ওজন কমাতে সকালের নাশতা

সকালে নাশতা ঠিকমতো খেলে সারাদিন অতিরিক্ত খিদে পাবে না। ছবি: অধুনা
সকালে নাশতা ঠিকমতো খেলে সারাদিন অতিরিক্ত খিদে পাবে না। ছবি: অধুনা

ঘুম থেকে উঠতে দেরি হলে সবচেয়ে অবহেলার শিকার হয় সকালের নাশতা। অনেকের মধ্যে সকালবেলা নাশতা না খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু শরীরের জন্য সকালের নাশতা খুব জরুরি। বারডেম জেনারেল হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধান ও পুষ্টি কর্মকর্তা শামসুন্নাহার নাহিদ বলেন, একটা গাড়ি চলার জন্য যেমন জ্বালানির প্রয়োজন হয়, তেমনি রাতের বেলার দীর্ঘ ঘুমের পর সারা দিনে শরীরের বিভিন্ন কাজের জন্য সকালের নাশতা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যেসব বাচ্চা স্কুলে যায়, তারা যদি ভালোভাবে নাশতা না করে, তাহলে তাদের স্মৃতিশক্তি কমে যেতে পারে। যাঁরা ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করছেন, তাঁরা যদি সকালের নাশতা না খান, এটি তাঁদের রক্তে চর্বির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পুষ্টিহীনতা দেখা দেয়।

শরীরের বিপাকীয় ক্ষমতা বাড়াতে
সকালের নাশতা শরীরের বিপাকীয় ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সারা দিনে কাজের জন্য যে পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন, তা মূলত সকালের নাশতার মাধ্যমে আসে। কিন্তু কেউ যখন এটি বাদ দিয়ে যান, তখন শরীর নতুনভাবে কাজ করতে পারে না। ফলে শরীরের কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে।

মনোযোগ বাড়াতে
একসময় ছিল, খুব কম সময়ে একটা বিষয় বুঝে ফেলতাম, কিন্তু এখন আর পারি না—যাঁরা এ ধরনের সমস্যায় ভুগছেন, তবে একটু ভেবে দেখুন, আপনার সকালে নাশতা কি ঠিকমতো হচ্ছে? নাশতা ঠিকমতো না খেলে আমাদের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা সকালে স্বাস্থ্যকর নাশতা করেন, তাঁদের কাজের গতি অন্যদের তুলনায় ভালো থাকে।

সঠিক ওজন রাখতে
ওজন কমাতে চান কিংবা শরীরকে সঠিক মাত্রায় রাখতে চান? চেষ্টা করুন সকালের নাশতা ঠিকমতো করতে। কেননা, সকালের ভরপেট নাশতার পর দুপুরে আরেকটু কম খাবেন। রাতে হালকা খাবার খেতে হবে। অর্থাৎ আপনার মাঝে যে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার প্রবণতা, সেটি শুধু সকালে সঠিক পরিমাণে নাশতা খেয়ে কমানো সম্ভব।

দীর্ঘ সময়ের জন্য সুস্থ থাকতে
প্রতিদিন সকালে পরিবারের সবার সঙ্গে বসে নাশতা করা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুব দরকার। যিনি সকালে নাশতা করার অভ্যাস গড়ে তুলতে চান, তাঁকে অবশ্যই সকালে অন্যদের তুলনায় আগে ঘুম থেকে উঠতে হবে। রাতে জলদি ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে।