দ্বীপপ্রেমী তারকারা

মানুষের হাজার রকমের শখ থাকে। তারকারাও এর বাইরে নন। কেউ শখে গাড়ি কেনেন, কেউ বা বিলাসবহুল বাড়ি কিংবা দামি গয়না। কোনো কোনো তারকা বিলাসবহুল জীবনকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে কেনেন দ্বীপ। লোকালয় থেকে অবসরের সময়টুকু একান্তে কাটানোর জন্য অনেক তারকাকে দেখা যায় দ্বীপের মালিক হতে। এমনই কয়েকজন তারকার দ্বীপের কথা পড়ুন।

শাকিরার বাহামাপ্রেম

কলাম্বিয়ার গায়িকা শাকিরার বিশাল একটি দ্বীপ আছে বাহামা দ্বীপপুঞ্জে। আটলান্টিক মহাসাগরের বুকে দ্বীপটির নাম বন্ড কে। দ্বীপটির আকার ৭০০ একরের মতো। ১ কোটি ৬০ লাখ ডলার খরচ করে দ্বীপটি কিনেছিলেন তিনি। প্রতিবছরের গ্রীষ্মের সময়টায় দ্বীপটিতে অবকাশ কাটান এই গায়িকা। এমনকি দ্বীপটি নিয়ে ‘আইল্যান্ড’ নামে একটি গানও গেয়েছেন। শাকিরার দ্বীপ-প্রতিবেশী হচ্ছেন পিংক ফ্লয়েডের রজার ওয়াটার্স। তিনিও শাকিরার সঙ্গে দ্বীপটির কিছু অংশের মালিক।

রিকির দ্বীপ-জ্বর

পুয়ের্তোরিকার গায়ক রিকি মার্টিন নাকি লাতিন আমেরিকার ভক্তদের উৎসাহে একটি দ্বীপ কিনেছেন। ব্রাজিলের অ্যাঙ্গরা দ্যস রিজ দ্বীপপুঞ্জের একটি দ্বীপের মালিক তিনি। ২০০৮ সালে প্রায় ৮০ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যে দ্বীপটি কিনে নেন। সে সময় গণমাধ্যমে বলা হয়েছিল, ‘রিকি মার্টিন দ্বীপ-জ্বরে আক্রান্ত!’ দ্বীপে রিকি নিজের জন্য বিশাল আকারের রিসোর্ট আর সুইমিংপুল বানিয়েছেন। দ্বীপে যাতায়াতের জন্য একটি ব্যয়বহুল হেলিকপ্টারও কিনেছেন এই গায়ক।

রিয়ানার সাগরপ্রেম

গায়িকা রিয়ানার জন্ম হয়েছিল সাগরপাড়ের একটি শহরে। সে কারণেই নাকি সাগর আর দ্বীপের প্রতি টান রয়েছে তাঁর। বারবাডোজে জন্ম নেওয়া এই গায়িকা লেসার অ্যান্টেলিস নামের একটি দ্বীপের মালিক। ছোটবেলায় নাকি একবার এই দ্বীপে ঘুরতে এসেছিলেন রিয়ানা, এরপরেই দ্বীপের প্রেমে পড়ে যান তিনি। পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে দ্বীপটির অবকাশকেন্দ্রে প্রায়ই দেখা যায় তাঁকে। ২০১৪ সাল থেকে প্রতিবছর নিয়মিত পাঁচজন পাগল ভক্তকে দ্বীপে থাকার সুযোগ দিচ্ছেন রিয়ান্না।

ফরাসি দুর্গ আর দ্বীপের মালিক সেলিন

কানাডার কুইবেক প্রদেশের এল গ্যাগনন দ্বীপের মালিক হচ্ছেন গায়িকা সেলিন ডিওন। টাইটানিক সিনেমার গান ‘মাই হার্ট উইল গো অন’ গাওয়া এই গায়িকা দ্বীপটিতে পর্যটকদের জন্য বিশাল এক দুর্গ নির্মাণ করেছেন। ৮ লাখ বর্গফুটের এই দ্বীপটির দাম পড়েছে ২ কোটি ৯৭ লাখ মার্কিন ডলার। জন্মসূত্রে ফরাসি বলেই হয়তো ফরাসি দুর্গের প্রতি ছোটবেলাতে তাঁর আগ্রহ ছিল। ফরাসি এই দুর্গ দেখতে নাকি প্রতিবছর ৭০ হাজারের বেশি পর্যটক দ্বীপটিতে পা রাখেন।

ডিক্যাপ্রিওর প্রবালপ্রেম

অনেক বছর ধরেই বৈশ্বিক জলবায়ু নিয়ে সোচ্চার ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে হলিউড অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওকে। ডিক্যাপ্রিও ২০০৫ সালে ১৭ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার দিয়ে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের কোরাল সাগরের একটি দ্বীপ কিনে নেন। ২০০৪ সালে দ্বীপটিতে ঘুরতে গিয়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন ডিক্যাপ্রিও। দ্বীপটি সাবেক ব্রিটিশ হন্ডুরাস, বর্তমান বেলিজের অন্তর্গত। ২ দশমিক ২ মাইল লম্বা এই দ্বীপটি অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের সীমানার মধ্যেই অবস্থিত।

বলিউড–বাদশাহর দ্বীপ

দুবাইয়ের পাম জুমেইরার একটি দ্বীপের মালিক বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। ২৮ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যে দ্বীপটি কিনেছেন শাহরুখ খান। দ্বীপটিতে প্রতিবছরই স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঘুরতে যান তিনি। নিজের দ্বীপে দুটি বিলাসবহুল ভিলা তৈরি করে সেখানে এখন বেশ জাঁকজমকভাবেই সময় কাটান বলিউড বাদশাহ।

জলদস্যুর দ্বীপপ্রেম

পাইরেটস অব ক্যারাবিয়ান সিনেমায় ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারো হিসেবে আলোচিত জনি ডেপ। জনি ডেপ বাস্তবে সেই ক্যারাবিয়ান অঞ্চলেরই একটি দ্বীপের মালিক কিন্তু! বাহামার লিটল হলস পন্ডস কে দ্বীপের মালিক জনি। ৪৫ একর জায়গার এই দ্বীপটি বাহামার প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপের অন্যতম। ৩০ লাখ ৬০ হাজার ডলার মূল্যে এই দ্বীপটি কিনেছিলেন জনি।

গ্রন্থনা: জাহিদ হোসাইন খান

সূত্র: ফানকেইজ ও স্ন্যাকেল