ঢাকায় জাপানি খাবারের স্বাদ

সুশি তেই রেস্তোরাঁর অন্দরসাজেও আছে ভিন্নতা। ছবি: নকশা
সুশি তেই রেস্তোরাঁর অন্দরসাজেও আছে ভিন্নতা। ছবি: নকশা

রেস্তোরাঁয় প্রবেশের মুখেই কয়েকজন একসঙ্গে আপনাকে জাপানি ভাষায় অভ্যর্থনা জানাবে। শুধু স্বাগত জানানোই নয়, এই রেস্তোরাঁর সব খাবারই জাপানি। ভেতরের আবহও সে কথাই মনে করাবে। সুশি তেই নামের এই রেস্তোরাঁটি এরই মধ্যে জমে উঠেছে ঢাকায়।

গুলশান-১ নম্বর গোলচত্বর থেকে পুলিশ প্লাজার দিকে একটু এগিয়ে গেলেই চোখে পড়বে সুশি তেই। অতিথিদের আমন্ত্রণে চমকে দেওয়ার পাশাপাশি খাবারের স্বাদ, মান ও পরিবেশনায়ও রয়েছে চমক। ‘জাপানে খাবার কাঁচা খাওয়ার একটি পদ্ধতির নাম সুশি তেই। সেখান থেকেই রেস্তোরাঁর এই নামকরণ’, জানালেন রেস্তোরাঁর পালা ব্যবস্থাপক আবু দারদা পিয়াস।

২০১৭ সালের ২২ ডিসেম্বর যাত্রা শুরুর পর থেকেই অতিথিদের আনাগোনা বেড়েছে এখানে। খাবারের ধরন ও স্বাদে জাপানি রেস্তোরাঁ হলেও সুশি তেই মূলত সিঙ্গাপুরের ফ্র্যাঞ্চাইজ। বাংলাদেশে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক সজীব গ্রুপ। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন মহাদেশের সাতটি দেশে সুশি তেই রেস্টুরেন্ট রয়েছে।

এখানে ২৫০ পদের বেশি জাপানি খাবার পাওয়া যায়। এর মধ্যে অন্যতম হলো সুলিক লোর, সাসিমি, নিগিরি সুশি, গুনকাম সুশি, তেমাকি, মাকিমুনো, ওয়ানমুনো, ইয়াকিমুনো, আগেমুনো, নাভেমুনো, ট্যাগপোরা, নুডলস, সালাদ, দনমুনো ইত্যাদি।

এখানে রান্নায় নিয়োজিত সব রাঁধুনিকে জাপানি খাবার তৈরির জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। রেস্তোরাঁটি তিনটি ভাগে ভাগ করা। কনভেয়ার বেল্টের আদলে রয়েছে একটি অংশ। এ অংশে বেল্টের ওপর সারাক্ষণ খাবার ঘুরতে থাকে। সেখান থেকে পছন্দের খাবারগুলো তুলে খেতে হয় অতিথিদের। আরেকটি অংশ রেগুলার টেবিল। চারটি করে চেয়ার দিয়ে সাজানো হয়েছে এ অংশটি। এ ছাড়া রয়েছে দুটি প্রাইভেট রুম। এ অংশে অফিশিয়াল মিটিং, ব্যক্তিগত আয়োজন করার সুযোগ রয়েছে। সুশি তেই রেস্টুরেন্টে একসঙ্গে ১২৬ জনের খাওয়ার সুবিধা মিলবে।

এখানে রান্না করা স্যালমন মাছ আসে নরওয়ে থেকে এবং টুনা মাছ আসে জাপান থেকে। এ ছাড়া বাকি উপকরণগুলোর প্রায় ৯০ শতাংশ আমদানি করা হয় সিঙ্গাপুর থেকে।

রমজান উপলক্ষে এখানে রয়েছে বিশেষ আয়োজন। ইফতার ও সাহ্‌রির জন্য আলাদা আলাদা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইফতারে থাকবে সেট মেন্যু। সাহ্‌রিতে থাকবে বানতো বক্স। এ বক্সে থাকবে সাসেমি, ফ্রাইড রাইচ, ইবি সুচি, স্যালমন ফিশ, ম্যানতাই সুশি, তামাগো সুশি ইত্যাদি। এ ছাড়া বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে বড় পর্দায় খেলা দেখার ব্যবস্থা থাকবে বলে জানা গেল। সঙ্গে থাকবে মজাদার খাবার। রেস্তোরাঁটি খোলা থাকে দুপুর ১২টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত।

বিশেষ পদ

সুকিআকি

সুশি তেই রেস্টুরেন্টের খাবার আইটেমগুলোর মধ্যে অন্যতম সুকিআকি। অতিথির টেবিলেই উপকরণটি রান্না করা হয়। ইনোকি মাশরুম, তফু, সিতাকি মাশরুম, ব্রাউন অনিয়ন, স্পিন অনিয়ন, সিরাতাকি, লিক ও ক্যারট উপকরণগুলোর মধ্যে স্যুপ দিয়ে পাঁচ মিনিটের মতো গরম করতে হবে। এরপর চিকন করে কেটে রাখা বিফ ডিমের তরল অংশ লাগিয়ে আগে পাঁচ মিনিট গরম করা স্যুপের মধ্যে দিয়ে রং পরিবর্তন হওয়া পর্যন্ত রাখতে হবে। তারপর তুলে খেতে হবে।

স্যালমন জুকুশি

এটি স্যালমন মাছের তিনটি অংশের রেসিপি। স্যালমন মাছ, পেটের অংশ ও ডিমের অংশ দিয়ে তৈরি করা হয়। এটি অতিথির কাছে পরিবেশন করা হয় দাইকন, ওভাললিফ, মুলা ও বরফ দিয়ে।