গরমে ঠান্ডা লাগা!

গরমে আমরা প্রচুর ঘামি, সেই ঘাম থেকে ঠান্ডা লাগতে পারে। এ ছাড়া ঘরে ও অফিসের ভেতর শীতাতপনিয়ন্ত্রিত পরিবেশ আর বাইরে ভয়ানক গরম আর্দ্রতা—এতেও ঠান্ডা বসে যায়। এ রকম গরমের দিনে ভাইরাস সংক্রমণও বেশি হয়। তাই এই সময়ে অনেকেরই নাক গেছে বন্ধ হয়ে, কপাল–মাথা দপদপ করছে। গলা দিয়ে আওয়াজ বেরোতে কষ্ট। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এগুলো নাক–কান–গলার প্রদাহ বা সাইনাসের প্রদাহের জন্যই ঘটে। এই নাক ও সাইনাসের প্রদাহ থেকে আরাম পেতে সহজ কিছু পন্থা আছে।


নাক দিয়ে বাষ্প নেওয়া
একটা গামলায় গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা মেনথল দিয়ে মাথা তোয়ালে দিয়ে ঢেকে সেই গরম বাষ্প নাক দিয়ে টেনে নিতে পারেন। নাক গামলা থেকে ১০ ইঞ্চি ওপরে ধরবেন। অথবা বাথরুমের জানালা বন্ধ করে গরম পানি দিয়ে শাওয়ার করুন, যাতে বাথরুমে গরম ভাপ বা বাষ্প ওঠে। দেখবেন নাকের ও সাইনাসের ভেতরকার বন্ধ ভাব অনেকটাই কমে গেছে। গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে নিংড়ে নিয়ে মুখ–চোখের ওপর কিছুক্ষণ ফেলে রাখলেও হয়।


বন্ধ নাক পরিষ্কার করা
রাতে শোয়ার আগে স্যালাইন পানির স্প্রের বা ঝাপটা দিয়ে নাক পরিষ্কার করে নিতে পারেন। অথবা একটা কেটলির মধ্যে গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কেটলির মুখ দিয়ে আসা ধোঁয়ার কাছে নাক নিন। বন্ধ নাক খুলতে অ্যান্টি হিস্টামিন ড্রপের চেয়ে এটি বেশি কার্যকর। বরং অ্যান্টি হিস্টামিন ড্রপ ব্যবহার করলে নাকের ভেতরটা শুষ্ক হয়ে যায় ও অস্বস্তি লাগে।


খাবারদাবার
প্রচুর পানি পান করুন। এ সময় বারবার গলা শুকিয়ে যায় ও পানিশূন্যতা দেখা দেয়। গরম আদা দেওয়া লেবু চা পান করলে আরাম পাবেন। সরষে, রসুন, গোলমরিচ ইত্যাদি মসলাযুক্ত খাবার এ সময় আরামদায়ক।


অ্যান্টিবায়োটিক হয়তো দরকার নেই
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই সমস্যাগুলো অ্যালার্জি বা ভাইরাসজনিত। এতে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন নেই। প্রদাহ বা ব্যথা অস্বস্তি দূর করতে প্যারাসিটামল–জাতীয় ওষুধই যথেষ্ট। তবে জ্বর ১০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে বা ১০ দিনের মধ্যে ভালো না হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া ভালো।