চায়ের রকমফের

চায়ের উৎপত্তি প্রাচ্যেই। চীন ও ভারত উপমহাদেশ থেকেই চা নামের জনপ্রিয় পানীয়টি ছড়িয়ে গেছে সারা বিশ্বে।
ক্যামেলিয়া সিনেনসিস নামের উদ্ভিদের পাতা থেকে তৈরি হয় চা। এই চা-গাছ মূলত চাষ হয় চীন, ভারত, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায়। চা-পাতার প্রক্রিয়াজাতের ওপর ভিত্তি করে কয়েক রকমের চা তৈরি হয়। সচরাচর আমরা যে কালো চা বা ব্ল্যাক টি খাই, তা চা-পাতাকে অক্সিডেশন-ফারমেন্টেশন করে তৈরি হয়। এতে ক্যাফিনের পরিমাণ বেশি, পলিফেনলের পরিমাণ একটু কম। আবার চা-পাতাকে কেবল বাষ্পায়িত বা স্টিম করে তৈরি হয় সবুজ চা বা গ্রিন টি। এতে পলিফেনলের পরিমাণ অনেক বেশি, তাই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে বেশি কার্যকর।
চায়ের উপকারিতা
চায়ে যে পলিফেনল রয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ফ্ল্যাভনয়েড, যা অত্যন্ত উপকারী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি ক্যানসার প্রতিরোধক, রক্ত চলাচলে সহায়ক। মস্তিষ্কের নানা সমস্যা যেমন পারকিনসনস বা আলঝেইমারস রোগ প্রতিরোধেও এটি ভূমিকা রাখে। গ্রিন টি ওজন ও রক্তে চর্বি কমাতে সহায়ক বলে প্রমাণ মিলেছে। সূত্র: ওয়েবমেড|