নতুন মায়ের ঘর

হবু মায়ের ঘরে যেন সূর্যের পাওয়া যায়, সে ব্যবস্থা রাখা ভালো। কৃতজ্ঞতা: গুলশান নাসরীন চৌধুরী, ছবি: নকশা
হবু মায়ের ঘরে যেন সূর্যের পাওয়া যায়, সে ব্যবস্থা রাখা ভালো। কৃতজ্ঞতা: গুলশান নাসরীন চৌধুরী, ছবি: নকশা

মা হওয়ার সময় তো বটেই এরপরও প্রত্যেক মেয়ের জীবনে আসে নানা পরিবর্তন। শুধু শারীরিক নয়, মানসিকভাবেও মাকে এ সময় সুস্থ রাখা জরুরি। যেখানে তিনি থাকবেন, সেই পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা একান্ত প্রয়োজন। পাশাপাশি মায়ের ঘর এমনভাবে সাজিয়ে রাখতে হবে, যাতে ঘরে ঢুকলেই মন প্রফুল্ল হয়ে উঠবে।

অন্দরসজ্জাবিদ গুলশান নাসরীন চৌধুরী বলছিলেন নতুন মায়ের ঘরে খুব বেশি আসবাব না রাখাই ভালো। এতে ঘরের ভেতরের খোলামেলা আবহ বজায় থাকবে। পাশাপাশি একটু নিচু আসবাবের ব্যবহার এই ঘরে এড়িয়ে যেতে হবে। ঘরের দেয়ালের রং খুব গুরুত্বপূর্ণ। চোখে লাগে এমন রং বা খুব হিজিবিজি কিছু দেয়ালে রাখা যাবে না। চোখে প্রশান্তি দেয় এমন রঙে রাঙাতে হবে দেয়াল। নতুন মায়ের ঘরের আলোও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সরাসরি আলোর পাশাপাশি ল্যাম্প শেড ব্যবহার করা যেতে পারে। ল্যাম্প শেডের আলো ঘরের পরিবেশকে মায়াবী করে তোলে। যা নতুন মাকে ঘুমাতে সাহায্য করবে।

অন্দরসজ্জার প্রতিষ্ঠান আর্ক ভিজ লিমিটেডের স্থপতি মেহেরুন ফারজানা বলছিলেন, নতুন মায়ের ঘরে যাতে অনায়াসেই সূর্যের আলো প্রবেশ করতে পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখা উচিত। এটা নতুন মা ও ছোট শিশু দুজনের জন্যই ভালো। এ জন্য খাটের অবস্থান জানালার কাছাকাছি হলে ভালো হয়। সম্ভব হলে ঘরে দুই পরতের পর্দা ব্যবহার করুন। নিচের স্তর হালকা নেট এবং ওপরের পর্দা ভারী কাপড়ের হতে হবে। আর যদি তা সম্ভব না হয় সে ক্ষেত্রে হালকা নীল, টিয়া সবুজ রঙের পর্দা লাগাতে পারেন।

নতুন মায়ের বেশির ভাগ সময় কাটে সন্তান নিয়ে। আলাদা করে বিশ্রাম নেওয়ার সময়টুকুও সে পায় না। এ জন্য মায়ের ঘরে হালকা সংগীতের ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। তার পছন্দে গানগুলো বাজতে পারে। গাছ ঘরে নিয়ে আসে সজীবতা। মায়ের ঘরে ছোট ছোট গাছ রাখা যেতে পারে।