চুলের নিত্য যত্ন

বারবার চুল না আঁচড়ে প্রয়োজনে হাতের আঙুল ব্যবহার করুন। মডেল: মিথিলা, ছবি: নকশা
বারবার চুল না আঁচড়ে প্রয়োজনে হাতের আঙুল ব্যবহার করুন। মডেল: মিথিলা, ছবি: নকশা

রোজকার ব্যস্ততায় নিজের প্রতি বাড়তি যত্ন নেওয়ার সুযোগ হয়তো নেই। হালের মেট্রোলাইফে প্রতিটি ক্ষেত্রের জন্যই সময় নির্ধারিত। তবু তাড়াহুড়ার মাঝে নিজের জন্য একটু ভাবুন। দিন শেষে আপনার সব সাফল্য কিন্তু এই ‘আপনার’ জন্যই। চুল ও ত্বকের সুস্থতাও আপনার সুস্থতারই অংশ। নিত্যদিনের জীবনযাত্রায় কিছু ভুল অভ্যাস হরহামেশাই চুলের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। চুল ধোয়া-শুকানো-আঁচড়ানো—সব মিলিয়ে ভুল হওয়ার জায়গা অনেক। তবে একটু খেয়াল করলে এগুলো সংশোধন করে নেওয়া যায় অনায়াসেই। হারমনি স্পার আয়ুর্বেদিক রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা জানালেন নিত্যদিনের জীবনে চুলের সুস্থতায় কী করা উচিত, আর কী করা উচিত নয়।

চুল ধোয়ার নিয়মকানুন

শ্যাম্পু করার আগে ভালোভাবে চুল ভিজিয়ে নিন। তাড়াহুড়া করে সম্পূর্ণ চুলে একবারে শ্যাম্পু লাগানো উচিত নয়। কয়েকটি ভাগে ধীরে ধীরে শ্যাম্পু লাগাতে হবে। শ্যাম্পু করার সময় এলোমেলোভাবে হাত চালিয়ে চুলে জট লাগানো যাবে না; বরং চুলের দৈর্ঘ্য বরাবর শ্যাম্পু করতে হবে। শ্যাম্পুর আগে তেল ম্যাসাজ করা প্রয়োজন। তেল ম্যাসাজ করার অন্তত আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করুন, চাইলে আগের রাতে তেল ম্যাসাজ করে রাখতে পারেন। যাঁদের চুল খুবই রুক্ষ প্রকৃতির, তাঁরা শ্যাম্পুর পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। তবে মাথার ত্বকে কন্ডিশনার লাগানো যাবে না।

চুল শুকাতে তাড়াহুড়া নয়

চুল শুকাতে তাড়াহুড়া করবেন না। গোসল সেরে এসে কিছুক্ষণ ফ্যানের নিচে বসুন। টেবিল ফ্যান বা স্ট্যান্ড ফ্যানের হাওয়াও কাজে লাগাতে পারেন। তোয়ালে ব্যবহার করুন আলতোভাবে। চুল বা মাথার ত্বক মোছার কাজটিও করুন হালকাভাবে। তোয়ালে দিয়ে চুল ঝাড়ার অভ্যাস বাদ দিয়ে দিন। হেয়ার ড্রায়ার পারতপক্ষে ব্যবহার না করাই ভালো। তবু খুব প্রয়োজন হলে ড্রায়ারের ঠান্ডা হাওয়ায় চুল শুকিয়ে নিতে পারেন। সকালে অফিসে যাওয়ার তাড়া থাকলে একটু আগেই গোসল সেরে নিন, নইলে ভেজা চুল নিয়ে বিপত্তি বাধবে।

চুল আঁচড়াতে

সারা দিনে এক থেকে দুইবারের বেশি চুল আঁচড়ানোর প্রয়োজন নেই। খুব বেশি বার চুল আঁচড়ালে বেশি চুল পড়ার আশঙ্কা থাকে। প্রয়োজনবোধে চুলে আঙুল চালিয়ে চুল ঠিক করে নিতে পারেন। ভেজা চুল আঁচড়ানো উচিত নয়। কখনো যদি ভেজা চুল আঁচড়াতেই হয়, তাহলে মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করুন। আর চুল অতিরিক্ত অগোছালো প্রকৃতির হলে ‘সেরাম’ ব্যবহার করতে পারেন; তাহলে চুলের অগোছালো ভাবটা কমবে, বারবার চিরুনি ব্যবহারের প্রয়োজন হবে না।