শুনুন বলি ধুতির কথা

পাঞ্জাবির সঙ্গে ধুতি—নিয়ে আসবে পূজার আমেজ। মডেল: বাপ্পা ও অন্তু, ছবি: সুমন ইউসুফ
পাঞ্জাবির সঙ্গে ধুতি—নিয়ে আসবে পূজার আমেজ। মডেল: বাপ্পা ও অন্তু, ছবি: সুমন ইউসুফ

শুরু হয়ে গেছে ঢাকের তালে উৎসবের আমেজ। আজ ষষ্ঠী। বছরের অন্য সময়ে যাই হোক, পূজা উৎসব কি ধুতি ছাড়া জমে! পূজার পাঁচ দিনে নানা রকম পোশাক হয়তো পরবেন, যে তালিকায় পাঞ্জাবি অবশ্যই থাকবে, তার সঙ্গে ধুতি পরলেই তো পূর্ণতা পাবে পূজার সাজ।

বাজারে দুই ধরনের ধুতি আছে। আলগা কাপড়ের খোলা ধুতি আর সেলাই করা তৈরি ধুতি। যাঁরা শুধু পূজার সময়েই ধুতি পরতে চান, তাঁদের জন্য তৈরি ধুতি বেশি ভালো হবে বলে মনে করেন ডিজাইনারেরা। ফ্যাশন হাউস রঙ বাংলাদেশের স্বত্বাধিকারী ও প্রধান ডিজাইনার সৌমিক দাশ বলেন, ‘খোলা কাপড়ে কুঁচি দিয়ে ধুতি পরাকে একধরনের শিল্প বলা চলে। অনেকে এই ধুতি সামলাতে হিমশিম খান। তাই উৎসব বা বিশেষ অনুষ্ঠানে পরার জন্য সেলাই করা তৈরি ধুতি আজকাল জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। বিশেষ করে তরুণদের কাছে।’

‘ধুতি সামলে’ চলার ভয়ে যাঁরা কম পরেন, তাঁরাও অনায়াসে পরতে পারেন। সামলে চলার কোনো ঝামেলা নেই। তৈরি ধুতিতে কুঁচি সেট করে সেলাই করে দেওয়া হচ্ছে। কোমরে দেওয়া থাকছে ইলাস্টিক বা ফিতা। পাজামার মতো শুধু পা গলিয়ে দিলেই হলো। এসব ধুতির পাড় ও সামনের কুঁচিতে নানা ধরনের নকশা হচ্ছে উৎসবের আবহ ধরে। সৌমিক দাশ বললেন, পূজার জন্য লোকজ নানা ধরনের থিম বেছে বেশ কিছু ধুতিতে ব্লকের ছাপ দেওয়া হয়েছে।

খোলা ও সেলাই করা দুই ধরনের ধুতিই রয়েছে। পোশাক: কে ক্র্যাফট, রঙ বাংলাদেশ
খোলা ও সেলাই করা দুই ধরনের ধুতিই রয়েছে। পোশাক: কে ক্র্যাফট, রঙ বাংলাদেশ

ধবধবে সাদা ধুতি ছাড়াও আজকাল নানা রঙের ধুতি পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। পাঞ্জাবির নকশার সঙ্গে মিলিয়ে অথবা বিপরীত রং বেছে নিতে পারেন ধুতিতে। কে ক্র্যাফটের স্বত্বাধিকারী খালিদ মাহমুদ খান মনে করেন, পাঞ্জাবির সঙ্গে হুবহু একই রঙের ধুতি অনেক সময় ভালো না-ও লাগতে পারে। তাই পাঞ্জাবির একটা নকশা বা রঙের কাছাকাছি কোনো রং বেছে নিতে পারেন ধুতিতে। বিপরীত রং বেছে নিলেও সেটা পাঞ্জাবির সঙ্গে ভালো দেখাচ্ছে কি না, বুঝে পরতে হবে। সাধারণত ৬০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় তৈরি ধুতি কিনতে পারবেন। তবে খোলা ধুতি কিনলে কিছুটা কম দামে পাবেন। খোলা ধুতি পরার অভিজ্ঞতা না থাকলে ইন্টারনেটের সুবিধা নিতে পারেন। ইউটিউবে নানাভাবে ধুতি পরার ভিডিও আছে। সেখান থেকে দেখে নিজেই পরে ফেলতে পারবেন।

খোলা ধুতি কিনতে পারবেন রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট, পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার, মালিবাগ এলাকায়। আর তৈরি ধুতি বিভিন্ন মার্কেট ছাড়াও মিলবে ফ্যাশন হাউসে। এর মধ্যে নকশা করা ধুতি পাবেন আড়ং, রঙ বাংলাদেশ, কে ক্র্যাফট, অঞ্জন’স, বিশ্বরঙসহ বেশ কয়েকটি ফ্যাশন হাউসে।