বাগেরহাটের তিন পদ

আঞ্জুমানারা রোজী । বাড়ি বাগেরহাট। থাকেন খুলনায়। নিত্যনতুন রান্না করতে ভালোবাসেন। রান্না নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে থাকেন। দুই সন্তান তাঁর রান্নার সবচেয়ে বড় সমালোচক। পাঠকের রেসিপি বিভাগে দিলাম বাগেরহাটের তিনটি ঐতিহ্যবাহী রেসিপি।

আমড়ার নারকেল খাট্টা

উপকরণ : আমড়া ৪টি, চিনি ১ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, রসুন বাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুঁচি ১ টেবিল চামচ, নারকেলের দুধ ২ কাপ, তেজপাতা ২টি, সয়াবিন তেল ১ টেবিল চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি : গোটা আমড়া খোসা ছাড়িয়ে পানিতে হলুদ দিয়ে সেদ্ধ হতে দিন। অর্ধেক সেদ্ধ হয়ে এলে এতে নারকেলের দুধ দিয়ে মরিচের গুঁড়া ও তেজপাতা দিয়ে দিন। আমড়া পুরোপুরি সেদ্ধ হয়ে এলে অন্য একটি পাত্রে তেল গরম করে রসুন বাটা ও পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে আমড়ার মিশ্রণে ঢেলে দিন। পাত্রে সাজিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

আলুর রসা পিঠা

উপকরণ: পিঠার জন্য: মাঝারি আকারের সেদ্ধ আলু ৪টি, ময়দা ১ কাপ, ঘন তরল দুধ ১ কাপ, ডিম ১টি, চিনি ২ টেবিল চামচ, ঘি ১ টেবিল চামচ, তেল ভাজার জন্য।

খ. শিরার জন্য: চিনি ২ কাপ, পানি ২ কাপ, দারুচিনি ও এলাচি ২/৩টি।

প্রণালি: গরম দুধ দিয়ে ময়দা ময়ান করে নিন। এবার সেদ্ধ আলু চটকে ময়দার সঙ্গে ভালো করে মেশান। একে একে ফেটানো ডিম, চিনি এবং ঘি মিশিয়ে ময়ানটি ছোট ছোট টুকরা করে নিন। এবার টুকরোগুলো লম্বা লম্বা করে পেঁচিয়ে নিন (চাইলে নিজের পছন্দমতো আকারও দেওয়া যাবে)। ডুবো তেলে হালকা বাদামি করে ভেজে তুলুন। অন্য একটি পাত্রে পানি, চিনি, দারুচিনি ও এলাচি দিয়ে সিরা বানিয়ে পিঠাগুলো শিরায় ভেজান। ৪/৫ ঘণ্টা রেখে পরিবেশন করুন।

কলাপাতায় নারকেল-চিংড়ি

উপকরণ: নারকেল বাটা ১ কাপ, চিংড়ি বাটা দেড় কাপ, রসুন বাটা আধা চা-চামচ, পেঁয়াজ বাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ বাটা আধা চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ ওকলাপাতা ১০ ইঞ্চি আকারের ৩টি।

প্রণালি: পাত্রে একে একে সব উপকরণ একসঙ্গে মেশাতে হবে। এবার একটি কলাপাতায় তেল ব্রাশ করুন। এরপর মিশ্রণটি পাতায় ঢেলে মুড়িয়ে নিন। এরপর বাকি দুটি পাতা দিয়েও মুড়িয়ে নিতে হবে। এবার এটি প্যানে রেখে ঢেকে অল্প আঁচে ১৫ মিনিট রাখুন। এবার উল্টে দিন, আরও ৫ মিনিট চুলায় রাখুন। ভাতের সঙ্গে গরম-গরম পরিবেশন করুন।