কয়েক দিন পরই ঈদুল আজহা। ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়িতে বাড়িতে খাওয়াদাওয়া আর রান্নার আয়োজনে কমতি থাকে না। বিশেষ করে গৃহিণীদেরই রান্নার বিষয়ে বেশি চিন্তা করতে হয়। ঈদের রান্নাবান্না করাও তো সহজ নয়। রান্নার এমন সরঞ্জামই দরকার যেগুলো দিয়ে দ্রুত রান্না করা যাবে, আবার ধোয়াধুয়ির কাজটাও যেন সহজ হয়।
বাজারে রয়েছে রান্নার নানা রকম ননস্টিক সরঞ্জাম। ননস্টিক হাঁড়িপাতিল সেট হিসেবেও কিনতে পারেন অথবা আলাদাও কিনতে পারেন। সেটের মধ্যে থাকে ঢাকনাসহ বড়-ছোট দুই হাতলযুক্ত পাতিল, ফ্রাইপ্যান, কড়াই আকৃতির প্যান ও সসপ্যান। ননস্টিকের পাতিলগুলোর সঙ্গে কাচের, স্টিলের নানা রকমের ঢাকনা থাকে। আগে শুধু কালো রঙের পাওয়া গেলেও বর্তমানে লাল, নীল নানা রংবেরঙের ননস্টিকের প্যান, সসপ্যান পাওয়া যাচ্ছে।
ননস্টিক হাঁড়িপাতিল নির্মাতা কিয়ামের ধানমন্ডি কার্যালয় থেকে জানা গেল, ডিলারের মাধ্যমে তারা বাজারে পণ্য সরবরাহ করে থাকে। ঈদ উপলক্ষে নতুন ননস্টিক তৈজস আনা হয়েছে। ননস্টিক হাঁড়িপাতিলের সুবিধা হলো, এর নিচে খাবার লেগে যায় না। তাই গরুর মাংস রান্না করতে অনেকেই ননস্টিকের পাত্র ব্যবহার করেন।
আরএফএলের মোহাম্মদপুর শাখার বিক্রয়কর্মী হাসান মাহামুদ বলেন, ক্রেতারা অনেকেই এখন আসছেন ননস্টিকের হাঁড়িপাতিল কিনতে। তবে সবার চাহিদা এক রকম নয়। অল্প রান্না করার জন্য ছোট আকারের হাঁড়িপাতিল রয়েছে।
বাজারে কিয়াম, ভিশন, হ্যাম্প, চিক ব্র্যান্ডের ননস্টিক পণ্য রয়েছে। নিউমার্কেট ঘুরে দেখা গেল, ঈদ উপলক্ষে ক্রোকারিজের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড়। এখানে রয়েছে ফ্রাইপ্যান, কড়াই, সসপ্যান। এমনকি পাঁচ ও সাত পিসের সেটও রয়েছে এখানে। নিউমার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা আনোয়ারা আক্তার বলেন, ‘গরুর মাংস রান্না করতে গেলে অনেক সময় কড়াইয়ের নিচে লেগে যায় আর তেলও বেশি লাগে। তাই ননস্টিকের বড় সসপ্যান কিনতে এসেছি।’