বাবা-ছেলে দুজনেরই প্রিয় লালন সাঁইয়ের গান

ছেলের সঙ্গে টুনটুন ফকির (ডানে)। ছবি: কবির হোসেন
ছেলের সঙ্গে টুনটুন ফকির (ডানে)। ছবি: কবির হোসেন

লালনসংগীতশিল্পী জামালউদ্দিন টুনটুন ফকির। তাঁর ছেলে মো. সুমন হোসাইন, বাবার সঙ্গে গান করেন। আজ থাকছে এই দুই প্রজন্মের পছন্দ-অপছন্দের কথা।

১. কোন ধরনের গান গাইতে ভালো লাগে?

টুনটুন ফকির: আমার লালন সাঁইয়ের গান গাইতে ভালো লাগে।

ছেলে: বাবার মতো আমারও লালন সাঁইয়ের গান গাইতে ভালো লাগে।

২. কোন বাদ্যযন্ত্র ভালো লাগে?

টুনটুন ফকির: সাঁইজির গানে যে ধরনের বাদ্যযন্ত্র লাগে, যেমন একতারা, মন্দিরা, তবলা, দোতারা ও বাঁশি।

ছেলে: তবলা।

৩. লালন সাঁইয়ের কোন বাণী আপনার কাছে ভালো লাগে?

টুনটুন ফকির: লালন সাঁইয়ের সব বাণীই সুন্দর। বুঝতে না পারলে একটাও ভালো না। আর বুঝলে সব ভালো।

ছেলে: সত্য বল সুপথে চল ওরে আমার মন।

৪. কোন ধরনের খাবার খেতে ভালো লাগে?

টুনটুন ফকির: সাঁইজি যেসব খাবার পছন্দ করতেন, সেগুলো আমার ভালো লাগে।

ছেলে: সবজি, ডাল আর ভাত।

৫. কার হাতের রান্না সবচেয়ে ভালো লাগে?

টুনটুন ফকির: কোন কালে হারিয়ে ফেলেছি সেই জননী, আমার মা। যাঁর হাতের রান্না আজও মুখে লেগে আছে। সে তো নেই।

ছেলে: বাবার হাতের রান্না।

৬. কোথায় গান গাইতে বেশি ভালো লাগে?

টুনটুন ফকির: ঢাকায়।

ছেলে: কুষ্টিয়ায়।

৭. প্রকৃতির কোন সৃষ্টি সবচেয়ে ভালো লাগে?

টুনটুন ফকির: প্রকৃতির সবকিছুই ভালো লাগে। সবকিছুই আমাকে টানে। এর মধ্যে পাহাড় সবচেয়ে ভালো লাগে।

ছেলে: নদী।

৮. পছন্দের সিনেমা কোনগুলো?

টুনটুন ফকির: গঙ্গা-যমুনা, মধুমতি, গোপি

ছেলে: হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত সব সিনেমা।

৯. কোন ধরনের পোশাক পরতে পছন্দ করেন?

টুনটুন ফকির: সাঁইজি যে পোশাক পরতেন, সে ধরনের পোশাক পরতেই ভালো লাগে।

ছেলে: সাদা রঙের পোশাক।

১০. কার গান প্রিয়?

টুনটুন ফকির: আব্দুল আলীম আর চন্দনা মজুমদারের গলায় লালনের গান ভালো লাগে।

ছেলে: বাবার গান সবচেয়ে ভালো লাগে। এ ছাড়া ফরিদা পারভীন, কিরণ চন্দ্র রায়।

১১. কোন খেলা প্রিয়?

টুনটুন ফকির: আমি নিজে ছিলাম ফুটবল খেলোয়াড়। আর এখন ক্রিকেট খেলা ভালো লাগে।

ছেলে: ক্রিকেট।

১২. প্রিয় খেলোয়াড়?

টুনটুন ফকির: বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সব খেলোয়াড়।

ছেলে: মাশরাফি বিন মুর্তজা।

১৩. পরস্পরের যা ভালো ও খারাপ লাগে?

টুনটুন ফকির: ছেলের সবকিছুই আমার ভালো লাগে। ছেলে বেতন পেলে আমাকে দেয় না, ওর মাকেই সব দিয়ে দেয়।

ছেলে: আমার বাবা খুব ভালো একটা মনের মানুষ। মানুষের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ করে না। তবে অল্পতেই রেগে যায়।

সাক্ষাৎকার: তারিকুর রহমান খান