আচারের স্বাদে মমতা ও ভালোবাসা

বর্ষসেরা আচার িবজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
বর্ষসেরা আচার িবজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা

মজাদার আচার জিবে শুধু জলই আনে না, এর সঙ্গে থাকে মধুর স্মৃতির সম্পর্ক। ছেলেবেলার অনেক কথাই মনে করিয়ে দেয় আচার। শুধু স্বাদই নয় আচারে মিশে থাকে মায়েদের মমতা ও ভালোবাসা। তাই তো ‘আজকের নারী, এগিয়ে চলো’ স্লোগানে এবার ১৮তম বারের মতো হয়ে গেল প্রাণ জাতীয় আচার প্রতিযোগিতা। ১৯ জানুয়ারি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আচার প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বক্তব্যের মাঝখানেই চলছিল বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়া। বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে এবারের আসরে বর্ষসেরা আচারের জন্য দুই লাখ টাকা পুরস্কার পেলেন সুনামগঞ্জের প্রতিযোগী শরিফা আক্তার। তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

এবারের প্রতিযোগিতায় সারা দেশ থেকে আসা ৩ হাজার ৬৯২ জন প্রতিযোগীর পাঠানো ৮ হাজার ৩০৮টি আচারের মধ্য থেকে ২০১৭ সালের বর্ষসেরা আচার নির্বাচন করা হয়। প্রতিবারের মতো এবারও বিভাগ ছিল চারটি-টক, মিষ্টি, ঝাল ও অন্যান্য। প্রাথমিক বাছাইয়ের মাধ্যমে ৪৮টি আচারের মধ্যে থেকে বিচারকদের বাছাই করা ১৩টি আচার চূড়ান্ত করা হয়। এবারের টক বিভাগে যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন কুমিল্লার রাবেয়া আক্তার, সিলেটের হাসনাত জাহান ও ঢাকার মনোয়ারা হক। মিষ্টি বিভাগে যথাক্রমে বিজয়ীরা হলেন নারায়ণগঞ্জের উষান, ঢাকার রাজিয়া খানম ও খাদিজা হোসাইন। ঝাল বিভাগে যথাক্রমে বরিশালের ইরতিমা মৌমি, ঢাকার দিলরুবা কাকন ও সিলেটের কুমকুম হাজেরা বিজয়ী হয়েছেন। অন্যান্য বিভাগে যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন আফরোজা বেগম, তাসলিমা সরকার ও আসমা বেগম। এই বিভাগগুলোতে যাঁরা প্রথম হয়েছেন তাঁরা পেয়েছেন ৫০ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ওয়াশিং মেশিন ও মাইক্রোওয়েভ ওভেন। এ ছাড়া ৩৫ জন প্রতিযোগীকে দেওয়া হয়েছে শুভেচ্ছা পুরস্কার।

এবার চূড়ান্ত পর্বের বিচারক ছিলেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের উপাধ্যক্ষ ফাতেমা সুরাইয়া, রান্নাবিদ নাজমা হুদা, অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী নাদিয়া আহমেদ, নাট্যকার চয়নিকা চৌধুরী, সংবাদ উপস্থাপিকা শামীম আরা মুন্নি, অভিনেত্রী সালেহা খানম, আচারশিল্পী জেবুন্নেসা বেগম, পুষ্টিবিদ সাজেদা জ্যোতি, সংগীতশিল্পী পুতুল ও বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার জাহানারা আলম।

অনুষ্ঠানে প্রাণ আরএফএল গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘যাঁরা ঘরে বসে আমাদের উপহার দিচ্ছেন এই সুস্বাদু খাবারটি, তাঁদের স্বীকৃতি ও সম্মাননা দেওয়ার জন্যই আমাদের এই আয়োজন। প্রাণের বিভিন্ন দোকানে হাতের তৈরি আচার রেখে বাজারজাতকরণের উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা চাই দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ১৪০টি দেশে ছড়িয়ে পড়ুক দেশীয় এই আচার।’

বক্তব্য দেন প্রাণের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা, প্রাণের পরিচালক উজমা চৌধুরী, বিচারকগণ ও প্রধান অতিথি রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। পুরস্কার বিতরণী ছাড়াও ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে অংশ নেন চলচ্চিত্র তারকা ফেরদৌস ও অপু বিশ্বাস, সংগীতশিল্পী ডলি সায়ন্তনীসহ আরও অনেকে। প্রাণের এ আয়োজনে সহযোগিতা করেছে চ্যানেল আই।