শীত আসছে, তাই খোঁজখবর শুরু হয়েছে লেপ-কম্বলের। নতুন লেপ-কম্বল যেমন কেনা হচ্ছে, তেমনি পুরোনো লেপ নতুন করে বানিয়েও নিচ্ছেন অনেকে। রাজধানীর নীলক্ষেতের লেপ-তোশকের দোকানগুলো ঘুরে এমনটাই দেখা গেল।
লেপ
লেপ তৈরিতে কার্পাস তুলাই বেশি ব্যবহার হয়। এর আবার আছে কয়েক ধরন—কম্বার, এসকম্বার, থ্রেড কম্বার, রকটন ও পলি তুলা। রকমভেদে প্রতি কেজি কার্পাস তুলার দাম ২০০ থেকে ৫০০ টাকা। লেপ সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে—সিঙ্গেল, সেমি ডবল ও ডবল। প্রতিটি সিঙ্গেল লেপ ৯০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা, সেমি ডবল ১ হাজার ১০০ থেকে ২ হাজার টাকা এবং ডবল আকারের লেপ বানাতে ১ হাজার ৪০০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ পড়ে। পুরোনো লেপ নতুন করে বানাতে প্রায় অর্ধেক খরচ হয়। লেপের কভারের দাম ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা।
কম্বল
কম্বল মানেই রঙের বৈচিত্র্য। ফুল-পাতা কার্টুনসহ বিভিন্ন নকশার কম্বলে পাওয়া যায় রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও বিপণিবিতানে। নীলক্ষেত ও গুলিস্তান এলাকার বিভিন্ন দোকান ঘুরে জানা যায়, বাজারে দেশি-বিদেশি নানা রং ও আকারের কম্বল পাওয়া যায়।
নীলক্ষেতের সুমন বেডিংয়ের বিক্রেতা রাসেল জানালেন, বিদেশিগুলোর মধ্যে চীন ও কোরিয়ায় তৈরি কম্বল বেশি চলে। কোরিয়ার কম্বলের দাম বেশি হলেও মানে ভালো এবং আকারেও বড়। তবে দাম কম হওয়ায় চীনে তৈরি কম্বল বেশি বিক্রি হচ্ছে।
দেশি সিঙ্গেল পাতলা কম্বলও পাওয়া যায় বাজারে। এগুলোর দামও কম। ৫০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় সিঙ্গেল এবং ডবল এক হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকায় পাওয়া যাবে দেশি কম্বল। চীনের কম্বল সিঙ্গেল ৮০০ থেকে ৩ হাজার এবং ডবল ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকায় মিলবে। কোরিয়ার কম্বলের দাম সিঙ্গেল ১ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার এবং ডবল ৩ থেকে ৮ হাজার টাকা।
যেখানে পাবেন: লেপ-কম্বল পাওয়া যাবে ঢাকার ডেমরা, চকবাজার, টিকাটুলি, গুলিস্তান আজিমপুর, নীলক্ষেত, গ্রিনরোড, শাহজাহানপুর, মৌচাক, কারওয়ান বাজার, আগারগাঁওয়ের তালতলা, মিরপুর, খিলক্ষেত ও উত্তরার বাজারে। এ ছাড়া দেশের সব জায়গাতেই পাওয়া যায় লেপ ও কম্বল।