ছিমছাম স্মার্ট

সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদার। মাঝেমধ্যে সাইকেল চালান। ছবি: কবির হোসেন
সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদার। মাঝেমধ্যে সাইকেল চালান। ছবি: কবির হোসেন

সংগীতশিল্পী, সুরকার ও সংগীত পরিচালক বাপ্পা মজুমদার। পছন্দ করেন সাদামাটা জীবন। পোশাকও পরেন সাধারণ। দলছুট ব্যান্ডের এই সদস্য গ্যাজেটবান্ধব। জিনস আর চশমা তাঁর যেন জীবনেরই অংশ। আজকের অধুনায় থাকছে বাপ্পা মজুমদারের স্টাইল।
ছোটবেলায় সংগ্রহ করতেন মুদ্রা ও ডাকটিকিট। একটু বড় হওয়ার পর মনে হলো, ইশ্, যদি ঘরভর্তি গিটার থাকত। এখন ঘরভর্তি গিটার না থাকলেও গোটা দশেক গিটার আছে তাঁর। এই গল্প সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদারের জীবনের। সব সময় সাধারণ সাদামাটা থাকতে পছন্দ করেন। কথাগুলো বলেন ঢাকার মগবাজারে তাঁর গানের স্টুডিওতে। এখানেই দিনের বেশির ভাগ সময়টা কাটে তাঁর।

পোশাকের ক্ষেত্রে জিনস, টি-শার্ট বেশি প্রিয় বাপ্পা মজুমদারের। জিনস ছাড়া তাঁর চলেই না। তিনি বলেন, ‘স্ট্রেট কাটের লিভাইস ব্র্যান্ডের জিনস পরা হয়। স্যুট-কোট কখনোই পরি না। বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানে ফরমাল শার্ট পরা হয়। এক রঙের পোশাকও যেমন পছন্দ, আবার চেক শার্টও ভালো লাগে। তবে কেনাকাটা করার সময় পোশাকের মাপ ও রং দেখেশুনে কিনি।’ টি-শার্টে গোল গলাকে প্রাধান্য দেন। সাদা-কালো, লাল-কালো মিশ্রণ ও নীল রঙের পোশাক পছন্দ করেন। মাঝেমধ্যে পাঞ্জাবিও পরেন। হালকা কাজের সেমি খাটো পাঞ্জাবি পছন্দের তালিকায় থাকে। ফ্যাশন হাউস দেশাল ও স্বপ্নবাজের পোশাক তাঁর ভালো লাগে।

প্রিয় গিটারের সঙ্গে নিজের স্টুডিওতে
প্রিয় গিটারের সঙ্গে নিজের স্টুডিওতে

স্যান্ডেল পরতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। সামনের দিকটা বন্ধ, এমন স্যান্ডেলই পছন্দ করেন। আর জুতা পরলে অবশ্যই তা ফিতা ছাড়া হতে হবে। মঞ্চে গান গাওয়ার আগে কোন ধরনের পোশাক পরেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে বাপ্পা বলেন, ‘আমি শুধু দেখি সব মিলিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি কি না। সেই মুহূর্তে যে ধরনের পোশাক ভালো লাগে, তা-ই পরি।’
কেনাকাটা দেশেই করেন বাপ্পা। দেশের বাইরে গেলে নানা ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি কেনা হয় তাঁর। নিজেকে গ্যাজেটবান্ধবই বলেন তিনি। নিত্যনতুন সব যন্ত্র কিনতে না পারলেও আকর্ষণ বোধ করেন। কাজের ফাঁকে সময় পেলেই বসে যান আইপ্যাড নিয়ে। সময় কাটান ফেসবুকে। গানের বাইরে ছবি তোলার শখ আছে এই সংগীতশিল্পীর। মুহূর্তকে ধরে রাখা যায় শুধু ক্যামেরায়, তাই ফটোগ্রাফি তাঁকে টানে। ছবি তোলার ক্ষেত্রে গুরু হলেন অভিনয়শিল্পী শংকর সাঁওজাল। নাইকন ডি-৭০০০ ক্যামেরা এখন তাঁর সঙ্গী। ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসলেও সময়ের অভাবে হয় না। পাহাড় ও পাহাড়ি এলাকা বাপ্পা মজুমদারের ভালো লাগে। দেশের বাইরে ব্যাংকক পছন্দ।
আজকাল সময়ের অভাবে কম্পিউটারে গেমস খেলা আর রিমোট দিয়ে খেলনা হেলিকপ্টার ওড়ানো এই দুটি শখের কাজ করা হচ্ছে না। পুরো ব্যস্ততা গান নিয়ে। বাসায় তিনটি কুকুর আছে, এরা বাপ্পা মজুমদারের খুব কাছের বন্ধু। নিজের জন্য সময় মানেই ওদের সঙ্গে কাটানো হয় তাঁর।
সুগন্ধিও ব্যবহার করেন এই শিল্পী। হুগো বস, অ্যাজ্জারো ক্রোম ব্যবহার করছেন এখন। কাজ করতে পছন্দ করেন রাতেই। তাই একটু বেলা করেই ঘুম থেকে ওঠেন। ভালোবাসেন দুধ-চিনি দিয়ে চা। বাপ্পা মজুমদারের একটি গোপন কথা বলতেই হবে—সময় পেলে সাইকেলও চালান তিনি।