পরীক্ষার সময় শিশুর যত্ন

পরীক্ষার সময় শিশু যেন সুস্থ থাকে, সেদিকে নজর দিন। প্রতীকী ছবি
পরীক্ষার সময় শিশু যেন সুস্থ থাকে, সেদিকে নজর দিন। প্রতীকী ছবি

চলে এসেছে পরীক্ষার মৌসুম। বাচ্চাদের পড়ালেখা নিয়ে এমনিতেই মা-বাবারা দুশ্চিন্তায় থাকেন, তার ওপর পরীক্ষার সময় তো কথাই নেই। এ কটা দিন অতিরিক্ত চাপ দিলে বাড়তি কোনো ফল আসবে না, উল্টো ক্ষতি হতে পারে। শিশুদের বরং এ সময় উৎসাহিত করতে হবে যেন জানা বিষয়টি তারা ভালোভাবে লিখতে পারে।

এই সময় তারা যেন সুস্থ থাকে, সেদিকে নজর দিন। পরীক্ষার সময় শিশুরা খাওয়া-দাওয়া একদম করতে চায় না। মগজের ফুয়েল বা জ্বালানি আসে মূলত গ্লুকোজ থেকে। আর গ্লুকোজ থাকে শর্করায়। পরীক্ষার দিন সকালে শর্করা জাতীয় খাবার যেমন সবজি দেওয়া নরম খিচুড়ি, রুটি, সিরিয়াল, ফলের রস দিতে পারেন। স্বাভাবিক খাবারে যে শর্করা থাকে, তা থেকেই শিশু সহজে গ্লুকোজ পায়। শিশু না খেয়ে যেন বের না হয়। দুধও মন্দ নয়। অনেকেই পরীক্ষার সময় ডিম খাওয়ান না, কুসংস্কারের জন্য। ডিম হলো প্রোটিন, কোলেস্টেরল আর ভিটামিনের অফুরন্ত উৎস। কুসংস্কারবশত শিশুকে পুষ্টিবঞ্চিত করবেন না।

এই সময় আইসক্রিম বা ফ্রিজের ঠান্ডা পানি একদম দেবেন না। পরীক্ষার সময় রাত জেগে পড়া অনেকেরই অভ্যাস। রাত জাগলে কিন্তু পড়া মনে থাকে না, সারা দিন যা পড়া হয় তা মগজের স্তরে জমা হতে সুস্থির সময়ের প্রয়োজন হয়। তাই মস্তিষ্ককে বিশ্রামের সময় বেশি না দিলে কোনো পড়াই মনে থাকবে না।

পরীক্ষার সময় অস্থিরতাও একদম বারণ। অস্থিরতায় মগজ থেকে এক ধরনের রাসায়নিক নিঃসৃত হয়, যার ফলে সিমপেথেটিক সিস্টেম সক্রিয় হয়ে ওঠে। বুক ধড়ফড়, মুখ শুকিয়ে যাওয়া, পিপাসা লাগা, অতিরিক্ত ঘাম, প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া—এসব এর লক্ষণ। এতে পড়াশোনা গুলিয়ে যায়, জানা উত্তরও ভুল হয়। তাই যতটা সম্ভব সুস্থির থাকতে হবে। সুস্থির থাকতে হবে মা-বাবাকেও।