উৎসবে নতুন অন্দরসাজ

নতুন আসবাব না হোক, বিছানার চাদর বা পর্দা পাল্টেও অন্দরসাজে ভিন্নতা আনতে পারেন কৃতজ্ঞতা: যাত্রা ছবি: সৈকত ভদ্র
নতুন আসবাব না হোক, বিছানার চাদর বা পর্দা পাল্টেও অন্দরসাজে ভিন্নতা আনতে পারেন কৃতজ্ঞতা: যাত্রা ছবি: সৈকত ভদ্র

ঈদে শুধু নতুন পোশাক পরলেই তো চলবে না, উৎসবের আমেজ উপভোগ করতে অন্দরেও চাই নতুনত্ব। তবে এ জন্য অন্দরসাজে বড় কোনো পরিবর্তন আনতেই হবে বা বেশ খরচ করতে হবে, এমন কিন্তু নয়। একটু বুঝেশুনে টুকিটাকি কিছু পণ্য কিনেই বৈচিত্র্য আনতে পারবেন ঘরে।

কম সময়ে ও কম খরচে কীভাবে ঈদের আগে ঘরদোরের সাজসজ্জায় পরিবর্তন আনতে পারেন, তা নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন পলক ইন্টেরিয়র ডিজাইন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুল আলম।

তিনি বলেন, এখন বাড়ির দেয়ালের রং পরিবর্তনের ঝক্কি না পোহাতে চাইলে অনায়াসেই ওয়াল পেপার ব্যবহার করতে পারেন। বাজারে এখন নানা ধরনের ওয়াল পেপার পাওয়া যাচ্ছে। ঘরের আকৃতি ও অন্যান্য আসবাবের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নিজের রুচি অনুযায়ী ওয়াল পেপার বেছে নিতে পারেন। ঘরের চার দেয়ালেই যে তা ব্যবহার করতে হবে, এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। যেকোনো এক দিকের দেয়ালে বা চাইলে চার দেয়ালের মাঝে মাঝে কিছু জায়গা ফাঁকা রেখে ওয়াল পেপার লাগাতে পারেন।

ছবি: সৈকত ভদ্র
ছবি: সৈকত ভদ্র

তিনি আরও পরামর্শ দিলেন, ঘরের এক কোণে রঙিন বাতি ঝুলিয়ে দেওয়ার।
তাতে আলো-আঁধারির খেলায় ঘরের নতুন এক রূপ ফুটে উঠবে। আসবাবগুলোর স্থান পরিবর্তন করে একটু ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে রাখলেও কিন্তু ঘরের চেহারা অনেকটাই পাল্টে দেওয়া সম্ভব।
ঈদ উপলক্ষে নতুন আসবাব হয়তো সবাই কিনবেন না, তবে অনুজ্জ্বল হয়ে যাওয়া আসবাবগুলো বার্নিশ বা পলিশ করিয়ে নিতে পারেন।
ঘরে বাড়তি পর্দা থেকে থাকলে তা ব্যবহার করেও একঘেয়েমি দূর করতে পারেন।বসার ঘরের সোফার জন্য নতুন কভার যদি না-ও বানাতে পারেন, কোনো সমস্যা নেই। সোফা ও ডিভানে কিছু নতুন কুশন যোগ করে দিন।

দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখার জন্য কিনতে পারেন নজরকাড়া ওয়াল শোপিস বা ওয়ালম্যাট। এর ওপর লাগিয়ে দিতে পারেন কয়েকটি স্পটলাইট। মেঝেতে রাখতে পারেন ছোট কার্পেট বা শতরঞ্জি। তবে পরিবারের কারও ধুলায় অ্যালার্জি থাকলে তা এড়িয়ে যান, বদলে শীতলপাটি ব্যবহার করতে পারেন।

ছবি: সৈকত ভদ্র
ছবি: সৈকত ভদ্র

সদর দরজার কাছে টবে গাছ রাখা যেতে পারে। সেখানেও কিছু রঙিন বাতি থাকলে ভালো দেখাবে। দরজায় ঝালর লাগালেও দেখতে মন্দ লাগবে না। এ ছাড়া বিছানার চাদর, টেবিল ক্লথ ও ন্যাপকিনগুলো একটু বুঝেশুনে বাছাই করুন।
মাহবুবুল আলমের মতে, সব ঘরে যদি পরিবর্তন আনা সম্ভব না-ও হয়, তাহলে গৃহসজ্জার জন্য বেছে নিন বাড়ির সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান এলাকা, অর্থাৎ বাড়িতে ঢুকতেই সবার আগে যে ঘরগুলোতে পা রাখতে হয়; যেমন—বসার ঘর, খাবারের ঘর।ঈদের দিন ঘরের এক কোনায় রেখে দিন কিছু তাজা ফুল। 

ছবি: সৈকত ভদ্র
ছবি: সৈকত ভদ্র


এবার দেখুন সব মিলিয়ে নিজের বাড়ি নিজের কাছেই কেমন নতুন রূপে ধরা দিয়েছে।
ফ্যাশন হাউস আড়ং, যাত্রা, দেশী দশ, ডেকোর ইডে, এথনিকা, হোমটেক্স—এসব জায়গায় পাবেন চাদর, কুশন, পর্দা, শোপিস ইত্যাদি।ফ্যাশন হাউস আড়ং এবার তাদের ঈদ সংগ্রহে রেখেছে তাঁতে বোনা কাপড়ে তৈরি বিছানার চাদরের সঙ্গে মেলানো পর্দা ও কুশন কভার। একটি চাদর, পাঁচটি কুশন কভার ও চারটি পর্দার একটি সেট কিনতে পারবেন সাত হাজার টাকায়। এ ছাড়া টাইডাই, ব্লকপ্রিন্ট, অ্যাপ্লিক ও হাতের কাজ করা বিছানার চাদরও রয়েছে। বিভিন্ন আকৃতির কুশন কভারে রয়েছে মেশিন এমব্রয়ডারি, ব্লকপ্রিন্ট, অ্যাপ্লিক এবং পাট ও সুতার নকশা। উল ও পাটের তৈরি কার্পেট থেকে শুরু করে ঘর সাজানোর প্রায় সব সামগ্রীই রয়েছে তাদের শাখাগুলোতে।এ ছাড়া হোমটেক্স, ঢাকার গুলশান ১ ও ২ নম্বর ডিসিসি মার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেটে অপেক্ষাকৃত কম দামে কিনতে পারবেন ঘর সাজানোর নানা পণ্য।