়েক দিন থাকি, তাহলে আমার ওজন দু-তিন কেজি বাড়বেই। আসলে মায়ের হাতের সবকিছুই সুস্বাদু। বিশেষত, মাছের ঝোল হলে তো কথাই নেই। ঢাকায় থাকলে মাঝেমধ্যে দু-একটা রেস্তোরাঁয় ঢুঁ মারি। এই তো, আমার খাওয়াদাওয়া এটুকুই।

বিনোদন

আমার প্রথম ও শেষ বিনোদন গান। গানের মধ্যেই ডুবে থাকতে পছন্দ করি। সকালে শুটিংয়ে যাওয়ার সময় গাড়িতে চালু হয় গান। সেই গান থামে শুটিং স্পটে পৌঁছার পর। শুটিং শেষে ফেরার সময়ও একই রুটিন। ফাঁক পেলেই গানে ডুব দিই। এখন যদি প্রশ্ন করা হয়, কী ধরনের গান শুনি? উত্তরে বলব: পুরোনো দিনের বাংলা গানই শোনা হয় বেশি। এর বাইরে রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলসংগীত, গজল ও আধুনিক গান। এ ছাড়া যন্ত্রসংগীত বা ইনস্ট্রুমেন্টালও বেশ চলে।

সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখা হয় না তেমনভাবে। তবে ইউটিউবে মাঝেমধ্যে ছবি দেখি। টেলিভিশনও দেখি, তবে সেটা যথেষ্ট অবসর মিললে। যেমন ঈদের সময় টিভি দেখা হবে। খানিক অবসর পেলেই আমার বাচ্চার সঙ্গে সময় কাটাই। এটা আমার কাছে অনেক বেশি আনন্দের। বিষয়টি ওরও ভালো লাগে। ওকে আমি নানা জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।