প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া

নারীদের, বিশেষ করে মধ্যবয়সী ও বয়স্ক নারীদের প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, প্রস্রাবের সময় অস্বস্তি, তলপেটে ব্যথা ইত্যাদি একটি পরিচিত সমস্যা। সব সময় যে তা প্রস্রাবে সংক্রমণের কারণে হয়, তা নয়। তবে মনে রাখা ভালো যে প্রস্রাবে সংক্রমণ নারীদেরই বেশি হয়ে থাকে এবং প্রস্রাবের যেকোনো সমস্যায় এটি পরীক্ষা করা উচিত।

প্রস্রাবে সংক্রমণ হলে জ্বালাপোড়া ও অস্বস্তির সঙ্গে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, তলপেটে ব্যথা বা জ্বর থাকতে পারে। আবার অনেকের এসব উপসর্গ নাও থাকতে পারে। ডায়াবেটিস ও বয়স্ক রোগীদের সব উপসর্গ নাও থাকতে পারে। অনেক সময় প্রস্রাবের রুটিন পরীক্ষায় সংক্রমণের লক্ষণ দেখা যায়, যা কালচার করলে ধরা পড়ে। প্রস্রাবে সংক্রমণ সন্দেহ হলে প্রস্রাব কালচার করে সঠিক মেয়াদে ও সঠিক মাত্রায় সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করতে হবে। যাদের ঘন ঘন সংক্রমণ হয় তারা দীর্ঘ মেয়াদে চিকিৎসা নিতে পারেন।

এ ছাড়া অনেক সময় জরায়ুমুখের প্রদাহ, যোনিপথে ছত্রাক সংক্রমণ বা ক্ল্যামাইডিয়ার মতো জীবাণু সংক্রমণের কারণে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হতে পারে। এর সঙ্গেও তলপেটে ব্যথা, মাসিকের সময় ব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ থাকতে পারে। কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায়ও জ্বালাপোড়া হয়। কোনো বিশেষ ধরনের উপাদান, যেমন সাবান বা কসমেটিক বা প্যাডে অ্যালার্জিও হতে পারে।

একটু বয়স্ক নারীদের মেনোপজ হয়ে যাওয়ার পর যোনিপথের শুষ্কতার জন্য জ্বালাপোড়া করে। এ জন্য হরমোন ক্রিম ব্যবহার করা যায়। পানিশূন্যতা, কিডনি বা মূত্রথলিতে প্রদাহ বা পাথর থাকলেও এই সমস্যা হবে। প্রস্রাব খুব বেশি অম্ল হয়ে গেলেও এটা হয়। সে ক্ষেত্রে প্রস্রাবকে ক্ষার করার জন্য ওষুধ দেওয়া হয়।

তবে প্রস্রাব-সংক্রান্ত যেকোনো উপসর্গে সংক্রমণ আছে কি না তা আগে নিশ্চিত হয়ে নিন। বারবার সংক্রমণ হলে ডায়াবেটিস, কিডনি সমস্যা বা পাথর, মূত্রথলিতে কোনো সমস্যা আছে কি না দেখে নিন। মেনোপজ হয়ে গেলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাহায্য নিন এ সমস্যা সমাধানে। 

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল