ব্রণ হলে যে ৫ খাবার নয়

ব্রণ বা অ্যাকনি একটি বিরক্তিকর ও বিব্রতকর সমস্যা। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ও সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয় এই ব্রণ। মুখে ব্রণ দূর করতে আমরা কত কিছুই না করি। তবে ব্রণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে যে বিষয়টি প্রভাবিত করে, তা হলো খাদ্যাভ্যাস। যদিও সব খাবার সবার শরীরে একই প্রতিক্রিয়া দেখায় না। তারপরও কিছু খাবার আছে, যা মুখে ব্রণের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।

তাই ব্রণ হলে যে পাঁচ খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত তা হলো:

পাউরুটির গ্লুটেন বাড়িয়ে দেয় ব্রণের সমস্যা।
পাউরুটির গ্লুটেন বাড়িয়ে দেয় ব্রণের সমস্যা।


পাউরুটি:
প্রতিদিন সকালে পাউরুটি বা ব্রেড–জাতীয় খাবার দিয়ে নাশতার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। তবে ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ হলো খাদ্যতালিকায় থাকা এই পাউরুটি। গ্লুটেন হলো একধরনের প্রোটিন, যা পাওয়া যায় গম, যব, রাই ও ওটস–জাতীয় খাবার, অর্থাৎ পাউরুটিতে। আর এই গ্লুটেনের কারণেই বাড়ে ব্রণ।

আলুর চিপসে থাকে অধিক শর্করা।
আলুর চিপসে থাকে অধিক শর্করা।


আলুর চিপস:
ঝটপট নাশতায় আলুর চিপস আমাদের অনেকেরই প্রিয়। তবে এই আলুর চিপসই বাড়ায় মুখের ব্রণ। এতে অতিরিক্ত পরিমাণে শর্করা আছে, যা শরীরে ইনসুলিনের বিপরীতে দ্রুত কাজ করে। ব্রণের ব্যথা-বেদনা বাড়িয়ে দেয়।

চকলেটের চিনিতে বেড়ে যায় মুখের ব্রণ।
চকলেটের চিনিতে বেড়ে যায় মুখের ব্রণ।


চকলেট:
সাম্প্রতিক গবেষণায় ব্রণ বাড়ার সঙ্গে চকলেটের একটি সম্পর্ক পাওয়া গেছে। চকলেট কমবেশি অনেকেই পছন্দ করে। এতে রয়েছে প্রচুর চিনি, যা মুখের ব্রণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই চকলেট থেকে দূরে থাকাই ভালো।

দুগ্ধজাত খাবার ইনসুলিনের বিপরীতে কাজ করে।
দুগ্ধজাত খাবার ইনসুলিনের বিপরীতে কাজ করে।


দুধ:
শরীরের জন্য সুষম খাবার। খাদ্যতালিকায় তাই রোজ এক গ্লাস দুধ রাখতে বলা হয়। তবে দুগ্ধজাত খাবার ইনসুলিনের বিপরীতে কাজ করে। আর যার ফলে ব্রণের সমস্যা বাড়ে। তারপরও খাবারের তালিকা থেকে দুধ বাদ না দেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।

সোডায় অতি মাত্রায় ফ্রুকটোজ থাকে।
সোডায় অতি মাত্রায় ফ্রুকটোজ থাকে।


সোডা:
সোডা–জাতীয় পানীয়তে আসলে তেমন পুষ্টিকর কিছু নেই। এটি ত্বকের জন্য একদমই ভালো নয়। এতে ফ্রুকটোজের মাত্রা অত্যধিক থাকে। আর ফ্রুকটোজ হলো মূলত চিনি, যা মুখে ব্রণের প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। সূত্র: এনডিটিভি অনলাইন।