রেজালা নাকি কোরমা

>উৎসব মানেই মুখরোচক খাবারের আয়োজন। ঈদের সময় রেজালা ও কোরমা পছন্দের তালিকায় থাকে। মাংসের এই দুটি খাবারই চর্বিযুক্ত—তাই সীমিত পরিমাণে এগুলো খাওয়া যেতে পারে। এ ব্যাপারে বলেছেন বারডেম হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ।


রেজালা

অনেক উপকরণ দিয়ে রেজালা তৈরি করা হয়। এর মধ্যে গরুর মাংসের রেজালা সুস্বাদু ও মজার। গরুর মাংসে রয়েছে আমিষ। তাই গরুর মাংসের রেজালা খেলে মাংসপেশি মজবুত হবে। এতে রয়েছে প্রচুর খনিজ, যা রক্তস্বল্পতা দূর করে এবং শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করে। এর বি১২, বি৬ ও বিরোফ্রবিন, যা শরীরে শক্তি সরবরাহ করে। তবে গরুর মাংসে প্রচুর চর্বি থাকে, যা হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। অতিরিক্ত গরুর মাংস খেলে রক্তে চর্বির মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া গরুর মাংসে বিদ্যমান সোডিয়াম শরীরের জন্য ক্ষতিকর। বেশি মাংস খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য বেড়ে যায়। রেজালা প্রচুর পরিমাণে মসলা দিয়ে রান্না করা হয়। এ উপকরণ খাওয়ার ফলে শারীরিক সমস্যা হতে পারে। তাই রেজালা রান্না করার সময় কম পরিমাণ মসলা দিয়ে রান্না করা উচিত। একটু বয়সীদের বেশি মসলাযুক্ত রেজালা না খাওয়াই ভালো।


কোরমা
কোরমাও অনেক উপকরণ দিয়ে রান্না করা যায়। তবে মুরগির মাংসের কোরমা সবচেয়ে সুস্বাদু। এতে চর্বির পরিমাণ তুলনামূলক কম। মুরগির মাংসেও প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে, যা শরীরের শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। মুরগির মাংসে তুলনামূলক কম চর্বি থাকে। এতে প্রচুর আয়রন থাকে। মুরগির মাংস বেশি খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে। মুরগির মাংস বেশি খেলে কোলেস্টেরলের পরিমাণও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কোরমা ঘি দিয়ে রান্না করা হলে চর্বির পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। যাঁদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকে, তাঁদের ঘি দিয়ে রান্না করা কোরমা খাওয়া উচিত নয়। তাঁদের সাধারণ তেল দিয়ে রান্না করা কোরমা খাওয়াই ভালো। কোরমা চিনি দিয়ে রান্না করা হয়। চিনি দেওয়ার ফলে যাঁরা কোরমা খাবেন, তাঁদের চর্বির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। তবে কোরমা ও রেজালার মধ্যে কোরমা তুলনামূলক ভালো।

খেয়াল রাখবেন
মুরগি ও গরুর মাংস কাটার পর এর সাদা চর্বিটা ফেলে দেওয়া উচিত। সাদা চর্বিটা ফেলে দেওয়ার পর মাংস ছোট ছোট করে কেটে গরম পানিতে তিন-পাঁচ মিনিট ফুটিয়ে নিলে আর কোনো ঝুঁকি থাকে না।