কাটা-ছেঁড়া জিনস

জিনসের আবেদন সব সময়ই থাকে। এখন চলছে কাটা–ছেঁড়া জিনস, সেলাই ও ওয়াশে এসেছে নতুনত্ব। মডেল: হৃতিকা, পোশাক: রে–লু–সে, সাজ: শিলা’স মেকওভার, ছবি: কবির হোসেন
জিনসের আবেদন সব সময়ই থাকে। এখন চলছে কাটা–ছেঁড়া জিনস, সেলাই ও ওয়াশে এসেছে নতুনত্ব। মডেল: হৃতিকা, পোশাক: রে–লু–সে, সাজ: শিলা’স মেকওভার, ছবি: কবির হোসেন

ফ্যাশনপ্রেমীদের কাছে জিনসের প্যান্ট অনেকটা বন্ধুর মতোই। জিনস যত পুরোনো হয়, বন্ধুত্ব ততই গাঢ় হতে থাকে। বছরের পর বছর ধরে জিনসে যোগ-বিয়োগ হয়েছে নানা নকশা। বর্তমানে জিনসের নতুন ধারা হলো জায়গায় জায়গায় ছেঁড়া-ফাটা থাকবে। এ ধারা আরও কয়েকবার এসেছে, গিয়েছে। এ বছরের ছেঁড়া-ফাটা জিনসে থাকছে আরও কিছু নকশা।

িজনস: লা’রিভ
িজনস: লা’রিভ

ফ্যাশনে জিনস সব সময়ই থাকে। অনেককেই দেখা যায় ১০-১৫ বছরের পুরোনো জিনসও আগলে ধরে রাখেন। ১৯৮০ সালে কাটা-ছেঁড়া বা ফাটা জিনসের চল শুরু হয় পাশ্চাত্যে। এরপর ১৯৯০ এবং চলতি শতকের শুরুর দশকের দিকেও দু-তিনবার ঘুরেফিরে এসেছিল। আর এ বছর এই ধারা ফিরে এসেছে আরও আটঘাট বেঁধে।
কিশোরী, তরুণীরাই বেশি পছন্দ করে কিনছেন এমন জিনস। বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেল। পাশ্চাত্যে এই নকশা আবার ফ্যাশনে আসার কারণেই বাংলাদেশে কাটা-ছেঁড়া জিনস জনপ্রিয় এখন। লা রিভের পরিচালক, ডিজাইন ও ক্রিয়েটিভ মুন্নুজান নার্গিস জানান, ছেঁড়া, কাটার পাশাপাশি জিনসগুলোয় যোগ হচ্ছে নানা ধরনের কাজ।

ফুলেল নকশা জিনসে এনেছে নতুনত্ব। পোশাক: মেয়র
ফুলেল নকশা জিনসে এনেছে নতুনত্ব। পোশাক: মেয়র

পাতাসহ ফুলেল নকশা, সিকোয়েন্সের কাজ ইত্যাদি বেশি দেখা যাচ্ছে। কাটা জায়গাটার ফাঁকটা বেশি বড় হলে সুতা রেখে দেওয়া হচ্ছে অথবা অন্য রঙের বাড়তি একটা কাপড় লাগিয়ে করা হচ্ছে বিশেষ নকশা। কাটা জায়গাটাও খুব বেশি বড় রাখা হচ্ছে না। প্যান্টের নিচের অংশেও সুতা বের করে রাখার চল চলছে।
পাশ্চাত্যে বড় থেকে বড় অংশ কাটা নিয়ে পরছেন অনেকেই। প্যান্টে কখনো পুরো হাঁটু উধাও তো কখনো হাঁটুর ওপরের বেশ কিছুটা জায়গা কেটে ফেলা হচ্ছে। মুন্নুজান নার্গিস বলেন, ‘আগামী দুই বছর এ ধারাটা চলবে। কিশোরী বা তরুণীদের এই ট্রেন্ডটি বেশি মানাবে। খুব বেশি লম্বা টপের সঙ্গে না পরাই ভালো। এতে করে জিনসের প্যান্টের আসল সৌন্দর্যটাই ঢেকে যাবে।

পোশাক: মেয়র
পোশাক: মেয়র

বরং ক্রপ টপ, ছোট কাটের ফ্লোয়ি টপ বেশ মানাবে।’ একটু বয়সী নারীরা পরতে পারবেন না, এমন কোনো নিয়ম-নীতিও নেই। পাশ্চাত্যে বয়স্করাও পরছেন। মন্দ লাগছে না। তবে আপনি পরে স্বচ্ছন্দ পেলে তবেই পরতে পারেন। এই জিনস আনুষ্ঠানিক কোনো উপলক্ষের জন্য নয়। বন্ধুদের আড্ডায়, ঘুরে বেড়ানোর সময় এ জিনসগুলো মানাবে। চাপা কাটের (ন্যারো ফিট) প্যান্টেই সাধারণত ছেঁড়া অংশ থাকছে। চাপা হওয়ায় পরার পর কাটা জায়গাটা ভালোভাবে বোঝা যায়।
জিনসে এই কাটা-ছেঁড়াগুলো করা হয় অ্যাসিড ওয়াশ অথবা মেশিনের সহায়তায় বলে জানান রে-লু-সের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. সেলিম উদ্দীন। তিনি জানান, বাংলাদেশে জিনসের এই স্টাইলটি প্রথম দেখা যায় নব্বইয়ের দশকের দিকে। মাইলস ব্যান্ডের সদস্যরা এ ধরনের জিনস পরে ছবি তোলেন। যেটা পরে প্রতিশ্রুতি নামের অ্যালবামের ছবিতে দেখা যায়। ঢাকায় বিভিন্ন দোকানে পাওয়া যাচ্ছে এ ধরনের জিনস। ঢাকা কলেজের উল্টো পাশে অবস্থিত বাজারগুলোয়ও চলে এসেছে। জিনসে কাটা-ছেঁড়া যে শুধুই সামনের দিকে থাকবে এমনটি নয়। অনেক জিনসে পেছনের দিকেও থাকছে।

এমন জিনসের সঙ্গে ছোট টপ বেশি মানায়। পোশাক: রে–লু–সে
এমন জিনসের সঙ্গে ছোট টপ বেশি মানায়। পোশাক: রে–লু–সে