হাতে হাতে ঈদ কার্ড

ঈদ কার্ডে দেখা যাচ্ছে ভিন্নতা। ছবি: নকশা
ঈদ কার্ডে দেখা যাচ্ছে ভিন্নতা। ছবি: নকশা

আজও শুভেচ্ছাবার্তা লিখে তৈরি করা হয় ঈদকার্ড। প্রযুক্তির কল্যাণে এসএমএস ও সামাজিক মাধ্যমে ঈদ শুভেচ্ছা জানানো মানুষের সংখ্যা বেড়েছে বহুগুণে। তবে ভালোবাসা ও আন্তরিকতার ছোঁয়া পেতে ঈদকার্ডের বিকল্প আজও গড়ে ওঠেনি। ঈদের সময় প্রিয়জনকে ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর রেওয়াজ বহু আগে থেকেই প্রচলিত। হাতে হাতে এই শুভেচ্ছার বিনিময় যেন বাড়িয়ে দেয় উৎসবের আমেজকে। প্রযুক্তির কল্যাণে ঈদকার্ড দেওয়ার পরিমাণ কমলেও ঈদকার্ডের আবেদন আজও অটুট।

ঈদকার্ডের বাজার ঘুরে দেখা গেছে মনোরম ও চোখজুড়ানো ঈদকার্ডের সমারোহ। বর্তমানে ব্যক্তিপর্যায়ে ঈদকার্ডের আদান-প্রদানের চেয়ে গোষ্ঠীভিত্তিক ঈদ শুভেচ্ছা জানাতে ঈদকার্ডের ব্যবহার বেড়েছে। এমনটাই জানা গেছে মার্কেট ঘুরে। সোনার বাংলা প্রডাক্টসের বিক্রয় ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম জানান, বর্তমানে ঈদকার্ডের ব্যবহার কর্মক্ষেত্রে, সংগঠন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেই বেশি দেখা যায়।
নান্দনিক সব ঈদকার্ড পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। এবারের ঈদকার্ডে নকশা, কাগজ ও পরিবেশনায় রয়েছে ভিন্নতা। ছোটদের জন্য এবার ঈদে পাওয়া যাচ্ছে মিউজিক্যাল ঈদকার্ড। এ ছাড়া সুইডেন পেপার, আর্ট পেপার, এমবোস পেপার, সলিড বোর্ড ইত্যাদি উপকরণ দিয়ে কার্ড নকশা করা হয়েছে। এ ছাড়া অনেক ঈদকার্ডে নকশা করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে সুন্দর সুন্দর আলোকচিত্র। আজাদ প্রডাক্টসের বিক্রয়কর্মী মো. আলাউদ্দিন বলেন, সব ধরনের ক্রেতার কথা চিন্তা করেই ঈদকার্ড তৈরি করা হয়। কেউ চাইলে নিজের তৈরি করা নকশা কার্ডে অর্ডার দেওয়া যাবে।

দরদাম

আজাদ প্রডাক্টস ঘুরে দেখা গেছে, ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা মূল্যের শতাধিক ডিজাইনের ঈদকার্ড এনেছেন প্রতিষ্ঠানটি। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও ঈদ উপলক্ষে বাহারি নকশার কার্ড এনেছে। সেগুলো দাম ১০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে। এ ছাড়া এবার পাওয়া যাচ্ছে শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা ঈদকার্ডও। কার্টুন ছবির ঈদকার্ডগুলোর দাম ২০ থেকে ৩০০ টাকা।

কোথায় পাবেন

‘হলমার্ক’ ও ‘আর্চিজ’ দুটো প্রতিষ্ঠান কার্ডের জন্য বিখ্যাত। ঈদকার্ডের অন্যতম বড় বাজার রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত। এখানে দেশসেরা সব প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ ছাড়া ধানমন্ডির রাপা প্লাজা, বসুন্ধরা সিটি শপিং মল, পুরান ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় লাইব্রেরিগুলোতে ঈদকার্ড পাওয়া যায়। ঈদের সময় অনেক পাড়ায় পাড়ায় ঈদের কার্ডের মৌসুমি দোকান দেখা যায়। চাইলে সেখান থেকে আপনার পছন্দের ঈদকার্ড কিনতে পারেন। এ ছাড়া ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও ঈদকার্ড কেনা যাবে।