সুস্থ চুল সুন্দর চুল

চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে নিতে হবে নিয়মিত যত্ন। মডেল: তানজিন তিশা। ছবি: নকশা
চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে নিতে হবে নিয়মিত যত্ন। মডেল: তানজিন তিশা। ছবি: নকশা

বর্ষায় খুব জটিল কোনো চুলের স্টাইলে না যাওয়াই ভালো। কারণ, বৃষ্টিতে চুল ভিজে গেলে পুরোটাই ‘পণ্ডশ্রম’। এই সময়ে সবার আগে চাই চুলের যথাযথ যত্ন। এরপর সহজ ও দেখতে স্টাইলিশ এমন কোনো ঢংয়ে চুল বাঁধতে পারেন।

রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা বললেন, এই মৌসুমে খুশকি বেড়ে যায়। চুল ভিজে যাওয়ার পর ভালোমতো শুকিয়ে নিতে হবে। নয়তো চুলের গোড়া অনেকক্ষণ ভেজা অবস্থায় থেকে দুর্বল হয়ে পড়ে। এ সময়ে চুলের যত্নে নিচের কয়েকটি প্যাক ব্যবহার করার পরামর্শ দিলেন তিনি।

l নারকেল তেলের সঙ্গে অল্প লেবুর রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগালে খুশকির সমস্যা দূর হবে। এটি চুলে লাগানোর পর একটি প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এই প্যাক তৈরি করতে লাগবে এক টেবিল চামচ মেথি, এক টেবিল চামচ ত্রিফলার পেস্ট ও এক কাপ টক দই। যদি অ্যালার্জি না থাকে তবে এর সঙ্গে এক টেবিল চামচ ঘৃতকুমারীর (অ্যালোভেরা) রস ব্যবহার করতে পারেন। যাঁদের চুল ভঙ্গুর তাঁরা একটা ডিম ফেটে এর সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন।

l চুলে চকচকে ভাব আনতে চাইলে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধোয়ার পর চা-পাতা ভেজানো পানি ব্যবহার করতে পারেন। চুল ধোয়ার পর চা-পাতা ভেজানো পানি আস্তে আস্তে পুরো চুলে ঢেলে নিলেই হবে।

l অ্যালোভেরা ও মধু সমপরিমাণে নিয়ে ভালোভাবে ফেটে নিন। এই মিশ্রণ মাথার ত্বক থেকে পুরো চুলে লাগাতে পারেন। এতে খুশকির সমস্যাও কমবে আর চুলও হবে কোমল।

l এই প্যাকগুলোর কোনোটাই আধা ঘণ্টার বেশি রাখা যাবে না। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে পারলে সবচেয়ে ভালো।

রূপবিশেষজ্ঞ তানজিমা শারমিন জানালেন, নিয়মিত খুশকিরোধক শ্যাম্পুর ব্যবহার চুলকে অনেক রুক্ষ করে ফেলে। তাই একটানা বেশি দিন এই ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার না করাই ভালো। শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। বৃষ্টিতে চুল ভিজে গেলে যেন মুছতে পারেন এ জন্য ব্যাগে ছোট একটি তোয়ালে রাখা ভালো।

ভেজা চুল কখনোই বেঁধে রাখা যাবে না। বেণি, খোঁপা যেভাবেই চুলকে বেঁধে রাখুন, পুরো চুল খুলে কিছুক্ষণ ছেড়ে রাখুন। এভাবে বাতাসের নিচে থাকলে অল্প সময়েই শুকিয়ে যাবে। শুধু বাইরে নয়, ভেতর থেকেও চুলকে মজবুত রাখতে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খেতে বললেন রাহিমা সুলতানা।

চুলের যত্ন তো হলো, এবার সহজভাবে কীভাবে চুল সাজাবেন তা জেনে নেওয়া যাক। রূপসজ্জাবিদ তানজিমা শারমিন জানালেন, এ সময় বেণি দিয়ে চুলে নানা স্টাইল করতে করতে পারেন। সামনে ছোট ছোট বেণি করে ক্লিপ দিয়ে আটকে নেওয়া যেতে পারে। আবার কপালের সামনে থেকে কিছু চুল নিয়ে বেণি করে অন্যপাশে ব্যান্ডের মতো আটকে নিতে পারেন। ছেড়ে রাখা চুল কোঁকড়া করে রাখলেও খারাপ লাগবে না। লম্বা চুলে বেণি করে সেই বেণি দিয়েই খোঁপা করে নিতে পারেন। সেখানে দিতে পারেন সুগন্ধি ফুল বেলি, দোলনচাঁপা কিংবা কদম। সাধারণ সুতি শাড়ির সঙ্গে এই সাজ খুব মানাবে। পশ্চিমা ধাঁচের পোশাকের সঙ্গে এক সাইডে খেজুর বেণি বা অর্ধেক ফ্রেঞ্চ বেণি করে অন্য পাশে মেসি বা এলোমেলো করে একটা খোঁপা করতে পারেন। সামনের চুল হালকা টুইস্ট করে পেছনে ঢিলেঢালা একটা বেণি করে নিলেও কিন্তু খারাপ লাগবে না।