সসেজ নাকি নাগেটস

>বিকেলে নাশতায় বা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডার সময় খেতে পারেন সসেজ বা নাগেটস। মুখের স্বাদ বাড়াতে টিফিন হিসেবে এবং মজাদার নাশতা হিসেবে খেতে পারেন। সসেজ ও নাগেটসের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানান বারডেম জেনারেল হাসপাতালের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ।

সসেজ

মাংসের সবচেয়ে ভালো অংশ দিয়ে সসেজ তৈরি করা হয়। এতে প্রোটিন রয়েছে। খাদ্যতালিকায় বেশি প্রোটিনযুক্ত থাকলে তা ওজন কমাতে সহায়তা করে। সসেজে বেশি প্রোটিন থাকায় তা ওজন কমাতে সহায়ক। এ উপকরণটি থাকার কারণে মানুষের শরীরে প্রোটিনের অভাব পূরণ করে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শরীরের জন্য সসেজ বেশ উপকারী।

সসেজ উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং ভিটামিন ও খনিজেরও ভালো উৎস। বিভিন্ন প্রকার রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করে। যেমন: ভিটামিন বি চোখের ছানিরোগ ও ত্বকের সমস্যা প্রতিরোধ করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, দুর্বলতা দূর করে, হজমশক্তি বাড়ায় এবং স্নায়ুতন্ত্র সুস্থ রাখে।

নাগেটস

দোকানের নাগেটস তৈরি করা হয় মাংসের উচ্ছিষ্ট অংশ দিয়ে। এ জন্য নাগেটসের চেয়ে সসেজ শরীরের জন্য উপকারী। তবে ঘরে বানানো নাগেটস ভালো মানের মাংস দিয়ে তৈরি করা হয়। শরীর ভালো রাখার জন্য ঘরে বানানো নাগেটস খেতে পারেন। এটি বেশ উপকারী।

এতে প্রচুর পরিমাণে চর্বি রয়েছে। এর ফলে শরীর কিছুটা মুটিয়ে যেতে পারে। যাঁরা মোটা হতে চান, তাঁরা নাগেটস খেতে পারেন। যাঁদের হৃদ্‌রোগের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের না খাওয়াই ভালো। এটি খেলে হাড়ের ক্ষয় কমাতে সাহায্য করে। আমিষজনিত পুষ্টিহীনতা থেকেও রক্ষা করে।