স্টাইলে ঢাকা মাথা

শহর বা গ্রাম সব জায়গাই এখন ধুলায় ধূসর। তার ওপর বাড়ছে রোদের তেজ। টুপি বা ক্যাপ পরার এখনই সময়। এতে স্টাইলের পাশাপাশি মাথাও পাবে আরাম, থাকবে নিরাপদ।

সমুদ্র বা পাহাড়—বেড়াতে গেলে ব্যাগে ভরে নিতে পারেন পছন্দমতো ক্যাপ বা হ্যাট। দেশি ক্যাপের পাশাপাশি বিদেশি ব্র্যান্ডের অনেক ক্যাপ বা হ্যাট এখন দেশেই পাওয়া যায়। ইনফিনিটির পরিচালক নাইমুল হক খান জানালেন, ‘নাইকি, অ্যাডিডাসের মতো কিছু ব্র্যান্ড বাংলাদেশে ক্যাপ তৈরি করে। দেশের বাজারেও তাদের ক্যাপ পাওয়া যায়। কিছু দেশি ফ্যাশন হাউস আজকাল নিজেরাই ক্যাপ ও হ্যাটের নকশা করছে। স্টাইলে সেসবও কম যায় না।’

ক্যাজুয়াল বা সেমিফরমাল পোশাকের সঙ্গে অনেকেই ক্যাপ ও হ্যাট পরেন। বিশেষ করে তরুণেরা গরমের সময় বেছে নেন নানা ধরনের ক্যাপ। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের লোগো বসানো ক্যাপের চাহিদাও অনেক বেড়েছে বলে জানালেন ঢাকার ক্যাপবিক্রেতা ফয়েজ রহমান।

ক্যাপের জানা-অজানা

ক্যাপ বা হ্যাটে নানা ধরনের ছোট ছোট বদল থাকে। সেসবের কারণে ক্যাপটি ব্যতিক্রম দেখায়। এই যেমন সাধারণত ক্যাপ তৈরি হয় পাঁচ বা ছয় প্যানেলে (মাথার ওপরের অংশে প্রতিটি সেলাই একেকটি প্যানেল), সেটা কজনইবা খেয়াল করেন! তবে যাঁরা সাইকেল চালান তাঁদের জন্য পাঁচ প্যানেলের ক্যাপ বেশি সুবিধার। কিছু ক্যাপের সামনের অংশ থাকে সোজাসুজি আর বেশির ভাগই সামনের অংশ খানিক বাঁকানো। বয়স্কদের সোজা এই ঢালের ক্যাপে ভালো দেখাবে আর তরুণদের জন্য বাঁকানো ঢালই ভালো।

একটি ক্যাপ মাথা থেকে খোলার পর গোলাকার কাঠামোর সামনের দিকটা যদি দেবে যায়, তাহলে বুঝতে হবে এর কাঠামো শক্ত। তবে কিশোরদের কাছে শক্ত কাঠামোর চেয়ে সামনের দিকে নরম কাঠামোওয়ালা ক্যাপ পছন্দ। কারণ হিসেবে ডিজাইনাররা বলছেন, এটি মাথা থেকে খুলে সহজেই ভাঁজ করে রাখা যায়।

কার্পাস তুলা ও ভেড়ার লোম দিয়ে তৈরি ক্যাপ ও হ্যাট শীতকালের জন্য বেশি উপযোগী। এই সময়ে রাতে কোথাও বেড়াতে গেলে, বিশেষ করে খোলা জায়গার গান, নাটক বা কোনো অনুষ্ঠানে গেলে এমন ক্যাপ বা হ্যাট পরতে পারেন।

ক্যাপের নকশার বৈচিত্র্য অনেকটা নির্ভর করে এর পেছনের দিকে স্ন্যাপ, স্ট্র্যাপ নাকি ফ্লেক্সিবলফিট তার ওপর। তবে যে ধরনের ক্যাপ বা হ্যাটই বেছে নেন, তাতে আপনার চেহারা যেন পুরোটা ঢেকে না যায়।

নানা নামের ক্যাপ

দেশে-বিদেশে নানা নামের ক্যাপ আছে। যার অনেকগুলোই বাংলাদেশে পাওয়া যায়। এর মধ্যে আছে বেসবল ক্যাপ, পেপারবয় ক্যাপ, মিলিটারি ক্যাপ, আইভি ক্যাপ, ফিটেড ক্যাপ, ড্যাড ক্যাপ, সান ক্যাপ, গলফ ক্যাপ ইত্যাদি। হ্যাটের মধ্যে ক্রাউন শেপ, কাউবয়, সাফারি, ডায়মন্ড শেপ, ওভাল শেপ, পানামা হ্যাটের চল বেশি।

দরদাম

বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ক্যাপের দাম ৯০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। আর ব্র্যান্ড ছাড়া সাধারণ দোকানে পাবেন ১০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। হ্যাটের দাম কিছুটা বেশি। দেশি ব্র্যান্ড হলে দাম পড়বে ৫০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকার মধ্যে। আর আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের হ্যাট মিলবে ১ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকায়।

যেখানে পাবেন

ক্যাটস আই, ইনফিনিটি, ওটু, স্বপ্ন লাইফ, আর্টিসান, মোস্তফা মার্টসহ বেশ কিছু শোরুমে ভালো মানের ক্যাপ ও হ্যাট পাওয়া যাবে। এ ছাড়া বসুন্ধরা সিটি শপিং মল, গুলশানের ডিসিসি মার্কেট, পুলিশ প্লাজা, গুলিস্তান, রাপা প্লাজা, নিউ মার্কেট, গ্লোব, এলিফ্যান্ট রোডে মিলবে ক্যাপ ও হ্যাট।

তথ্য সূত্র: ভোগ, হ্যাট আনলিমিটেড